‘ভয়েস অফ বয়কট’ একটি অরাজনৈতিক, অলাভজনক জাতীয় ও ধর্মীয় স্বার্থে নিবেদিত তথ্যনির্ভর স্বেচ্ছাসেবী
প্রতিষ্ঠান। ফিলিস্তিনের উপর ইসরাইলের পাশবিক নির্যতন ও বর্বর হামলার প্রতিবাদে ‘ভয়েস অফ বয়কট’ বিভিন্ন সময়ে
সামাজিক যোগাযোগ ম্যাধমে গণবিক্ষোভ প্রকাশ করে। বাংলাদেশ পরিপ্রেক্ষিত ভারতীয় আগ্রাসন, দাসত্ব-নীতির
বিরুদ্ধে এ-প্রতিষ্ঠানটি জোরালো আওয়াজ তোলেন। এছাড়াও দেশের অভ্যন্তরে বিতর্কিত ধর্মীয় অপতৎপরতা প্রতিরোধে
কোম্পানি প্রতিষ্ঠানসমূহে পণ্য বা সেবাসমূহ বয়কটের ডাক দিয়ে থাকেন। বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষায় ও ইসলাম
ধর্মবিদ্ধেষ রুখে দিতে ২৫ মে ২০২৪ সালে ‘ভয়েস অফ বয়কট’ প্রাতিষ্ঠানিকরূপ নেন।
মূলনীতি:
উদ্দেশ্য (১): বাংলাদেশ রাষ্ট্রবিরোধী যেকোন কার্যকলাপে জড়িত প্রতিষ্ঠানের পণ্য-সেবা বয়কটের আহ্বান করে।
ইসলাম ধর্মবিদ্ধেষী, ধর্ম বিরুদ্ধাচারণ, ইসলামফোবিয়া প্রচারক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক ও সামাজিক বয়কট
(বর্জন) ডাকা ও তথ্যপ্রকাশ করে।
নিরপেক্ষ ভূমিকা (২): ভয়েস অফ বয়কট কোন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান দ্বারা প্রভাবিত ও প্ররোচিত নয়। রাষ্ট্রীয়
স্বার্থবিরোধী ও ইসলাম ধর্ম বিরোধী প্রতিষ্ঠানের পণ্য-সেবা বয়কটের আহ্বানের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় ও ধর্মীয় আইন
মেনে চলে। কোন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানকে হেয় প্রতিপন্ন করা প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য নয়, কেবল গ্রহণযোগ্য প্রমাণ ও
উপাত্তের ভিত্তিতে বয়কট বিষয়ক তথ্যপ্রকাশ করে।
সিদ্ধান্তগ্রহণ (৩): দেশ-বিদেশে রাষ্ট্রবিরোধী ও ইসলাম ধর্মবিরোধী প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে
সুনির্দিষ্ট প্রমাণ যাচাই-বাছাইপূর্বক কয়েকটি ধাপে বিচার বিশ্লেষণ করে পণ্য-সেবা বয়কটের আহ্বান জানায়।
জনসচেতনা (৪): ‘ভয়েস অফ বয়কট’ ব্যক্তি/দল/ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দ্বারা জনস্বার্থবিরোধী ও ধর্মীবিদ্বেষী
প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কর্মপরিকল্পনা, কর্মসূচি ও প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে জনসচেতনা বৃদ্ধি করে এবং রাষ্ট্র
ও ধর্মীয় শান্তি প্রতিষ্ঠা ব্যক্তি নীতিচেতনার সঞ্চারে সহযোগীতা করে।
প্রচারণার মাধ্যম (৫): ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বয়কট পণ্য-সেবার বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করে। আমাদের
প্রচারাভিযানের অন্যান্য মাধ্যমগুলো হলো:
(ক) সাধারণ মানুষের মাঝে লিফলেট বিতরণ
(খ) মসজিদ, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ প্রতিষ্ঠানে পণ্য-সেবা বিষয়ে অবগত করা
(গ) দেয়াল লিখন ও পোস্টার ছাপিয়ে বয়কটের পণ্য-সেবা প্রচার
(গ) দেয়াল স্টিকারের মাধ্যমে গণপ্রচারণা করা
(ঘ) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনসচেতনা বৃদ্ধি
(ঙ) বিক্ষোভ কর্মসূচি গ্রহণ ও শান্তিপূর্ণ মিছিল
(চ) দলগত ও অংশগ্রহণমূলক প্রচারণার মাধ্যমে পণ্য-সেবা প্রতিষ্ঠান বয়কট
(ছ) জনপ্রতিরোধ গড়ে তোলা ও আইনী পদক্ষেপগ্রহণ করা
আমাদের নিকট আপনার অভিযোগ, মতামত, পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করুন:
[email protected]
ওয়েবসাইটে বয়কট বিষয়ে সংজ্ঞায়ন ও পরিভাষ্য
ইসরায়েল: ইসরায়েল রাষ্ট্র বা কোন ইহুদী ব্যক্তি দ্বারা প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি/প্রতিষ্ঠান, বিনিয়োগ ও
সংশ্লিষ্টতা থাকলে এসব কোম্পানির পণ্য/সেবা বর্জনে মুসলিমদের আহ্বান করি। ইসরায়েলি ব্রান্ড/পণ্য সমূহ
