বিকল্প পণ্যের শর্তাবলী
বিকল্প পণ্য বা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ওয়েবসাইটে বিনামূল্যে প্রচার করুন
আমরা বিনামূল্যে পণ্যের কোম্পানি/প্রতিষ্ঠানের তথ্য বিকল্প হিসেবে আমাদের ওয়েবসাইটে যুক্ত করি। বিকল্পপণ্যের ব্র্যান্ড বা প্রতিষ্ঠানের নাম যুক্ত করতে হলে নিম্নোক্ত আবশ্যক তথ্যনির্ভর শর্তপূরণ করে অনলাইন ফরম সাবমিট করুন:
পণ্য প্রস্তুতকারী, বিপণন ও বাজারজাতকারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য শর্ত
১. বাংলাদেশে কোম্পানির বৈধ অনুমোদনপত্র প্রদান করতে হবে (যেমন: ট্রেড লাইসেন্স, আরজেএসসি সনদপত্র)
২. খাদ্যপণ্যের নমুনার ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষিত বিশ্লেষণ (পণ্যের ভৌত, রাসায়নিক এবং মাইক্রোবায়োলজিক্যাল গুণাগুণ পরীক্ষা) বৈধ নথি আমাদের অনলাইন ফরম/ইমেইল-এ পাঠান।
৩. পণ্যের রঙ, গন্ধ, স্বাদ, এবং মজাদার বিষয়ে মান নিরীক্ষণের নথি থাকলে প্রেরণ করতে হবে।
৪. খাদ্য পণ্যে ঘোষিত পুষ্টি উপাদান ও রাসায়নিক উপাদান (যেমন প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, ভিটামিন, প্রিজারভেটিভ, কৃত্রিম রং ইত্যাদি) পরীক্ষার হালনাগাদ রিপোর্ট আমাদের নিয়মিত জানাতে হবে।
৫. খাবারের আকার, গঠন, ওজনে সামঞ্জস্য আছে কিনা এবং এটি প্রয়োজনীয় মানদণ্ড অনুযায়ী তৈরি হয়েছে কিনা বিষয়ে তথ্য প্রদান করুন।
৬. পণ্যটির প্যাকেজিং এবং লেবেলিং সঠিকভাবে হয়েছে কিনা, প্যাকেজের উপাদান এবং ডিজাইন জনবিরোধী কিনা তা নিয়ে মতামত দিন।
৭. খাবার পণ্যের নির্দিষ্ট মানের জন্য স্ট্যান্ডার্ড সার্টিফিকেশন (BSTI, ISO, HACCP, GMP, ISO) অনুসরণ ও প্রাপ্ত রিপোর্ট এবং খাবারপণ্যের ক্ষেত্রে হালাল সার্টিফিকেট (Halal) নিশ্চিতকরণের ডকুমেন্ট আমাদেরকে প্রদান করতে হবে।
৮. সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে, গ্রাহক সেবা (Customer Service) ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি এবং গ্রাহক সন্তুষ্টি জরিপ থাকলে তা ফরমে উল্লেখ করতে হবে।
গোপনীয়তা নীতি
ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা: ভয়েস অফ বয়কট ব্যবহারে আপনার (ওয়েবসাইট ব্যবহারকারী) কোন ব্যক্তিগত তথ্যসংগ্রহ করে না এবং ওয়েবসাইট ব্যবহারে আপনার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে।
প্রকাশিত ফরম ব্যবহার: ভয়েস অফ বয়কট কর্তৃপক্ষ ‘সেচ্ছাসেবক ফরম’ ব্যতীত নিজস্বভাবে কোন তথ্য সংরক্ষণ করে না। সেচ্ছাসেবক ফরমের সব তথ্য গোপন রাখা হয় কেবল তথ্যসমূহ দাপ্তরিক কাজে ব্যবহার করা হয়।
পওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য সংরক্ষণ: ভয়েস অফ বয়কট কর্তৃপক্ষ ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সব তথ্য-উপাত্ত নিজস্ব তথ্যভাণ্ডারে সংরক্ষণ করে থাকে। প্রয়োজন সাপেক্ষে কর্তৃপক্ষ চাইলে যেকোন সময় তথ্যপ্রকাশ, সংযোজন, বিয়োজন, পরিমার্জন, পরিবর্তন করে করে পারে।
নির্ভুল তথ্যপ্রকাশ: ভয়েস অফ বয়কট কর্তৃপক্ষ দাপ্তরিক পোস্ট, বয়কট পণ্য-সেবা তালিকা, গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনসমূহ কঠোরভাবে যাচাই-বাছাই করে প্রকাশ করে থাকেন। তাই তথ্যগত বিভ্রান্তি ও প্রপাগাণ্ডা এড়িয়ে আপনাকে সঠিক তথ্য দিয়ে থাকে। এরপরও ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীর কোন সন্দেহ বা জটিলতা পরিলক্ষিত হলে উল্লেখিত ইমেইল এ যোগাযোগ করার অনুরোধ রইল: [email protected]
সিদ্ধান্তগ্রহণে গোপনীয়তা: সেচ্ছাসেবীদের সিদ্ধান্তগ্রহণ, সমন্বয়করণ, অভিজ্ঞ টিমদের কর্মপরিকল্পনা ও বয়কট নীতি-নির্ধারণসহ সংশ্লিষ্ট সদস্যদের আলোচনা, কর্মপরিধির কোন তথ্যপ্রকাশ করা হয়না।
তথ্যপ্রকাশে আইনের অনুশীলন:আমরা ওয়েবসাইটে যেকোন তথ্য-উপাত্ত প্রকাশে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলে। ‘ভয়েস অফ বয়কট’ কারো তাবেদারি করে না, কেবল বাংলাদেশ ও মুসলিম জাতির নিকট দায়বদ্ধতা থেকে তথ্যপ্রকাশ করে।
ওয়েবসাইট রক্ষণাবেক্ষণ: ভয়েস অফ বয়কট কর্তৃপক্ষ সর্বদা ডোমেইন, সার্ভার, অনলাইন পেমেন্ট মেথড নিরাপত্তা বেষ্টনী দ্বারা সংরক্ষিত থাকে। অনাঙ্খাকিত দুর্ঘটনা এড়াতে ত্রিমাত্রিক সিকিউরিটি (ফায়ারওয়াল) ব্যবহার করা হয়েছে। আমাদের ঝুঁকি এড়াতে সন্দেহজনক সাইবার ক্রাইম সংশ্লিষ্ট দেশ/আইপি ব্লক করা হতে পারে।
দান/ডোনেশন গ্রহণ: ‘ভয়েস অফ বয়কট’ প্ল্যাটফর্ম একটি দেশস্বার্থ ও ধর্মীয় শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে, এটি একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হওয়ায় ডোনেশন গ্রহণ করেন। ডোনেশনের অর্থ দ্বারা সৎকর্মে নিবেদিত স্বেচ্ছাসেবকদের সম্মানি প্রদান করা হয়। অর্থ সহয়তাকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের তথ্য আমরা কনফিডেন্সিয়ালি সংরক্ষণ করি। গোপনীয়তা নীতি পরিবর্তনযোগ্য: ‘ভয়েস অফ বয়কট’ কর্তৃপক্ষ যখনই উপযুক্ত মনে করবে তখন এই নীতিগুলি সংশোধন, পরিবর্তন, মুছে ফেলা এবং হালনাগাদ করার অধিকার সংরক্ষণ করে। এই শর্তগুলির পূর্ববর্তী সংস্করণের অধীনে লঙ্ঘন ঘটলে এই ধরনের পরিবর্তনগুলি আমাদের অধিকারকে বাতিল করে না।
সর্বশেষ সংশোধন: ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
পরিষেবার শর্তাবলী
ওয়েবসাইটের তথ্য ব্যবহার: ভয়েস অফ বয়কট প্লাটফর্মের যেকোন তথ্য ব্যবহারকারী যেকোন মাধ্যমে শেয়ার, লাইক, আংশিক প্রকাশ ও সংরক্ষণ করতে পারবেন এতে কর্তৃপক্ষ/স্বেচ্ছাসেবকদের অনুমতির প্রয়োজন পড়ে না। আমাদের প্রকাশিত কোন তথ্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, উপাত্ত ও ছবি ব্যবহারে কার্টেসি (সৌজন্য) উল্লেখ করার অনুরোধ করা হল।
