Title Title
১ লক্ষ ফিলিস্তিন হত্যার পর ইসরায়েলের কথিত যুদ্ধবিরতি

ইসরায়েলের সেনা ও আইডিএফ দ্বারা শিশু ও নারীসহ প্রায় ১ লক্ষ ফিলিস্তিনী হত্যার পর ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছে। হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনী নির্বিকার ও মানবেতর জীবন-যাপন করেছে গাজায়। ৩ টি শর্ত দিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেতানিয়াহু, আন্তর্জাতিক চাপ এবং মানবিক সংকটের তীব্রতায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইসরায়েলের ২০২৪ অপারেশনে বহু নিরীহ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, যার মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। যুদ্ধবিরতির ফলে মানবিক সহায়তা প্রদানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তবে, স্থায়ী সমাধানের জন্য রাজনৈতিক আলোচনার প্রয়োজনীয়তা বিশেষজ্ঞরা জোর দিচ্ছেন।

নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় বাংলাদেশি ৩ প্রকৌশলীকে গুমের পর নির্যাতন

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় বাংলাদেশের ৩ জন প্রকৌশলীকে গুম করে নিযার্তন করেছে তৎকালিন শেখ হাসিনা সরকার। ২০২০ সালে হিন্দু উগ্রপন্থী ও হিন্দুত্ববাদীর বিরুদ্ধে ফেইসবুকে পোস্ট দেওয়ার পর থেকে স্ট্যাটাস দেওয়ার পর থেকে তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না, র‌্যাব পরিচয়ে তোলে নেওয়ার সময় গুলি শুটের হুমকি দেওয়া হয় (ভিডিও)। পরবর্তীতে তাদের নিয়ে জঙ্গি নাটক ও মিডিয়া ট্রায়াল দেওয়ায় মানবাধিকার সংস্থাগুলো এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেং এর সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে। সমালোচকরা এটিকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আঘাত হিসেবে দেখছেন। এ ঘটনায় সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

স্বৈরাচার হাসিনার গোপন কারাগারে শিশু আটক রেখে নির্যাতন

বাংলাদেশে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসনামলে গোপন কারাগারে শিশুদের আটকের অভিযোগ উঠেছে। বিরোধীদল ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, এসব কারাগারে রাজনৈতিক কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি শিশুদেরও আটক রেখে শারিরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হতো। অভিযোগ রয়েছে, সরকার ভিন্নমত দমন করতে এই অমানবিক পদ্ধতি অবলম্বন করেছে। শিশুদের আটকের বিষয়টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। এ ঘটনায় দেশের ভেতরে ও বাইরে সমালোচনা তীব্রতর হচ্ছে।

মোদির পোস্টের তীব্র প্রতিবাদ জানালেন আইন উপদেষ্টা

বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি বিতর্কিত পোস্টকে কেন্দ্র করে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তার বক্তব্য অনুযায়ী, পোস্টটি সংবিধানের নীতিমালা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিপন্থী। তিনি এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে অবিলম্বে পোস্টটি প্রত্যাহারের দাবি জানান। বিষয়টি নিয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের কথাও বিবেচনা করা হচ্ছে। দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে মতে, এমন বক্তব্য জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা ক্ষুণ্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে।

৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী: ছাত্র-জনতার উপর গুলি ও হত্যাকাণ্ডের প্রামাণ্যচিত্র

৫ই আগস্ট ২০২৪-এ বাংলাদেশে একটি ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড ঘটে, যা দেশজুড়ে শোকের ছায়া ফেলে। রাজধানীর যাত্রাবাড়ি এলাকায় সংঘটিত এ ঘটনায় বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটে (ইংরেজি ভিডিও)। পুলিশ স্বৈরাচারের পক্ষে সন্ত্রাসী ভুমিকায় নিরহ মানুষের উপর এমন হত্যাযজ্ঞ চালায় (ভিডিও)। অনেক মাদরাসার ছাত্রদের উপর আহতবস্থায় গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করেছে যাত্রাবাড়িতে অপারেশনে থাকা পুলিশবাহিনী (ভিডিও)। স্বৈরাচার হাসিনা পতনের পর থেকে অন্তবর্তীকালীন সরকারের নিকট যাত্রাবাড়ি এলাকায় ছাত্র-জনতা উপর নির্বিচারে গুলি ও হত্যাকান্ডের বিচারের দাবী জানিয়ে আসছে।

বাংলাদেশ সীমান্তে ‘আল্লাহু আকবার’ ও ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে সীমান্তে সম্প্রতি ‘আল্লাহু আকবার’ এবং ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান ধ্বনির ঘটনা উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে (ভিডিও)। দুই প্রতিবেশী দেশের সীমান্ত রক্ষীদের মধ্যে ধর্মীয় স্লোগানের প্রতিধ্বনি রাজনৈতিক এবং সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বাড়াতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। এ ধরনের ঘটনা সীমান্তে সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট করতে পারে। স্লোগানগুলো অনেক সময় ঐক্যের পরিবর্তে বিভেদ উস্কে দেয়। শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে উভয় পক্ষকে সংযম প্রদর্শন এবং সীমান্তে উত্তেজনা এড়ানোর জন্য কূটনৈতিক উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।

