Title

ভারতের ব্যবসায় আধিপত্যবাদের নেপথ্যে ইসরায়েলি নীতি বাস্তবায়ন

পলিসি বিশ্লেষণ

Article image

ভারত বর্তমানে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে একটি উল্লেখযোগ্য স্থান অধিকার করে আছে। দেশটির ব্যবসায়িক কার্যক্রমের ধরন, নীতি এবং আন্তর্জাতিক সংযোগগুলোর মধ্যে ইসরায়েলি পলিসির প্রভাব উল্লেখযোগ্যভাবে পরিলক্ষিত হয়। ভারত দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনীতি  ও ব্যবসার গুরুত্বপূর্ণ বাজার। ইসরায়েল ভারতকে ব্যবহার করে বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও মালদ্বীপ অঞ্চলে ব্যবসায়িক কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজনীয় ভিত্তি তৈরি করেছে। ভারতের ভৌগোলিক অবস্থান, উন্নত বন্দর সুবিধা এবং বৃহৎ ভোক্তা বাজার দক্ষিণ এশিয়ায় ইসরায়েলের কার্যক্রম পরিচালনার একটি কার্যকর প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে। ইসরায়েলি কোম্পানিগুলো ভারতীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম, কৃষি ও সাইবার নিরাপত্তার মতো খাতে নিজেদের উপস্থিতি শক্তিশালী করেছে।
বিস্তারিত

ইসরায়েল প্রভাবিত ভারতীয় অতিরঞ্জিত বিজ্ঞাপন ক্রেতার বিশ্বাস অর্জনে সফল

তুলনামূলক বিশ্লেষণ

Article image

অতিরঞ্জিত বিজ্ঞাপন বা মিথ্যা বিজ্ঞাপন হলো এমন বিজ্ঞাপন যা কোনো পণ্য, সেবা বা প্রতিষ্ঠানের বাস্তব তথ্যকে অতিরঞ্জিত করে বা অসত্য উপস্থাপন করে। এর উদ্দেশ্য সাধারণত ক্রেতাদের আকৃষ্ট করা এবং তাদের সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলা। এই ধরনের ইসরায়েল প্রভাবিত ভারতীয় বিজ্ঞাপন বিভিন্ন প্রকার হতে পারে এবং এর মাধ্যমে ক্রেতাদের বিভ্রান্ত করা হয় বা তাদের নিকট অপ্রাসঙ্গিক বা ভুল তথ্য প্রদান করা হয়।
ভারতীয় অতিরঞ্জিত বিজ্ঞাপনের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো পণ্য বা সেবার কার্যকারিতা এবং গুণমান সম্পর্কে অবাস্তব দাবি করা। এই ধরনের দাবি সাধারণত এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়, যাতে গ্রাহকরা সহজেই প্রভাবিত হন এবং পণ্যটি কিনতে আগ্রহী হন। ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা দ্বারা পণ্যের এমনভাবে

বিস্তারিত

খুচরা দোকানদার কোকাকোলা-পেপসি কিনতে বাধ্য করে!

মার্কেটিং পলিসি বিশ্লেষণ

Article image

আধুনিক বাংলাদেশিরা অপরকে অনুসরণ ও অনুকরণে বিশ্বাসী হয়ে উঠছে। ছোটছোট দোকানিরা বড়বড় সুপারশপগুলোকে অনুকরণ করে। সুপারশপগুলো যেসব পণ্য রাখে ছোটদোকানিরা তা বিক্রয় পদ্ধতি অনুসরণ করার চেষ্টা করে। এখানে এলিট-ক্লাস ভোক্তার আসা-যাওয়া করে বিধায় খুচরা দোকানিদের চেষ্টা থাকে একই ক্লাসকে আকৃষ্ট করতে এবং অন্তত মিডল-ক্লাসের নিকট তাদের পণ্য বিক্রি করতে। অধিকাংশ এলিট-ক্লাস ভোক্তারা বিদেশি বিজ্ঞাপন দেখে হয়তো কোকাকোলা বা পেসসি মতো ব্র্যান্ডের পণ্য কিনতে অনেকটা আগ্রহ দেখায়, পেসসির প্রচারণা যাইহোক যেহেতু বিদেশিরা এটা পান করে ‘এটা নিশ্চয় ভালো পানীয়’ এমন বিশ্বাস সাধারণত মনষ্কতাত্ত্বিক চিন্তাধারায় চলে আসে। আসলে আন্তর্জাতিক সকল পানীয় পণ্যের উপকরণ প্রয়োগের একটা আদর্শমান থাকে সেভাবেই পণ্য প্রস্তুত করা

