ভারতের ব্যবসায় আধিপত্যবাদের নেপথ্যে ইসরায়েলি নীতি বাস্তবায়ন
পলিসি বিশ্লেষণ
ভারত বর্তমানে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে একটি উল্লেখযোগ্য স্থান অধিকার করে আছে। দেশটির ব্যবসায়িক কার্যক্রমের ধরন, নীতি এবং আন্তর্জাতিক সংযোগগুলোর মধ্যে ইসরায়েলি পলিসির প্রভাব উল্লেখযোগ্যভাবে পরিলক্ষিত হয়। ভারত দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনীতি ও ব্যবসার গুরুত্বপূর্ণ বাজার। ইসরায়েল ভারতকে ব্যবহার করে বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও মালদ্বীপ অঞ্চলে ব্যবসায়িক কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজনীয় ভিত্তি তৈরি করেছে। ভারতের ভৌগোলিক অবস্থান, উন্নত বন্দর সুবিধা এবং বৃহৎ ভোক্তা বাজার দক্ষিণ এশিয়ায় ইসরায়েলের কার্যক্রম পরিচালনার একটি কার্যকর প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে। ইসরায়েলি কোম্পানিগুলো ভারতীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম, কৃষি ও সাইবার নিরাপত্তার মতো খাতে নিজেদের উপস্থিতি শক্তিশালী করেছে।
ইসরায়েল প্রভাবিত ভারতীয় অতিরঞ্জিত বিজ্ঞাপন ক্রেতার বিশ্বাস অর্জনে সফল
তুলনামূলক বিশ্লেষণ
অতিরঞ্জিত বিজ্ঞাপন বা মিথ্যা বিজ্ঞাপন হলো এমন বিজ্ঞাপন যা কোনো পণ্য, সেবা বা প্রতিষ্ঠানের বাস্তব তথ্যকে অতিরঞ্জিত করে বা অসত্য উপস্থাপন করে। এর উদ্দেশ্য সাধারণত ক্রেতাদের আকৃষ্ট করা এবং তাদের সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলা। এই ধরনের ইসরায়েল প্রভাবিত ভারতীয় বিজ্ঞাপন বিভিন্ন প্রকার হতে পারে এবং এর মাধ্যমে ক্রেতাদের বিভ্রান্ত করা হয় বা তাদের নিকট অপ্রাসঙ্গিক বা ভুল তথ্য প্রদান করা হয়।
ভারতীয় অতিরঞ্জিত বিজ্ঞাপনের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো পণ্য বা সেবার কার্যকারিতা এবং গুণমান সম্পর্কে অবাস্তব দাবি করা। এই ধরনের দাবি সাধারণত এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়, যাতে গ্রাহকরা সহজেই প্রভাবিত হন এবং পণ্যটি কিনতে আগ্রহী হন। ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা দ্বারা পণ্যের এমনভাবে বিস্তারিত
খুচরা দোকানদার কোকাকোলা-পেপসি কিনতে বাধ্য করে!
মার্কেটিং পলিসি বিশ্লেষণ
আধুনিক বাংলাদেশিরা অপরকে অনুসরণ ও অনুকরণে বিশ্বাসী হয়ে উঠছে। ছোটছোট দোকানিরা বড়বড় সুপারশপগুলোকে অনুকরণ করে। সুপারশপগুলো যেসব পণ্য রাখে ছোটদোকানিরা তা বিক্রয় পদ্ধতি অনুসরণ করার চেষ্টা করে। এখানে এলিট-ক্লাস ভোক্তার আসা-যাওয়া করে বিধায় খুচরা দোকানিদের চেষ্টা থাকে একই ক্লাসকে আকৃষ্ট করতে এবং অন্তত মিডল-ক্লাসের নিকট তাদের পণ্য বিক্রি করতে। অধিকাংশ এলিট-ক্লাস ভোক্তারা বিদেশি বিজ্ঞাপন দেখে হয়তো কোকাকোলা বা পেসসি মতো ব্র্যান্ডের পণ্য কিনতে অনেকটা আগ্রহ দেখায়, পেসসির প্রচারণা যাইহোক যেহেতু বিদেশিরা এটা পান করে ‘এটা নিশ্চয় ভালো পানীয়’ এমন বিশ্বাস সাধারণত মনষ্কতাত্ত্বিক চিন্তাধারায় চলে আসে। আসলে আন্তর্জাতিক সকল পানীয় পণ্যের উপকরণ প্রয়োগের একটা আদর্শমান থাকে সেভাবেই পণ্য প্রস্তুত করা
বিস্তারিতবাংলাদেশের সংবাদপত্রে ভারতীয় সংস্কৃতির আদিপত্য
পর্যবেক্ষণ জরিপ
বাংলাদেশের গণমাধ্যমে ভারতীয় সংস্কৃতির আদিপত্য বর্তমানে একটি বহুল আলোচিত বিষয়। দেশের সংবাদপত্র, টেলিভিশন চ্যানেল, ভারতীয় বিজ্ঞাপন প্রচারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার, এমনকি চলচ্চিত্র এবং নাট্যজগতেও ভারতীয় সংস্কৃতি বিস্তৃতভাবে প্রচারিত হচ্ছে। এ প্রভাব শুধু বিনোদনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এটি আমাদের স্থানীয় সংস্কৃতি এবং সামাজিক কাঠামোর ওপর গভীর প্রভাব ফেলছে। বাঙালি সংস্কৃতির নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ও ঐতিহ্য থাকলেও, ভারতীয় সংস্কৃতি প্রভাবিত চলচ্চিত্র, টিভি সিরিয়াল, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম এবং গান ক্রমাগত সেই ঐতিহ্যকে ছাপিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে ভারতীয় টিভি সিরিয়ালের মাধ্যমে একটি বিদেশি জীবনধারা, ভাষা এবং আচার-আচরণ বাংলাদেশের ঘরে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে। এই প্রভাব নতুন প্রজন্মের মধ্যে তাদের
বিস্তারিতদক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের এআই-ভিত্তিক আদিপত্য
ডিজিটাল হেজিমনি