ভারতের গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে ভুয়া খবর প্রচার

ভারতের কিছু গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে ভুয়া খবর প্রচারের প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। এসব সংবাদে প্রায়ই বাংলাদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি বিকৃতভাবে উপস্থাপিত হয় (ভিডিও দেখুন)। ১২ আগস্ট থেকে ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত ভারতের অন্তত ৪৯টি গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে ১৩টি ভুয়া খবর প্রচারিত হয়েছে। ভুয়া খবর প্রচারের মাধ্যমে দেশটির জনগণকে বিভ্রান্ত করা এবং পারস্পরিক সম্পর্ক নষ্ট করার চেষ্টা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব গুজবের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে। সত্য যাচাইয়ে সতর্ক থাকা এবং দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার গুরুত্ব অপরিসীম।

ভারতের বিপক্ষে কথা বললেই নেওয়া হতো প্রথমআলো’র আয়নাঘরে

প্রথম আলো পত্রিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে ‘দেশে ভারতীয় আগ্রাসনের প্রবেশদ্বার’ (ভিডিও) এবং হত্যাকাণ্ড নিয়ে ভূল প্রতিবেদন তৈরি করেছে। ঢাবির এক নির্যাতিত শিক্ষার্থীর অভিযোগ, ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলায় থাকে প্রথম আলো অফিসে নির্যাতন করা হয়েছে (ভিডিও)। সমালোচকরা মনে করেন, ভারতের স্বার্থ রক্ষায় পত্রিকাটি নিজেদের নিরপেক্ষতা হারিয়েছে, এছাড়াও বিতর্কিত আচরণে স্বচ্ছতা ও নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। সমালোচনার মূল কারণ, প্রতিবেশী দেশের বিরুদ্ধে ন্যায্য বক্তব্য কেউ প্রকাশ করলে ডেইলি স্টার ও প্রথম আলো পত্রিকাদ্বয় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতো গুরুতর অভিযোগ উঠে (ভিডিও), যা সাংবাদিকতার নীতিমালা লঙ্ঘন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

শেখ হাসিনা দিল্লিকে ‘ঢাকা অ্যাটাক’ করতে বলেছিলেন

বাংলাদেশের স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ‘ভারতকে ঢাকা আক্রমণ করতে বলেছিলেন’এমন একটি পত্রিকার শিরোনাম সাম্প্রতিক রাজনৈতিক আলোচনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে (ভিডিও)। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সূত্র অনুযায়ী, সত্যতার ব্যাখ্যাও পাওয়া যায় এবং সরকার বা সংশ্লিষ্ট পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি (ভিডিও)। বিরোধী দলগুলো এটি নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনের জন্য নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি উঠেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ভারতের অ্যাটাক ও রাজনীতিতে গোয়েন্দা সংস্থা র (RAW) সংশ্লিষ্টতা বিষয়টিকে খতিয়ে দেখার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন সাংবাদিকরা।

আজমির শরিফে শিব মন্দির’ ছিল হিন্দুসেনা নেতার দাবি ও আদালতে মামলা

ভারতের হিন্দু সেনার এক নেতা দাবি করেছেন, আজমির শরিফ দরগাহ স্থাপনের পূর্বে সেখানে একটি প্রাচীন শিব মন্দির ছিল (ভিডিও)। এই দাবি ঘিরে বিতর্কের মধ্যে তিনি আদালতে মামলা করেছেন। ইতোমধ্যে ভারতে অসংখ্য মসজিদ ভাঙ্গা হয়েছে (ভিডিও) অনেক মসজিদ নিয়ে বিতর্কও চলছে (ভিডিও)। উগ্রপন্থি ভারতীয় রাজনৈতিক দলের নেতারা মনে করছেন, অনেকগুলো দরগাহের স্থানে হিন্দু ধর্মের প্রাচীন নিদর্শন রয়েছে, যা পুনরুদ্ধার করা প্রয়োজন। মুসলিম সম্প্রদায় এ দাবিকে ভিত্তিহীন ও উস্কানিমূলক বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। এ ঘটনা ধর্মীয় সম্প্রীতিতে ক্ষুন্ন হতে পারে, হিন্দুত্ববাদীরা আদালতের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে।

বাংলাদেশে ভারতীয় গোয়েন্দার টার্গেট বাস্তবায়নের চেষ্টা

বাংলাদেশে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা র (RAW) রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করতে কাজ করছে বলে অভিযোগ রয়েছে (ভিডিও)। তাদের টার্গেট বাস্তবায়নের জন্য রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি, গোপন তৎপরতা এবং নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে প্রভাব খাটানোর প্রচেষ্টা চালানো হয়। এর মধ্যে সীমান্ত অঞ্চল, বিদ্যুৎ খাত এবং জলবণ্টন চুক্তি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। সমালোচকরা মনে করেন, দেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করে বাংলাদেশকে ভারতের ওপর নির্ভরশীল করার প্রচেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অস্তিত্ব নিয়ে মোদি’র পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে (ভিডিও)