বিস্তারিত

বাংলাদেশের সংবাদপত্রে ভারতীয় সংস্কৃতির আদিপত্য

পর্যবেক্ষণ জরিপ

Article image

বাংলাদেশের গণমাধ্যমে ভারতীয় সংস্কৃতির আদিপত্য বর্তমানে একটি বহুল আলোচিত বিষয়। দেশের সংবাদপত্র, টেলিভিশন চ্যানেল, ভারতীয় বিজ্ঞাপন প্রচারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার, এমনকি চলচ্চিত্র এবং নাট্যজগতেও ভারতীয় সংস্কৃতি বিস্তৃতভাবে প্রচারিত হচ্ছে। এ প্রভাব শুধু বিনোদনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এটি আমাদের স্থানীয় সংস্কৃতি এবং সামাজিক কাঠামোর ওপর গভীর প্রভাব ফেলছে। বাঙালি সংস্কৃতির নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ও ঐতিহ্য থাকলেও, ভারতীয় সংস্কৃতি প্রভাবিত চলচ্চিত্র, টিভি সিরিয়াল, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম এবং গান ক্রমাগত সেই ঐতিহ্যকে ছাপিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে ভারতীয় টিভি সিরিয়ালের মাধ্যমে একটি বিদেশি জীবনধারা, ভাষা এবং আচার-আচরণ বাংলাদেশের ঘরে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে। এই প্রভাব নতুন প্রজন্মের মধ্যে তাদের

বিস্তারিত

দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের এআই-ভিত্তিক আদিপত্য

ডিজিটাল হেজিমনি

Article image

দক্ষিণ এশিয়ায় আধুনিক প্রযুক্তি, বিশেষত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), সামাজিক, রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ভারতের মতো বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশে এআই ব্যবহারের মাধ্যমে সরকার ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কর্তৃত্ববাদী প্রবণতা প্রকাশ করছে।

ভারতের সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা ও কুটনৈতিক মহলগুলো আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) আধিপত্য বিস্তারে ব্যবহার করছে, যেমন নজরদারি, তথ্য বিশ্লেষণ, ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং সামাজিক মাধ্যমে প্রচার নিয়ন্ত্রণ করে। উদাহরণস্বরূপ, স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের সময়ে রাষ্ট্রীয় সহায়তায় নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য বিক্রির অভিযোগ পাওয়া যায় এবং বাংলাদেশের নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র তথ্য-ভান্ডার ভারতের কাছে রয়, এর মাধ্যমে ফেসিয়াল রিকগনিশন সিস্টেম এবং বায়োমেট্রিক ডেটা বিশ্লেষণ করে ভারতবিরোধী মত দমন...

বিস্তারিত

বিডিআর হত্যাকাণ্ডে ভারতীয় গোয়েন্দার সরাসরি সংশ্লিষ্টতা

কনটেন্ট বিশ্লেষণ

Article image

২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে পিলখানা বিদ্রোহ ও বিডিআর হত্যাকাণ্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় ট্র্যাজেডি। এই ঘটনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা সহ ৭৪ জন নিহত হন। হত্যাকাণ্ডের পেছনে বিভিন্ন তত্ত্ব উঠে এসেছে, যার মধ্যে একটি হলো বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর, বিশেষ করে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র-এর সংশ্লিষ্টতার সম্ভাবনা।

এই ঘটনার পেছনে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেকে। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র (RAW) এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্টতা নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা ও তত্ত্ব উঠে এসেছে। বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর স্বজনরা বলেছেন, “বিডিআর হত্যাকাণ্ডে ভারতীয়দের সরাসরি যোগসাজোশ ছিলো। বিডিআর হত্যাকাণ্ডের দিন সেনাসদস্যদের আত্মীয়দের যারা জিম্মি করেছেন তাদের মধ্যে অনেকে হিন্দি ভাষায় কথোপকথন করেছে, একজন ভারতীয়সেনা হিন্দিভাষায়...