লগো ও ছবির ব্যবহার: ‘ভয়েস অফ বয়কট’ স্বেচ্ছাসেবীরা যেকোন কোম্পানি, প্রতিষ্ঠান, সংগঠনের পাবলিক প্রকাশিত যেকোন লগো, ডিজাইন, ছবি ব্যবহারে অনুমতির নেয় না। কেবল কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের শার্তারোপিত লগো/ছবি ব্যবহারের মেইলের মাধ্যমে অনুমতি নিয়ে থাকেন।
তথ্য অপব্যবহার: কোন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান ‘ভয়েস অফ বয়কট’ নামে ব্যবহার করে কোন অপতৎপরতা, অপপ্রচার, প্রপাগাণ্ডা সৃষ্টি করলে তার দায়ভার কর্তৃপক্ষ বহন করবেন না।
কটেন্ট পরিবর্তন: আমাদের প্রকাশিত কনটেন্ট আংশিক পরিবর্তন করে কোন ওয়েবসাইটে ব্যবহার বা ব্যক্তিনামে চালিয়ে দেওয়া হলে অথবা অন্যকোন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করলে স্বেচ্ছাসেবীরা আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ করতে পারি।
দান/ডোনেশন ফেরত নীতি: ভুলক্রমে ডোনেশন/দানকৃত কোন অর্থ পেমেন্ট গেটওয়ে বা ব্যাংক একাউন্টে প্রবেশ করলে প্রেরক প্রমাণসাপেক্ষে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে অর্থ দাবী করতে পারবে। অর্থফেরত প্রক্রিয়ায় ৭ (সাত) ব্যাংকিং কার্যদিবস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। উল্লেখ্য যে, ৪৮ ঘন্টাপর কোন অর্থ ফেরত দেওয়ার নীতি কর্তৃপক্ষ রাখে না; এক্ষেত্রে অর্থ-প্রেরক আইনী সহায়তা নিতে পারেন।
লক্ষ্যণীয় তথ্যগত ত্রুটি: আমাদের প্রকাশিত কোন তথ্য বিষয়ে অভিযোগ থাকলে বা কম্পোজ জনিত ত্রুটি পরিলক্ষিত হলে পাঠক/পরিলক্ষণকারী/ওয়েবসাইট ব্যবহারকারী আমাদেরকে ই-মেইলে মাধ্যমে জানাতে পারেন। আমাদের অভিজ্ঞ টিম বিবেচনাপূর্বক তা অপসারণ, পরিমার্জন, সংশোধন, সংযোজন, বিয়োজন করবেন। অভিযোগ ইমেইল ঠিকানা: [email protected]
পরিষেবার শর্তাবলী পরিবর্তনযোগ্য: ‘ভয়েস অফ বয়কট’ কর্তৃপক্ষ যখনই উপযুক্ত মনে করবে তখন এই নীতিগুলি সংশোধন, পরিবর্তন, মুছে ফেলা এবং আপডেট করার অধিকার সংরক্ষণ করে। এই শর্তগুলির পূর্ববর্তী সংস্করণের অধীনে লঙ্ঘন ঘটলে এই ধরনের পরিবর্তনগুলি আমাদের অধিকারকে বাতিল করে না।
সর্বশেষ সংশোধন: ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
আমাদেরকে জানুন