বাংলাদেশে উৎপাদন বা বাজারজাত হতেও পারে অথবা আমদানিনির্ভর হতে পারে।
ভারত: কোন ভারতীয় নাগরিক দ্বারা কোম্পানি/প্রতিষ্ঠান, বিনিয়োগ, অর্থায়ন অথবা সংশ্লিষ্টতা থাকলে এসব
কোম্পানির পণ্য/সেবা বর্জনে বাংলাদেশিদের সচেতনতায় উদ্ভুদ্ধ করা। ভারতীয় কোম্পানির ব্রান্ড/পণ্য সমূহ
বাংলাদেশে উৎপাদন বা বাজারজাত হতেও পারে অথবা তৃতীয়পক্ষ দ্বারা আমদানি নির্ভর হতে পারে।
ইসরায়েল-ভারতীয়: আমাদের ওয়েবসাইটে ‘ইসরায়েল-ভারত’ ট্যাগটি এ-অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে যে, ইসরায়েল দেশ/নাগরিক
দ্বারা প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির সেবা-পণ্য ভারত দ্বারা উৎপাদন, বাজারজাতকরণ, বিনিয়োগ করা হয় এসব প্রতিষ্ঠানের
বা কোম্পানির পণ্য বর্জনের আওয়াজ তোলা হয়েছে।
বিতর্কিত: ইসরায়েল-ভারত রাষ্ট্র ব্যতীত যেকোন রাষ্ট্র বাংলাদেশবিরোধী ও ধর্মীবিদ্ধেষী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত
থাকলে ‘বিতর্কিত’ বলে ওয়েবসাইটে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।
পণ্য: ওয়েবসাইটে দৃশ্যমান ‘বয়কট কোম্পানির পণ্য’ সমূহ এ-মেনুতে সরাসরি বা সাব-ক্যাটাগরি হিসেবে থাকবে।
সেবা: ইসলামধর্ম পরিপন্থী ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় স্বার্থবিরোধী কোম্পানি, এনজিও, প্রতিষ্ঠানসমূহের সেবা
বয়কটের আহ্বান জানানো হয়েছে।
সংস্কৃতি: এমন কোন সংস্কৃতি বা সামাজিক আচারণ বাংলাদেশি সংস্কৃতির উপর বিরূপপ্রভাব ফেলতে পারে এবং ইসলাম
ধর্ম অবমাননাসূলভ অনুষ্ঠান, ব্যক্তি, কর্মসূচি ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানসমূহ বয়কটের আওতাধীন রয়েছে।
শিক্ষা: ইসলামধর্ম বিদ্বেষী শিক্ষায়তন, ইসলামশিক্ষা অবমাননা বা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে এমন শিক্ষা অথবা
ইসলামধর্মের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক ‘প্রতিষ্ঠান বা সেবা’ বয়কটের তালিকা প্রকাশ করে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের
ঐতিহ্য ও দেশীয় সংস্কৃতি উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহও বয়কটের আওতাধীন।
প্রযুক্তি: মানবসমাজের নিরাপত্তা বিঘ্ন ঘটতে পারে এমন ইসরায়েল ও ভারত সংশ্লিষ্ট হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার
প্রযুক্তিনির্ভর পণ্য-সেবা’র ব্র্যান্ড ও প্রতিষ্ঠানসমূহের তালিকাপ্রকাশ করা হয়েছে।
মিডিয়া: ইসলামোফোবিয়া, ইসলামবিদ্বেষী মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, প্রতিষ্ঠান, দেশ এবং ইসলাম ধর্ম অবমানা করে এমন
সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমসমূহ বয়কটের তালিকাপ্রকাশ এবং বাংলাদেশ বিরোধী অপপ্রচার/প্রপাগাণ্ডা চালানো গণমাধ্যম ও
ব্যক্তিদের বর্জনের কারণসহ তালিকা প্রকাশিত হয়েছে।
বিকল্প পণ্য/সেবা: ওয়েবসাইটে ইসরায়েল ও ভারতীয় পণ্য-সেবা ভোগের বিপরীতে বাংলাদেশি উৎকৃষ্ট কোম্পানির
ব্র্যান্ড/পণ্য গ্রহণ করার জন্য উৎসাহিত করা হয়েছে। ইসলামধর্ম ও মাতৃভূমি ভালবেসে বিকল্প পণ্য ব্যবহার-ভোগে
উদ্বুদ্ধ করায় আমাদের লক্ষ্য। নিজ দেশের পণ্য-সেবাকে খারাপ মনে করা বা অন্যদেশের পণ্যসমূহ উৎকৃষ্ট মনে করা
হলো একধরণের মানসিক প্রবনতা (Inferiority complex) যা বাংলাদেশের অর্থনীতির ধ্বংসের জন্য যতেষ্ট। ইসলামী
দৃষ্টিকোণ থেকে ইসলায়েল-ভারতীয় পণ্য বয়কটে শায়েখ-ওলামাগণ ইতোমধ্যে ফতোয়াজারি করেছেন। একইসাথে বাংলাদেশি
জাতীয়তাবাদকে ভালবেসে দেশীয় পণ্যের প্রতি সচেতন করা এবং বাংলাদেশেকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ করতে বিকল্পপণ্য যুক্ত
করা হয়েছে।
সর্বশেষ সংশোধন: ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