ভারত থেকে ইজতেমায় হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ

ভারত থেকে ইজতেমায় হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ আসে এমন অভিযোগ তুলেছেন ওলামাগণ (ভিডিও), তাবলিগ জামাতের অভ্যন্তরীণ বিরোধে জড়িত ব্যক্তিদের একাংশ ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিল। ২০২৪ সালে বাংলাদেশে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হন, নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে ভারতীয় প্রভাব বিস্তার করে পরিকল্পিত সংঘর্ষের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল এমনটা ধারণা করা হয়। ভারতীয় তাবলিগ গোষ্ঠীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকেই (ভিডিও)। এই বিতর্ক তাবলিগ জামাতের ঐক্য ও ইজতেমার ধর্মীয় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ সরকার পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ফিলিস্তিনিদের ইসরায়েলবিরোধী পোস্ট মুছে দেয় মেটা প্রতিষ্ঠান

মেটার প্রতিষ্ঠান ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, থ্রেডস-এ ফিলিস্তিন অঞ্চলে খবর রেস্ট্রিক্টেড করতে বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে বলে অভিযোগ রয়েছে (ভিডিও)। ব্যবহারকারীদের পোস্ট ও অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণের জন্য কন্টেন্ট মডারেশন নীতিমালা কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হয়। আলগোরিদম এবং মানব পর্যবেক্ষকদের মাধ্যমে নির্দিষ্ট শব্দ, ছবি বা ভিডিও সেন্সর করা হয় । ফিলিস্তিন সম্পর্কিত বিষয়বস্তু মুছে ফেলা, সীমিত প্রচার বা অ্যাকাউন্ট সাময়িক স্থগিত করার ঘটনা ঘটে। ইসরায়েলি সংস্থাগুলোর অভিযোগ বা ইসরায়েল সরকারের চাপে মেটা এধরণের পদক্ষেপ নিতে পারে, অনেকেই এটিকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচনা করে।

পিলখানা হত্যাকাণ্ড: বিডিআর ও সেনাবাহিনী ধ্বংস করার জন্য চক্রান্ত

২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি বর্তমান বিজিবি’র পিলখানা হত্যাকাণ্ড সুপরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা সহ মোট ৭৪ জন নিহত হন। কথিত বেতন বৈষম্য ও অন্যান্য সুবিধার দাবিতে বিডিআর জোয়ান ও কর্তব্যরত সেনাদের অভিযুক্ত প্রায় ১২০০০ মধ্যে বিচারিক রায়ে ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয় এবং অনেক চাকুরিচ্যুত করা হয় (ভিডিও সাক্ষাৎকার দেখুন)। তৎকালিন বিডিআর সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ড চক্রান্ত ফাঁসের কারণে সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয় (ভিডিও)

পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ভারতের সংশ্লিষ্টতা: বাহিনীর সদস্যরা হিন্দিভাষায় কথা বলেছেন

‘পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ভারতের সহযোগিতা’ বিষয়টি বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি অন্ধকার অধ্যায়। ২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারির পিলখানা হত্যাকাণ্ডে বিডিআর এর সদস্যরা তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হত্যা করে। কিছু রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করেন, বাংলাদেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য করতে গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলো বলে অভিযোগ করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্ত্রীদের যারা আটক করেছেন তাদের মধ্যে অনেকে হিন্দি ভাষায় কথা বলেছে (ভিডিও দেখুন)। তবে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের জটিলতা এবং সীমান্তের নিরাপত্তা পরিস্থিতি এই গুঞ্জনকে আরো জোরালো করেছে। পিলখানা হত্যাকাণ্ড ঘিরে দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করছে, যার বিচার এখনো সম্পন্ন হয়নি।

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের গণহত্যা

ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ফিলিস্তিনে সাম্প্রতিক সংঘর্ষগুলি বিশ্বমঞ্চে ‘গণহত্যা’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, যেখানে ব্যাপক নিরস্ত্র বেসামরিক মানুষের জীবনহানির ঘটনা ঘটছে (ভিডিও দেখুন)। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলি ইসরায়েলের এ ধরনের আক্রমণকে মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে নিন্দা জানিয়ে এসেছে, যা আন্তর্জাতিক আইন ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সংজ্ঞায় পড়ে। এর ফলে ফিলিস্তিনিদের অস্তিত্বগত সংকট তীব্রতর হয়েছে, আর এভাবে চলতে থাকলে অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা সংকীর্ণ হবে (ডকুমেন্টারি দেখুন)

বাংলাদেশে ইসরায়েলি পণ্য বয়কট

ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের আহ্বান বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন স্থানে বৃদ্ধি পেয়ে চলছে (ভিডিও দেখুন), বিশেষ করে ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসরায়েলের সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে। বাংলাদেশে বয়কট আন্দোলন বিভিন্ন দেশের বাজারে ইসরায়েলি পণ্যের চাহিদা কমিয়ে দিয়েছে এবং কিছু ব্র্যান্ড তাদের পণ্য সরিয়ে নিয়েছে (ভিডিও বাংলায় দেখুন)বয়কটের মাধ্যমে বৈশ্বিক সমর্থন গড়ে তোলার চেষ্টা সফল হলেও, কিছু ক্ষেত্রে বিকল্প বাজারের মাধ্যমে ইসরায়েল তার ব্যবসায়িক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে, যা আন্দোলনের প্রভাবকে সীমিত করেছে। বয়কটের দীর্ঘমেয়াদী ফলাফল বিশ্বের অর্থনৈতিক সম্পর্ক এবং রাজনৈতিক চাপের উপর নির্ভর করছে।