বিস্তারিত

ইসরায়েলিজম প্রসার ও বিশ্ব সংঘাত

ক্রিটিক্যাল ডিসক্লোজ

Article image

ইহুদি জাতীয়তাবাদ ও ইসরায়েলিজম

ইসরায়েলিজম বলতে মূলত ইসরায়েলের জাতীয়তা ও রাষ্ট্রভিত্তিক আদর্শের প্রতি আনুগত্য এবং সমর্থন বোঝানো হয়। এটি একটি রাজনৈতিক, ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক ধারণা, যা ইসরায়েল রাষ্ট্রের অস্তিত্ব এবং এর আধিপত্যের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করে। সাধারণভাবে, ইসরায়েলিজম ইসরায়েলের প্রতি একধরনের আদর্শিক, নৈতিক বা রাজনৈতিক অঙ্গীকারের প্রতিনিধিত্ব করে, বিশেষ করে ইহুদি জনগণের জাতীয় অস্তিত্ব এবং সুরক্ষার সঙ্গে সম্পর্কিত ধারণাগুলিকে সমর্থন করে। ইসরায়েলিজমের উৎপত্তি মূলত ইহুদি জাতীয়তাবাদের (জায়োনিজম) সঙ্গে সম্পর্কিত। ইহুদি জাতীয়তাবাদ ছিল একধরনের রাজনৈতিক আন্দোলন, যা ১৯শ শতকে ইউরোপে উদ্ভূত হয়। এই আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল একটি স্বাধীন ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা, যা ইসরায়েলে (পবিত্র ভূমি) অবস্থিত হবে।

বিস্তারিত

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত হত্যা

সমীক্ষা বিশ্লেষণ

Article image

লেখক: ড. এসইউ আশরাফী ও প্রধান স্বেচ্ছাসেবী সমন্বয়ক- ভয়েস অফ বয়কট

পাকিস্তান আমলের ২৩ বছরে ভারত-বাংলাদেশ উভয় দেশ ‘সীমান্ত বন্ধ’ হওয়ার নীতি অনুসরন করে। বর্তমান সময়ে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত উন্মুক্ত হওয়ায় হাজারো সমস্যা দেশ দুটোকে সমস্যা আকীর্ন করে তুলছে। ১৯৭২-২০২০ পর্যন্ত বাংলোদেশ ভারত সীমান্তে ১৮৬০ নিহত হয়েছে এবং অপহরণ, ধর্ষণ ও নিখোঁজ সংখ্যাসহ সর্বমোট ৫০৮৪ জন বাংলাদেশি নাগরিক বিভিষিকা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। বর্তমান গবেষণায় ২০১৪-২০১৬ সময়ে সীমান্তে নাগরিক হত্যা বিষয়ে উপস্থাপিত হয়েছে। এ সময়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে ও শারীরিক নির্যাতনে ৫৭ বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন। অপহরণের শিকার হয়েছেন ৮৭ জন। অপহরণের পর ফিরে...

বিস্তারিত

ভারতে মুসলিমবিরোধী এনআরসি আইন ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা

সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি

Article image

ভারতে এনআরসি (জাতীয় নাগরিক পঞ্জি আইন এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব একটি দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকা রাজনৈতিক ও সামাজিক সমস্যা। এনআরসি মূলত একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে নাগরিকদের সঠিক পরিচয় নিশ্চিত করতে চাওয়া হয় এবং তারা কেবলমাত্র ভারতীয় নাগরিক হিসেবে গণ্য হবে, যারা তাদের নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে পারবে। তবে এই প্রক্রিয়া ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভিন্ন উদ্বেগ এবং বিরোধ সৃষ্টি করেছে। এর কিছু প্রধান কারণ নিচে তুলে ধরা হলো:

এনআরসি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন: এনআরসি এবং সিএএ (নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন) একে অপরের সাথে সম্পর্কিত। ২০১৯ সালে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) পাশ হয়, যা আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আগত হিন্দু, শিখ,...