দক্ষিণ এশিয়ায় আধুনিক প্রযুক্তি, বিশেষত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), সামাজিক, রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ভারতের মতো বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশে এআই ব্যবহারের মাধ্যমে সরকার ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কর্তৃত্ববাদী প্রবণতা প্রকাশ করছে।
ভারতের সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা ও কুটনৈতিক মহলগুলো আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) আধিপত্য বিস্তারে ব্যবহার করছে, যেমন নজরদারি, তথ্য বিশ্লেষণ, ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং সামাজিক মাধ্যমে প্রচার নিয়ন্ত্রণ করে। উদাহরণস্বরূপ, স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের সময়ে রাষ্ট্রীয় সহায়তায় নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য বিক্রির অভিযোগ পাওয়া যায় এবং বাংলাদেশের নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র তথ্য-ভান্ডার ভারতের কাছে রয়, এর মাধ্যমে ফেসিয়াল রিকগনিশন সিস্টেম এবং বায়োমেট্রিক ডেটা বিশ্লেষণ করে ভারতবিরোধী মত দমন...
বিস্তারিতবিডিআর হত্যাকাণ্ডে ভারতীয় গোয়েন্দার সরাসরি সংশ্লিষ্টতা
কনটেন্ট বিশ্লেষণ
২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে পিলখানা বিদ্রোহ ও বিডিআর হত্যাকাণ্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় ট্র্যাজেডি। এই ঘটনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা সহ ৭৪ জন নিহত হন। হত্যাকাণ্ডের পেছনে বিভিন্ন তত্ত্ব উঠে এসেছে, যার মধ্যে একটি হলো বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর, বিশেষ করে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র-এর সংশ্লিষ্টতার সম্ভাবনা।
এই ঘটনার পেছনে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেকে। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র (RAW) এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্টতা নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা ও তত্ত্ব উঠে এসেছে। বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর স্বজনরা বলেছেন, “বিডিআর হত্যাকাণ্ডে ভারতীয়দের সরাসরি যোগসাজোশ ছিলো। বিডিআর হত্যাকাণ্ডের দিন সেনাসদস্যদের আত্মীয়দের যারা জিম্মি করেছেন তাদের মধ্যে অনেকে হিন্দি ভাষায় কথোপকথন করেছে, একজন ভারতীয়সেনা হিন্দিভাষায়...
বিস্তারিতইসরায়েলিজম প্রসার ও বিশ্ব সংঘাত
ক্রিটিক্যাল ডিসক্লোজ
ইহুদি জাতীয়তাবাদ ও ইসরায়েলিজম
ইসরায়েলিজম বলতে মূলত ইসরায়েলের জাতীয়তা ও রাষ্ট্রভিত্তিক আদর্শের প্রতি আনুগত্য এবং সমর্থন বোঝানো হয়। এটি একটি রাজনৈতিক, ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক ধারণা, যা ইসরায়েল রাষ্ট্রের অস্তিত্ব এবং এর আধিপত্যের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করে। সাধারণভাবে, ইসরায়েলিজম ইসরায়েলের প্রতি একধরনের আদর্শিক, নৈতিক বা রাজনৈতিক অঙ্গীকারের প্রতিনিধিত্ব করে, বিশেষ করে ইহুদি জনগণের জাতীয় অস্তিত্ব এবং সুরক্ষার সঙ্গে সম্পর্কিত ধারণাগুলিকে সমর্থন করে। ইসরায়েলিজমের উৎপত্তি মূলত ইহুদি জাতীয়তাবাদের (জায়োনিজম) সঙ্গে সম্পর্কিত। ইহুদি জাতীয়তাবাদ ছিল একধরনের রাজনৈতিক আন্দোলন, যা ১৯শ শতকে ইউরোপে উদ্ভূত হয়। এই আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল একটি স্বাধীন ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা, যা ইসরায়েলে (পবিত্র ভূমি) অবস্থিত হবে।
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত হত্যা
সমীক্ষা বিশ্লেষণ
লেখক: ড. এসইউ আশরাফী ও প্রধান স্বেচ্ছাসেবী সমন্বয়ক- ভয়েস অফ বয়কট
পাকিস্তান আমলের ২৩ বছরে ভারত-বাংলাদেশ উভয় দেশ ‘সীমান্ত বন্ধ’ হওয়ার নীতি অনুসরন করে। বর্তমান সময়ে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত উন্মুক্ত হওয়ায় হাজারো সমস্যা দেশ দুটোকে সমস্যা আকীর্ন করে তুলছে। ১৯৭২-২০২০ পর্যন্ত বাংলোদেশ ভারত সীমান্তে ১৮৬০ নিহত হয়েছে এবং অপহরণ, ধর্ষণ ও নিখোঁজ সংখ্যাসহ সর্বমোট ৫০৮৪ জন বাংলাদেশি নাগরিক বিভিষিকা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। বর্তমান গবেষণায় ২০১৪-২০১৬ সময়ে সীমান্তে নাগরিক হত্যা বিষয়ে উপস্থাপিত হয়েছে। এ সময়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে ও শারীরিক নির্যাতনে ৫৭ বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন। অপহরণের শিকার হয়েছেন ৮৭ জন। অপহরণের পর ফিরে...