মসজিদে আজানের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে বিতর্কে ভারতীয় গায়ক সনু নিগাম

ভারতের সঙ্গীতশিল্পী সনু নিগাম তার এক টুইটে আজানকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন, যা ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। তিনি বলেন, ‘আজান শব্দটি শব্দদূষণের মতো’, এবং এটি তার প্রাতঃকালীন বিশ্রামে বাধা সৃষ্টি করছে (ভিডিও দেখুন)। তার এই মন্তব্যের পর সামাজিক মাধ্যম ও মিডিয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। অনেক মুসলিম ধর্মাবলম্বী তার মন্তব্যকে অবমাননাকর হিসেবে গ্রহণ করেন। সনু নিগামের পক্ষ থেকে পরবর্তীতে ক্ষমা প্রার্থনা করা হলেও বিতর্কটি ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়, যা ধর্মীয় সহিষ্ণুতার বিষয়ে পুনরায় আলোচনা সৃষ্টি করে।

হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে অবমাননা ও কটূক্তি ভারতের বিজেপি নেতার

ভারতের বিজেপি নেতা নূপুর শর্মা ও কুমার কেশব ইসলাম ধর্মের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার পর বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ইসলামপন্থী সংগঠনগুলো বিক্ষোভ করে (ভিডিও দেখুন)। ঢাকায় বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে তৌহিদি জনতা প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করে, তাদের দাবি ছিল কটূক্তিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া (ভিডিও দেখুন)। ইসলামপন্থী নেতারা মন্তব্যগুলোর জন্য দুঃখ প্রকাশ এবং ভারতের সরকারকে নিন্দা জানানোর আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের বিজেপি নেতার বিদ্বেষমূলক ভাষণ

ভারতের বিজেপি নেতা ঈশ্বরাপ্পা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করেছেন, যা দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটাতে পারে। তিনি এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে হিন্দুদের অবস্থান নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন, যা বাংলাদেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে (ভিডিও দেখুন)। বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতারা ও নাগরিক সমাজ তার বক্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন এবং তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এই মন্তব্যের পর দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক আলোচনা এবং সম্পর্কের নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে।

ইতিহাস: অযোধ্যার বাবরি মসজিদ ও রাম মন্দির

ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় ১৫২৮ সালে মুঘল সম্রাট বাবরের সেনাপতি মীর বাকি বাবরি মসজিদ নির্মাণ করেন (ভিডিও দেখুন)। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর, হিন্দুত্ববাদী করসেবকরা মসজিদটি ধ্বংস করে (ভিডিও দেখুন), যা ভারতের ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হয় (ভিডিও দেখুন)।এই ঘটনার পর দেশজুড়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে হাজার হাজার মুসলিম নিহত হন। মসজিদ কেন্দ্রীক ভারতের ধর্মীয় সম্প্রীতি ও রাজনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলে এবং আজও দেশের সাম্প্রদায়িক সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে বিবেচিত হয়।

ভারতে মহানবী (সা.)-কে কটূক্তির প্রতিবাদ

ভারতের মহারাষ্ট্রে হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি করেন, যা বিজেপি বিধায়ক নীতেশ রানে সমর্থন করেন (ভিডিও দেখুন)। এ ঘটনার প্রতিবাদে ভারতীয় পণ্য মুসলিম বিশ্ব বয়কট করছেবাংলাদেশে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে সমাবেশ করে। এ ছাড়া সিলেট, ফরিদপুর, রাজশাহী, গোপালগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় তৌহিদি জনতা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে। বক্তারা কটূক্তিকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

মসজিদের স্থানে মন্দির ছিল দাবি, ভারতে পুলিশের গুলিতে তিন মুসল্লি নিহত

ভারতের উত্তরপ্রদেশের সম্ভল জেলায় মুঘল আমলের শাহী জামা মসজিদে সমীক্ষা চালানোর সময় সহিংসতায় তিন মুসল্লি নিহত হয়েছেন। হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলোর দাবি, মসজিদটি পূর্বে হিন্দু মন্দির ছিল; এই দাবির ভিত্তিতে আদালতের নির্দেশে সমীক্ষা শুরু হলে স্থানীয় মুসলিমরা প্রতিবাদ করেন (ভিডিও দেখুন)। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহার করে। সহিংসতায় প্রায় ৩০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে (ভিডিও দেখুন)। ঘটনার পর এলাকায় ইন্টারনেট সেবা বন্ধ এবং স্কুলগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।

ভারতে ৮ বছরের মুসলিম শিশু আসিফা ধর্ষণ ও হত্যার রায়

ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলায় ২০১৮ সালে আট বছরের শিশু আসিফা বানুকে অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়। প্রধান অভিযুক্ত মন্দির তত্ত্বাবধায়ক সাঞ্জি রামসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, যাদের মধ্যে পুলিশ কর্মকর্তারাও ছিলেন। তদন্তে জানা যায়, আসিফাকে মাদক দিয়ে অচেতন করে মন্দিরে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয় এবং পরে হত্যা করা হয় ( ইন্ডিয়া টুডে’র ও চ্যানেল টোয়েন্টিফোর’র ভিডিও দেখুন) ।