বিস্তারিত

দক্ষিণ এশিয়ায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ভারতের কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠা

ডিজিটাল হেজিমনি

Article image

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দ্রুত প্রযুক্তিগত অগ্রগতির যুগে শাসনব্যবস্থা, ভূ-রাজনীতি এবং সমাজের রূপান্তর ঘটাচ্ছে। ডিজিটাল উদ্ভাবন এবং ক্ষমতার ভারসাম্য আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ব্যবস্থাগুলো পুনর্গঠন করছে, কারণ রাষ্ট্রসমূহ কৌশলগত ও কার্যকরী লক্ষ্য অর্জনে এআই ব্যবহার করছে। এআই-চালিত কর্তৃত্ববাদ এবং ডিজিটাল আধিপত্য বিশেষভাবে ভারতীয় কৌশলগত উত্থানের প্রসঙ্গে এবং বৈশ্বিক শৃঙ্খলার উপর এর প্রভাব বিশ্লেষণ করা হয়। এআই কর্তৃত্ববাদী শাসনগুলোকে বিশ্বব্যাপী তাদের নিয়ন্ত্রণ আরও শক্তিশালী করতে সহায়তা করছে (Anand, 2012), নজরদারি প্রক্রিয়া সরলীকরণ করছে এবং বিরোধীদের দমন করছে (Bader, 2019)। এটি এক নতুন প্রক্রিয়াভিত্তিক প্রযুক্তিগত কর্তৃত্ববাদের মডেল তৈরি করেছে (Schlogl & Kim, 2023)। ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রভাব বিস্তার, অর্থনৈতিক সুবিধা অর্জন, এবং আঞ্চলিক পুনর্গঠনের...

বিস্তারিত

ইসরায়েল-ভারত মুসলিম নিধনে যোগসাজশ

ফ্যাক্ট বিশ্লেষণ

Article image

ইসরায়েল ও ভারতের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়েছে, বিশেষ করে সামরিক এবং নিরাপত্তা ক্ষেত্রে। এটি এমন কিছু বিষয়কে সামনে এনেছে যা মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। দুটি দেশই মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলে সংঘাত এবং বিদ্রোহ দমনে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে মুসলিম জনগণের উপর নির্যাতনের অভিযোগের সম্মুখীন হয়েছে, যেমন ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের উপর। এই প্রেক্ষাপটে, অনেক সমালোচক মনে করেন যে, ইসরায়েল ও ভারতের মধ্যে যে সামরিক সহযোগিতা চলছে, তা মুসলিম জনগণের উপর দমন-পীড়ন কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করছে। তারা এমনও মনে করেন যে, ইসরায়েলের দমননীতি থেকে ভারত শিখছে এবং তা কাশ্মীরে প্রয়োগ করছে। এটি আরও স্পষ্ট হয় সাম্প্রতিক অস্ত্র...

বিস্তারিত

১ লক্ষ ফিলিস্তিন হত্যার পর ইসরায়েলের কথিত যুদ্ধবিরতি

ইসরায়েলের সেনা ও আইডিএফ দ্বারা শিশু ও নারীসহ প্রায় ১ লক্ষ ফিলিস্তিনী হত্যার পর ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছে। হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনী নির্বিকার ও মানবেতর জীবন-যাপন করেছে গাজায়। ৩ টি শর্ত দিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেতানিয়াহু, আন্তর্জাতিক চাপ এবং মানবিক সংকটের তীব্রতায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইসরায়েলের ২০২৪ অপারেশনে বহু নিরীহ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, যার মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। যুদ্ধবিরতির ফলে মানবিক সহায়তা প্রদানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তবে, স্থায়ী সমাধানের জন্য রাজনৈতিক আলোচনার প্রয়োজনীয়তা বিশেষজ্ঞরা জোর দিচ্ছেন।


নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় বাংলাদেশি ৩ প্রকৌশলীকে গুমের পর নির্যাতন