বিস্তারিতভারতে মুসলিমবিরোধী এনআরসি আইন ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা
সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি
ভারতে এনআরসি (জাতীয় নাগরিক পঞ্জি আইন এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব একটি দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকা রাজনৈতিক ও সামাজিক সমস্যা। এনআরসি মূলত একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে নাগরিকদের সঠিক পরিচয় নিশ্চিত করতে চাওয়া হয় এবং তারা কেবলমাত্র ভারতীয় নাগরিক হিসেবে গণ্য হবে, যারা তাদের নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে পারবে। তবে এই প্রক্রিয়া ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভিন্ন উদ্বেগ এবং বিরোধ সৃষ্টি করেছে। এর কিছু প্রধান কারণ নিচে তুলে ধরা হলো:
এনআরসি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন: এনআরসি এবং সিএএ (নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন) একে অপরের সাথে সম্পর্কিত। ২০১৯ সালে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) পাশ হয়, যা আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আগত হিন্দু, শিখ,...
বিস্তারিতদক্ষিণ এশিয়ায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ভারতের কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠা
ডিজিটাল হেজিমনি
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দ্রুত প্রযুক্তিগত অগ্রগতির যুগে শাসনব্যবস্থা, ভূ-রাজনীতি এবং সমাজের রূপান্তর ঘটাচ্ছে। ডিজিটাল উদ্ভাবন এবং ক্ষমতার ভারসাম্য আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ব্যবস্থাগুলো পুনর্গঠন করছে, কারণ রাষ্ট্রসমূহ কৌশলগত ও কার্যকরী লক্ষ্য অর্জনে এআই ব্যবহার করছে। এআই-চালিত কর্তৃত্ববাদ এবং ডিজিটাল আধিপত্য বিশেষভাবে ভারতীয় কৌশলগত উত্থানের প্রসঙ্গে এবং বৈশ্বিক শৃঙ্খলার উপর এর প্রভাব বিশ্লেষণ করা হয়। এআই কর্তৃত্ববাদী শাসনগুলোকে বিশ্বব্যাপী তাদের নিয়ন্ত্রণ আরও শক্তিশালী করতে সহায়তা করছে (Anand, 2012), নজরদারি প্রক্রিয়া সরলীকরণ করছে এবং বিরোধীদের দমন করছে (Bader, 2019)। এটি এক নতুন প্রক্রিয়াভিত্তিক প্রযুক্তিগত কর্তৃত্ববাদের মডেল তৈরি করেছে (Schlogl & Kim, 2023)। ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রভাব বিস্তার, অর্থনৈতিক সুবিধা অর্জন, এবং আঞ্চলিক পুনর্গঠনের...
বিস্তারিতইসরায়েল-ভারত মুসলিম নিধনে যোগসাজশ
ফ্যাক্ট বিশ্লেষণ
ইসরায়েল ও ভারতের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়েছে, বিশেষ করে সামরিক এবং নিরাপত্তা ক্ষেত্রে। এটি এমন কিছু বিষয়কে সামনে এনেছে যা মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। দুটি দেশই মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলে সংঘাত এবং বিদ্রোহ দমনে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে মুসলিম জনগণের উপর নির্যাতনের অভিযোগের সম্মুখীন হয়েছে, যেমন ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের উপর। এই প্রেক্ষাপটে, অনেক সমালোচক মনে করেন যে, ইসরায়েল ও ভারতের মধ্যে যে সামরিক সহযোগিতা চলছে, তা মুসলিম জনগণের উপর দমন-পীড়ন কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করছে। তারা এমনও মনে করেন যে, ইসরায়েলের দমননীতি থেকে ভারত শিখছে এবং তা কাশ্মীরে প্রয়োগ করছে। এটি আরও স্পষ্ট হয় সাম্প্রতিক অস্ত্র...
বিস্তারিত