ফিরে দেখাঃ ভারতের গুজরাট দাঙ্গায় মুসলিমদের গণহত্যা

২০০২ সালে ভারতের গুজরাট রাজ্যে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় প্রায় ২,০০০ মানুষ নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই মুসলিম ছিলেন। এই দাঙ্গা ভারতের স্বাধীনতার পর অন্যতম ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক সহিংসতা হিসেবে বিবেচিত হয়। দাঙ্গার সময় নরেন্দ্র মোদি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, এবং তাঁর প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক ও সমালোচনা হয়েছে। পরবর্তীতে, দাঙ্গার ঘটনায় বিচার ও তদন্তের জন্য বিশেষ তদন্ত দল (SIT) গঠন করা হয়, যা কিছু অপরাধীর শাস্তির যথার্থ হয়নি (বিসিসি’র ডুমেন্টারি ভিডিও দেখুন ও আলজাজিরা’র সমালোচনা দেখুন)।

বাংলাদেশের বিজয়কে অস্বীকারের অপচেষ্টা: মোদির পোস্ট নিয়ে সমালোচনার ঝড়

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর টুইটারে ১৯৭১ সালের যুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে একটি পোস্ট করেন (ভিডিও দেখুন)। এতে তিনি উল্লেখ করেন, ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করেছে, তাঁর পোস্টে বাংলাদেশের কোন নাম নেই। এই পোস্টে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অবদানকে প্রধান্য দেওয়ায় সমালোচনা শুরু হয়। এতে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগ ও সংগ্রামকে উপেক্ষা করা হয়েছে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের গুরুত্বকে খাটো করা হয়েছে।

ফিরে দেখাঃ ভারতীয় সেনা দ্বারা ১৯৯১ সালে কাশ্মীরের কুনান ও পোশপোরায় গণধর্ষণের বিচার হয়নি

১৯৯১ সালে কাশ্মীরের কুনান ও পোশপোরা গ্রামে ভারতের সেনাবাহিনী এক নারকীয় গণধর্ষণ ও অত্যাচারের ঘটনা ঘটায় (ভিডিও দেখুন)। সেসময়, সেনারা ৩০০-এরও বেশি মহিলাকে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করে (ভিডিও দেখুন), তবে এই ঘটনায় আজও বিচার হয়নি। দীর্ঘ ৩৩ বছর পরও দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হয়নি, যার ফলে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই ঘটনার বিচার দাবির পাশাপাশি, কাশ্মীরের মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতির জন্য কার্যকরী পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে।

ভারতে মুসলিম নারীদের কেনাবেচার হাট

ভারতে মুসলিম নারীদের 'কেনাবেচা' ঘটনার প্রতিবাদে সারা দেশে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। ‘সুল্লি ডিলস’ নামক একটি ওয়েবসাইটে ভার্চুয়াল নিলামে মুসলিম নারীদের বিক্রি করা হচ্ছিল, যা ২০২১ সালে সামনে আসে। এই ঘটনাটি মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্য ও ঘৃণার প্রতিফলন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘটনার প্রতিবাদ হলেও, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। মানবাধিকার সংগঠনগুলির দাবি, এটি শুধুমাত্র মুসলিম নারীর প্রতি সহিংসতা নয়, বরং সমাজে ধর্মীয় বিভেদের গভীর সংকটের প্রকাশ (ভিডিও দেখুন)

বিএসএফের গুলি: সীমান্তে ১৫ বছরে ছয় শতাধিক বাংলাদেশি হত্যা

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে হত্যা একটি উদ্বেগজনক ঘটনা হিসেবে পরিচিত। সীমান্তে হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনা প্রায়ই ঘটছে, যা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের জন্য বিরূপ প্রভাব ফেলছে। দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে অপ্রীতিকর সংঘর্ষ ও ভুল বোঝাবুঝির কারণে নিরীহ মানুষ নিহত হচ্ছেন (ভিডিও দেখুন)। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই ঘটনার সমাধান রাজনৈতিক সংকল্প, সীমান্তে নজরদারি বৃদ্ধি ও দু'দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর মাধ্যমে সম্ভব। তবে, স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং মানবাধিকার রক্ষা করতে সরকারের উচিত যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া।

ভারতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলা ও সহকারী হাইকমিশনের কাজ বন্ধ

ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে ১৬ আগস্ট’২৪ অজ্ঞাত ব্যক্তিরা হামলা চালায়। হামলাকারীরা হাইকমিশনের দপ্তরে প্রবেশ করে তাণ্ডব চালায় এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিঁড়ে ফেলে। ঘটনার পর সহকারী হাইকমিশন বাংলাদেশ সরকার কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ করে দেয় এবং ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে তীব্র প্রতিবাদ জানায় এবং দ্রুত তদন্তের দাবি জানায়। হামলার কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি, তবে এটি বাংলাদেশের প্রতি বৈরী মনোভাবের প্রকাশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ভারত সরকার ঘটনাটির দ্রুত তদন্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতীয় মিডিয়ার মিথ্যাচার ও অপপ্রচার