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় বাংলাদেশের ৩ জন প্রকৌশলীকে গুম করে নিযার্তন করেছে তৎকালিন শেখ হাসিনা সরকার। ২০২০ সালে হিন্দু উগ্রপন্থী ও হিন্দুত্ববাদীর বিরুদ্ধে ফেইসবুকে পোস্ট দেওয়ার পর থেকে স্ট্যাটাস দেওয়ার পর থেকে তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না, র‌্যাব পরিচয়ে তোলে নেওয়ার সময় গুলি শুটের হুমকি দেওয়া হয় (ভিডিও)। পরবর্তীতে তাদের নিয়ে জঙ্গি নাটক ও মিডিয়া ট্রায়াল দেওয়ায় মানবাধিকার সংস্থাগুলো এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেং এর সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে। সমালোচকরা এটিকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আঘাত হিসেবে দেখছেন। এ ঘটনায় সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।


স্বৈরাচার হাসিনার গোপন কারাগারে শিশু আটক রেখে নির্যাতন

বাংলাদেশে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসনামলে গোপন কারাগারে শিশুদের আটকের অভিযোগ উঠেছে। বিরোধীদল ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, এসব কারাগারে রাজনৈতিক কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি শিশুদেরও আটক রেখে শারিরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হতো। অভিযোগ রয়েছে, সরকার ভিন্নমত দমন করতে এই অমানবিক পদ্ধতি অবলম্বন করেছে। শিশুদের আটকের বিষয়টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। এ ঘটনায় দেশের ভেতরে ও বাইরে সমালোচনা তীব্রতর হচ্ছে।


মোদির পোস্টের তীব্র প্রতিবাদ জানালেন আইন উপদেষ্টা

বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি বিতর্কিত পোস্টকে কেন্দ্র করে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তার বক্তব্য অনুযায়ী, পোস্টটি সংবিধানের নীতিমালা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিপন্থী। তিনি এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে অবিলম্বে পোস্টটি প্রত্যাহারের দাবি জানান। বিষয়টি নিয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের কথাও বিবেচনা করা হচ্ছে। দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে মতে, এমন বক্তব্য জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা ক্ষুণ্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে।


৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী: ছাত্র-জনতার উপর গুলি ও হত্যাকাণ্ডের প্রামাণ্যচিত্র

৫ই আগস্ট ২০২৪-এ বাংলাদেশে একটি ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড ঘটে, যা দেশজুড়ে শোকের ছায়া ফেলে। রাজধানীর যাত্রাবাড়ি এলাকায় সংঘটিত এ ঘটনায় বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটে (ইংরেজি ভিডিও)। পুলিশ স্বৈরাচারের পক্ষে সন্ত্রাসী ভুমিকায় নিরহ মানুষের উপর এমন হত্যাযজ্ঞ চালায় (ভিডিও)। অনেক মাদরাসার ছাত্রদের উপর আহতবস্থায় গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করেছে যাত্রাবাড়িতে অপারেশনে থাকা পুলিশবাহিনী (ভিডিও)। স্বৈরাচার হাসিনা পতনের পর থেকে অন্তবর্তীকালীন সরকারের নিকট যাত্রাবাড়ি এলাকায় ছাত্র-জনতা উপর নির্বিচারে গুলি ও হত্যাকান্ডের বিচারের দাবী জানিয়ে আসছে।


বাংলাদেশ সীমান্তে ‘আল্লাহু আকবার’ ও ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে সীমান্তে সম্প্রতি ‘আল্লাহু আকবার’ এবং ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান ধ্বনির ঘটনা উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে (ভিডিও)। দুই প্রতিবেশী দেশের সীমান্ত রক্ষীদের মধ্যে ধর্মীয় স্লোগানের প্রতিধ্বনি রাজনৈতিক এবং সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বাড়াতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। এ ধরনের ঘটনা সীমান্তে সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট করতে পারে। স্লোগানগুলো অনেক সময় ঐক্যের পরিবর্তে বিভেদ উস্কে দেয়। শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে উভয় পক্ষকে সংযম প্রদর্শন এবং সীমান্তে উত্তেজনা এড়ানোর জন্য কূটনৈতিক উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।