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে নিয়ে ভারতের গদিমিডিয়া’র অপপ্রচার বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারতের আগরতলায় আটক হওয়া বাংলাদেশী তরুণীকে নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ায় মিথ্যা তথ্যপ্রচার করা হচ্ছে। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম দাবি করছে, তরুণীটি অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছে এবং তার কাছে বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া গেছে। তবে, বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তরুণীটি ত্রিপুরায় একটি বৈধ কাজে গিয়েছিল এবং তার বিরুদ্ধে কোনও অপরাধের প্রমাণ মেলেনি। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিষয়টি তদন্তের জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।

দিল্লিতে মুসলিমবিরোধী দাঙ্গায় ৪৩ নিহত ও মসজিদ অবকাঠামোর ধ্বংসযজ্ঞ

২০২০ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি দিল্লির উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় মুসলিমবিরোধী এ দাঙ্গার সূত্রপাত হয়। দাঙ্গায় নিহতের সংখ্যা ৪২ জন নিহত হয়েছে, কয়েকটি মসজিদে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে, দাঙ্গায় বহু মানুষ আহত হয়েছে এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ব্যাপক (ভিডিও দেখুন)। দাঙ্গার সময় এলাকার হিন্দুরা মুসলিমদের উপর হামলা করে মসজিদ ভেঙেছেে (ভিডিও দেখুন), হিন্দুত্ববাদীরা এলাকা দখল করে মুসলিমদের বাড়িঘর লুটপাট করেছে। মোদি সরকার শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানালেও, পরিস্থিতি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় স্বাভাবিক হয়নি।

পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের পতাকা অবমাননা

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বর্ধমান এলাকায় বাংলাদেশের পতাকা অবমাননার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা একটি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পতাকাকে অবমাননা করে। পুলিশ জানায়, স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে এবং ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে ঘটনার সুবিচার দাবি করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সারাদেশে ভারতীয় আগ্রাসন ও অপপ্রচার বন্ধের দাবি

বাংলাদেশের সাবেক পুলিশ কর্মকর্তারা ভারতীয় আগ্রাসন, সীমান্তে হত্যাকাণ্ডঅপপ্রচারের বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়েছেন। তারা ভারত সরকারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তোলেন এবং এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানান। বিএনপি-সহ রাজনৈতিক দলগুলো ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পদযাত্রা করেন এবং সরকারের কাছে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় শক্ত অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান। তারা বলেন, ভারত যেন বাংলাদেশে বিভাজন সৃষ্টি করতে না পারে, সেই জন্য সরকারের সক্রিয় পদক্ষেপ জরুরি।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী কর্তৃক ফিলিস্তিনিদের আটক করার পর নির্যাতন ও ধর্ষণ

জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিনিদের আটক করার পর তাদের উপর নির্যাতন বেড়ে চলেছে, যা একটি প্রতিরোধযোগ্য মানবতাবিরোধী অপরাধ। প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনিদের আটক করার সময় শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে এবং বন্ধী ফিলিস্তিনি নারী-পুরুষ ধর্ষণ যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের লঙ্ঘন। বিশেষজ্ঞরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই নির্যাতন বন্ধ করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীকে আটক থাকা অবস্থায় ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্যাতন বন্ধ করার জন্য জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন।

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত (১৯২০-২০২৩): ঐতিহাসিক প্রামাণ্যচিত্র দেখুন

১৯২০-২০২৩ সাল পর্যন্ত প্যালেস্টাইনে ঘটে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা নিয়ে আল-জাজিরার তথ্যচিত্র দেখুন। এই প্রামাণ্যচিত্রে, প্যালেস্টাইনিদের সংগ্রাম এবং তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী প্যালেস্টাইনের পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে। এটি মূলত, প্যালেস্টাইনি জনগণের ইতিহাস ও সংগ্রামকে কেন্দ্র করে, যা আধুনিক ইসরায়েল-প্যালেস্টাইন সংঘাতের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ১৯২০ সালের ঘটনাগুলোর প্রেক্ষাপটে কিভাবে প্যালেস্টাইনিদের ভূমি হারানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়, তা বিশ্লেষণ করা হয়েছে এই ডকুমেন্টারিতে।

ভারতে হিন্দুত্ববাদী গায়ক দ্বারা মুসলিমবিদ্বেষী গানের মারাত্মক প্রভাব

ভারতে সম্প্রতি মুসলিম বিরোধী হিংসাত্মক সংগীতের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। ‘হিন্দুত্ব’ এবং জাতিগত উত্তেজনা প্রচার করতে কিছু শিল্পী উদ্দেশ্যমূলকভাবে ইসলামোফোবিক গানের সৃষ্টি করছেন, যা মুসলিম সম্প্রদায়কে শত্রু হিসেবে উপস্থাপন করে। এই গানগুলো সামাজিক মাধ্যম এবং ইউটিউবে জনপ্রিয় হচ্ছে, যার ফলে সমাজে ইসলাম বিদ্বেষ ও সহিংসতা বাড়ছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এসব গান মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিরূপ জনমত তৈরি এবং জাতিগত সংঘর্ষের পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। ভারতীয় সরকার এই ধরনের সংগীতের প্রভাব মোকাবেলার জন্য কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।

ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীকে কেন বাংলাদেশের ওপর নজর রাখতে বলছেন মন্ত্রী রাজনাথ সিং?

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বাংলাদেশে সশস্ত্র বাহিনীকে নজর রাখতে নির্দেশ দেওয়ার পেছনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগ ছিল। তিনি বলেন, ভারতীয় সেনাবাহিনীকে বাংলাদেশ সীমান্তে পরিস্থিতি লক্ষ্য রাখতে বলা হয়েছে, যাতে কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অথবা আন্তর্জাতিক সীমান্তে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলে তা দ্রুত মোকাবেলা করা যায়। বাংলাদেশ এবং ভারতের নিরাপত্তা সম্পর্ক শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশকে দেশটির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও প্রতিবেশী দেশের সাথে সম্পর্কের অংশ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।

গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের জাতিগত নির্মূল অভিযানে এক বছরে ৪১,৮০০ এরও বেশি মানুষ নিহত

গাজায় ইসরায়েলের বর্বরতা ও জাতিগত নির্মূল অভিযানে হাজারো ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, প্রতিদিনই হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে এবং নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই নারী, শিশু এবং বৃদ্ধ। নিহতদের নামও প্রকাশ করা হয়েছে (নিহতদের তালিকা দেখুন), যাদের মধ্যে অনেকেই গাজার শহর ও গ্রামগুলোতে বসবাস করতেন। এই হত্যাকাণ্ডের ফলে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র প্রতিবাদের সৃষ্টি করেছে। ইসরায়েলি আক্রমণের শিকার পরিবারগুলোর জন্য শোক প্রকাশ করা হচ্ছে, তবে বিচার বা আন্তর্জাতিক সহায়তা এখনো যথেষ্ট নয়।

বাংলাদেশে জুলাই বিপ্লবে অনুপ্রবেশকারী ভারতীয় পুলিশের গুলি

চব্বিশের জুলাই বিপ্লবে পুলিশের পোশাক পরিহিত হিন্দিভাষী কিছু ব্যক্তি আন্দোলনকারীদের উপর গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে, ভারতীয় বাহিনী দ্বারা বেশ কয়েকজন আহত ছাত্র-জনতা, যারা যাত্রাবাড়ি,গাজীপুর এবং মাওনাতে যারা ছিলেন তাদের কাছ থেকে এমন প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। প্রত্যাক্ষদর্শীর বরাদ দিয়ে চীফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম দাবি করেন, জুলাই বিপ্লবীরা জানান পুলিশের পোশাক পরে যারা গুলি করেছেন তারা বাংলা ভাষায় কথা বলেননি। তারা হিন্দিতে কথা বলেছেন, গালাগাল করেছেন, তাদের আচরণ ছিল অসম্ভব ব্রুটাল।

৫০০ মসজিদ ধ্বংস, কয়েকশ ইমামকে হত্যা করেছে ইসরায়েল

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় ৫০০-রও বেশি মসজিদ সম্পূর্ণ ধ্বংস এবং অসংখ্য মসজিদ আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া, ইসরায়েলি বাহিনী কমপক্ষে ৩০০ জন ইমাম ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্বকে হত্যা করেছে। ধ্বংসপ্রাপ্ত মসজিদগুলোর মধ্যে ঐতিহাসিক আল-ওমারি মসজিদও রয়েছে। লেবাননে ইসরায়েলের হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে ১০০ বছরের পুরোনো মসজিদ। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কোরআন পডকাস্ট ইনস্টিটিউটও হামলার শিকার হয়েছে। ফিলিস্তিনের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের মতে, ধর্মীয় স্থাপনা ও ব্যক্তিত্বদের ওপর এই হামলাগুলো ইচ্ছাকৃত এবং আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন, যা যুদ্ধাপরাধের শামিল।

ভারতে বিজেপি নেতা আহ্বান "মুসলমানদের কাছ থেকে কিছু কিনবেন না"

ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির একজন নেতা মুসলিম ব্যবসায়ীদের বয়কট করার আহ্বান জানান। তিনি অভিযোগ করেন যে মুসলিমরা কোভিড-১৯ সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, যা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বাড়ায়। মুসলিমদের থেকে সবজি কিনতে নিষেধ করেছে বিজেপি নেতা, এই ধরনের মন্তব্য ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বৈষম্য ও সহিংসতা উসকে দেয়। বিজেপি নেতার এই আহ্বান সমালোচনার মুখে পড়ে, কারণ এটি দেশের ধর্মনিরপেক্ষতার পরিপন্থী এবং সামাজিক সম্প্রীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এমন মন্তব্যের ফলে মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি বিদ্বেষ ও বৈষম্য বৃদ্ধি পায়, যা ভারতের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সাথে সাংঘর্ষিক।

ভেঙ্গে ফেলা বাবরি মসজিদের জায়গায় রামমন্দিরের উদ্বোধন করলেন মোদী

২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন করেন। এই মন্দিরটি সেই স্থানে নির্মিত হয়েছে যেখানে ১৯৯২ সালে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা ৫০০ বছরের পুরনো বাবরি মসজিদটি ধ্বংস করেছিল একইভাবে ভারতের জ্ঞানবাপী মসজিদে পূজা করার অনুমতি দিয়েছে মোদী সরকার। মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মোদীসহ বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পরবর্তী দাঙ্গায় প্রায় ২,০০০ মানুষ নিহত হয়েছিল, যা ভারতের সাম্প্রদায়িক সম্পর্কের ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত।