ভারতের গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে ভুয়া খবর প্রচার

ভারতের কিছু গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে ভুয়া খবর প্রচারের প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। এসব সংবাদে প্রায়ই বাংলাদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি বিকৃতভাবে উপস্থাপিত হয় (ভিডিও দেখুন)। ১২ আগস্ট থেকে ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত ভারতের অন্তত ৪৯টি গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে ১৩টি ভুয়া খবর প্রচারিত হয়েছে। ভুয়া খবর প্রচারের মাধ্যমে দেশটির জনগণকে বিভ্রান্ত করা এবং পারস্পরিক সম্পর্ক নষ্ট করার চেষ্টা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব গুজবের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে। সত্য যাচাইয়ে সতর্ক থাকা এবং দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার গুরুত্ব অপরিসীম।


ভারতের বিপক্ষে কথা বললেই নেওয়া হতো প্রথমআলো’র আয়নাঘরে

প্রথম আলো পত্রিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে ‘দেশে ভারতীয় আগ্রাসনের প্রবেশদ্বার’ (ভিডিও) এবং হত্যাকাণ্ড নিয়ে ভূল প্রতিবেদন তৈরি করেছে। ঢাবির এক নির্যাতিত শিক্ষার্থীর অভিযোগ, ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলায় থাকে প্রথম আলো অফিসে নির্যাতন করা হয়েছে (ভিডিও)। সমালোচকরা মনে করেন, ভারতের স্বার্থ রক্ষায় পত্রিকাটি নিজেদের নিরপেক্ষতা হারিয়েছে, এছাড়াও বিতর্কিত আচরণে স্বচ্ছতা ও নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। সমালোচনার মূল কারণ, প্রতিবেশী দেশের বিরুদ্ধে ন্যায্য বক্তব্য কেউ প্রকাশ করলে ডেইলি স্টার ও প্রথম আলো পত্রিকাদ্বয় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতো গুরুতর অভিযোগ উঠে (ভিডিও), যা সাংবাদিকতার নীতিমালা লঙ্ঘন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।


শেখ হাসিনা দিল্লিকে ‘ঢাকা অ্যাটাক’ করতে বলেছিলেন

বাংলাদেশের স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ‘ভারতকে ঢাকা আক্রমণ করতে বলেছিলেন’এমন একটি পত্রিকার শিরোনাম সাম্প্রতিক রাজনৈতিক আলোচনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে (ভিডিও)। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সূত্র অনুযায়ী, সত্যতার ব্যাখ্যাও পাওয়া যায় এবং সরকার বা সংশ্লিষ্ট পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি (ভিডিও)। বিরোধী দলগুলো এটি নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনের জন্য নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি উঠেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ভারতের অ্যাটাক ও রাজনীতিতে গোয়েন্দা সংস্থা র (RAW) সংশ্লিষ্টতা বিষয়টিকে খতিয়ে দেখার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন সাংবাদিকরা।


আজমির শরিফে শিব মন্দির’ ছিল হিন্দুসেনা নেতার দাবি ও আদালতে মামলা

ভারতের হিন্দু সেনার এক নেতা দাবি করেছেন, আজমির শরিফ দরগাহ স্থাপনের পূর্বে সেখানে একটি প্রাচীন শিব মন্দির ছিল (ভিডিও)। এই দাবি ঘিরে বিতর্কের মধ্যে তিনি আদালতে মামলা করেছেন। ইতোমধ্যে ভারতে অসংখ্য মসজিদ ভাঙ্গা হয়েছে (ভিডিও) অনেক মসজিদ নিয়ে বিতর্কও চলছে (ভিডিও)। উগ্রপন্থি ভারতীয় রাজনৈতিক দলের নেতারা মনে করছেন, অনেকগুলো দরগাহের স্থানে হিন্দু ধর্মের প্রাচীন নিদর্শন রয়েছে, যা পুনরুদ্ধার করা প্রয়োজন। মুসলিম সম্প্রদায় এ দাবিকে ভিত্তিহীন ও উস্কানিমূলক বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। এ ঘটনা ধর্মীয় সম্প্রীতিতে ক্ষুন্ন হতে পারে, হিন্দুত্ববাদীরা আদালতের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে।


বাংলাদেশে ভারতীয় গোয়েন্দার টার্গেট বাস্তবায়নের চেষ্টা

বাংলাদেশে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা র (RAW) রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করতে কাজ করছে বলে অভিযোগ রয়েছে (ভিডিও)। তাদের টার্গেট বাস্তবায়নের জন্য রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি, গোপন তৎপরতা এবং নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে প্রভাব খাটানোর প্রচেষ্টা চালানো হয়। এর মধ্যে সীমান্ত অঞ্চল, বিদ্যুৎ খাত এবং জলবণ্টন চুক্তি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। সমালোচকরা মনে করেন, দেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করে বাংলাদেশকে ভারতের ওপর নির্ভরশীল করার প্রচেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অস্তিত্ব নিয়ে মোদি’র পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে (ভিডিও)


ভারত থেকে ইজতেমায় হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ

ভারত থেকে ইজতেমায় হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ আসে এমন অভিযোগ তুলেছেন ওলামাগণ (ভিডিও), তাবলিগ জামাতের অভ্যন্তরীণ বিরোধে জড়িত ব্যক্তিদের একাংশ ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিল। ২০২৪ সালে বাংলাদেশে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হন, নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে ভারতীয় প্রভাব বিস্তার করে পরিকল্পিত সংঘর্ষের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল এমনটা ধারণা করা হয়। ভারতীয় তাবলিগ গোষ্ঠীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকেই (ভিডিও)। এই বিতর্ক তাবলিগ জামাতের ঐক্য ও ইজতেমার ধর্মীয় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ সরকার পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।


সোশ্যাল মিডিয়ায় ফিলিস্তিনিদের ইসরায়েলবিরোধী পোস্ট মুছে দেয় মেটা প্রতিষ্ঠান

মেটার প্রতিষ্ঠান ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, থ্রেডস-এ ফিলিস্তিন অঞ্চলে খবর রেস্ট্রিক্টেড করতে বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে বলে অভিযোগ রয়েছে (ভিডিও)। ব্যবহারকারীদের পোস্ট ও অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণের জন্য কন্টেন্ট মডারেশন নীতিমালা কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হয়। আলগোরিদম এবং মানব পর্যবেক্ষকদের মাধ্যমে নির্দিষ্ট শব্দ, ছবি বা ভিডিও সেন্সর করা হয় । ফিলিস্তিন সম্পর্কিত বিষয়বস্তু মুছে ফেলা, সীমিত প্রচার বা অ্যাকাউন্ট সাময়িক স্থগিত করার ঘটনা ঘটে। ইসরায়েলি সংস্থাগুলোর অভিযোগ বা ইসরায়েল সরকারের চাপে মেটা এধরণের পদক্ষেপ নিতে পারে, অনেকেই এটিকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচনা করে।


পিলখানা হত্যাকাণ্ড: বিডিআর ও সেনাবাহিনী ধ্বংস করার জন্য চক্রান্ত

২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি বর্তমান বিজিবি’র পিলখানা হত্যাকাণ্ড সুপরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা সহ মোট ৭৪ জন নিহত হন। কথিত বেতন বৈষম্য ও অন্যান্য সুবিধার দাবিতে বিডিআর জোয়ান ও কর্তব্যরত সেনাদের অভিযুক্ত প্রায় ১২০০০ মধ্যে বিচারিক রায়ে ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয় এবং অনেক চাকুরিচ্যুত করা হয় (ভিডিও সাক্ষাৎকার দেখুন)। তৎকালিন বিডিআর সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ড চক্রান্ত ফাঁসের কারণে সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয় (ভিডিও)


পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ভারতের সংশ্লিষ্টতা: বাহিনীর সদস্যরা হিন্দিভাষায় কথা বলেছেন

‘পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ভারতের সহযোগিতা’ বিষয়টি বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি অন্ধকার অধ্যায়। ২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারির পিলখানা হত্যাকাণ্ডে বিডিআর এর সদস্যরা তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হত্যা করে। কিছু রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করেন, বাংলাদেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য করতে গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলো বলে অভিযোগ করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্ত্রীদের যারা আটক করেছেন তাদের মধ্যে অনেকে হিন্দি ভাষায় কথা বলেছে (ভিডিও দেখুন)। তবে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের জটিলতা এবং সীমান্তের নিরাপত্তা পরিস্থিতি এই গুঞ্জনকে আরো জোরালো করেছে। পিলখানা হত্যাকাণ্ড ঘিরে দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করছে, যার বিচার এখনো সম্পন্ন হয়নি।


Title