‘ইসলামভীতি’ নিয়ে ভারতে সিনেমা নির্মাণের হিড়িক

ভারতে সাম্প্রতিক সময়ে 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস' এবং 'দ্য কেরালা স্টোরি'র মতো চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রবণতা বেড়েছে, যা মুসলিম সম্প্রদায়কে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করছে। এই চলচ্চিত্রগুলো 'ইসলামভীতি' ছড়ানোর অভিযোগে সমালোচিত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের চলচ্চিত্র সমাজে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা বাড়াতে পারে এবং সংখ্যালঘুদের প্রতি বিদ্বেষ উসকে দেয় এটি ঐতিহাসিকভাবে ভারতের সিনেমাগুলোতে ইসলামধর্মকে অবমানা করছে এবং ইসলামভিতি ছড়াচ্ছেসিনেমার মাধ্যমে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো নতুন কিছু নয়। কিন্তু উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এই প্রচারণা সমাজে বিদ্বেষ ও অস্থিরতা তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন সিনে বিশ্লেষকরা।

গাজায় প্রায় ১৩ হাজার শিশুসহ ৩০ হাজারের বেশি মানুষ হত্যা করেছে ইসরায়েল

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে প্রায় ১৩,০০০ শিশুসহ মোট ৩০,০০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭৯ জন নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের সংখ্যা ৩০,০০০ ছাড়িয়েছে। এই সংঘাতে গাজার মানবিক পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে; খাদ্য, পানি ও ওষুধের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। জাতিসংঘের মতে, গাজার মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। মিশর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা চললেও এখনো স্থায়ী সমাধান আসেনি।

ভারতে কাঁদছে মুসলমান

ভারতে মুসলমানরা ক্রমবর্ধমান নির্যাতন ও বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। মক্কায় মুশরিক ও মদিনায় ইহুদিদের হাতে মুসলমানদের যে নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছিল, বর্তমান ভারতে মুসলমানদের অবস্থা তেমনই করুণ। মুসলিমদের রক্তে তপ্ত মরুভূমি যেমন শীতল হয়েছিল, তেমনি ভারতে মুসলমানদের রক্ত ঝরছে, সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে মুসলিম নিধন চলছে। মুসলমানরা সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে বুক টান করে দাঁড়িয়েছে, মেরুদণ্ড সোজা করে প্রতিরোধ গড়েছে। তারা কখনো অন্যায়ের বশ্যতা স্বীকার করেনি। ভারতে মুসলমানদের ওপর অত্যাচার, মসজিদে হামলা, কোরআন পোড়ানো, মসজিদের মিনারে হনুমানের পতাকা টাঙানো, পিটিয়ে হত্যা করা—এসবের বিরুদ্ধে মুসলমানরা প্রতিরোধ গড়বে। মুসলমানরা শান্তিপ্রিয়, কিন্তু অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে জানে। গরুর মূল্য তাদের কাছে থাকলেও মুসলমানদের মূল্য

`আমরা নিজের দেশেই অদৃশ্য': মোদির ভারতে মুসলিম অভিজ্ঞতা

ভারতে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে মুসলমানদের প্রতি বৈষম্য ও বিদ্বেষমূলক আচরণ বৃদ্ধি পেয়েছে। উগ্র হিন্দু গোষ্ঠীগুলো সন্দেহভাজন গরু ব্যবসায়ীদের গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করেছে এবং মুসলিম মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। মসজিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের, মুসলিম নারীদের অনলাইনে হয়রানি, এবং 'লাভ জিহাদ' এর মতো ভিত্তিহীন অভিযোগের মাধ্যমে ইসলামোফোবিয়া উসকে দেওয়া হয়েছে। এসব কর্মকাণ্ডের ফলে মুসলমানরা নিজেদের দেশেই দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক বোধ করছেন। এছাড়াও সংখ্যালঘুদের উপর নিয়মিত নির্যাতন চালানো হয়, যদিও বিজেপি সরকার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে, তথাপি মুসলমানদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা ও সামাজিক বৈষম্য ক্রমেই বাড়ছে।

এবার ভারত বয়কটের ডাক মুসলিম বিশ্বের!

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিনের শত্রুতা এবং সম্প্রতি বাংলাদেশের সাথে উত্তেজনার প্রেক্ষিতে, মুসলিম বিশ্বে ভারতের বিরুদ্ধে বয়কটের আহ্বান জোরদার হয়েছে। বিশেষ করে সংযুক্ত আরব আমিরাত ভারতীয় নাগরিকদের ভিসা প্রদানে কঠোরতা আরোপ করেছে, যা ভারতীয় পর্যটকদের জন্য ভিসা প্রাপ্তি কঠিন করে তুলেছে এবং আর্থিক ক্ষতির কারণ হয়েছে। নতুন নীতির ফলে ভিসা বাতিলের হার বেড়েছে, যা ভারতীয়দের জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের এই পরিবর্তন ভারতের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, কারণ সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ভারতের রেমিট্যান্স আয়ের একটি বড় অংশ আসে।

Title