‘ভয়েস অফ বয়কট’ একটি অরাজনৈতিক, অলাভজনক জাতীয় ও ধর্মীয় স্বার্থে নিবেদিত তথ্যনির্ভর স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান। ফিলিস্তিনের উপর ইসরাইলের পাশবিক নির্যতন ও বর্বর হামলার প্রতিবাদে ‘ভয়েস অফ বয়কট’ বিভিন্ন সময়ে সামাজিক যোগাযোগ ম্যাধমে গণবিক্ষোভ প্রকাশ করে। বাংলাদেশ পরিপ্রেক্ষিত ভারতীয় আগ্রাসন, দাসত্ব-নীতির বিরুদ্ধে এ-প্রতিষ্ঠানটি জোরালো আওয়াজ তোলেন। এছাড়াও দেশের অভ্যন্তরে বিতর্কিত ধর্মীয় অপতৎপরতা প্রতিরোধে কোম্পানি প্রতিষ্ঠানসমূহে পণ্য বা সেবাসমূহ বয়কটের ডাক দিয়ে থাকেন। বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষায় ও ইসলাম ধর্মবিদ্ধেষ রুখে দিতে ২৫ মে ২০২৪ সালে ‘ভয়েস অফ বয়কট’ প্রাতিষ্ঠানিকরূপ নেন।
মূলনীতি: উদ্দেশ্য (১): বাংলাদেশ রাষ্ট্রবিরোধী যেকোন কার্যকলাপে জড়িত প্রতিষ্ঠানের পণ্য-সেবা বয়কটের আহ্বান করে। ইসলাম ধর্মবিদ্ধেষী, ধর্ম বিরুদ্ধাচারণ, ইসলামফোবিয়া প্রচারক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক ও সামাজিক বয়কট (বর্জন) ডাকা ও তথ্যপ্রকাশ করে।
নিরপেক্ষ ভূমিকা (২): ভয়েস অফ বয়কট কোন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান দ্বারা প্রভাবিত ও প্ররোচিত নয়। রাষ্ট্রীয় স্বার্থবিরোধী ও ইসলাম ধর্ম বিরোধী প্রতিষ্ঠানের পণ্য-সেবা বয়কটের আহ্বানের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় ও ধর্মীয় আইন মেনে চলে। কোন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানকে হেয় প্রতিপন্ন করা প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য নয়, কেবল গ্রহণযোগ্য প্রমাণ ও উপাত্তের ভিত্তিতে বয়কট বিষয়ক তথ্যপ্রকাশ করে।
সিদ্ধান্তগ্রহণ (৩): দেশ-বিদেশে রাষ্ট্রবিরোধী ও ইসলাম ধর্মবিরোধী প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ যাচাই-বাছাইপূর্বক কয়েকটি ধাপে বিচার বিশ্লেষণ করে পণ্য-সেবা বয়কটের আহ্বান জানায়।
জনসচেতনা (৪): ‘ভয়েস অফ বয়কট’ ব্যক্তি/দল/ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দ্বারা জনস্বার্থবিরোধী ও ধর্মীবিদ্বেষী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কর্মপরিকল্পনা, কর্মসূচি ও প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে জনসচেতনা বৃদ্ধি করে এবং রাষ্ট্র ও ধর্মীয় শান্তি প্রতিষ্ঠা ব্যক্তি নীতিচেতনার সঞ্চারে সহযোগীতা করে।
প্রচারণার মাধ্যম (৫): ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বয়কট পণ্য-সেবার বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করে। আমাদের প্রচারাভিযানের অন্যান্য মাধ্যমগুলো হলো: (ক) সাধারণ মানুষের মাঝে লিফলেট বিতরণ (খ) মসজিদ, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ প্রতিষ্ঠানে পণ্য-সেবা বিষয়ে অবগত করা (গ) দেয়াল লিখন ও পোস্টার ছাপিয়ে বয়কটের পণ্য-সেবা প্রচার (গ) দেয়াল স্টিকারের মাধ্যমে গণপ্রচারণা করা (ঘ) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনসচেতনা বৃদ্ধি (ঙ) বিক্ষোভ কর্মসূচি গ্রহণ ও শান্তিপূর্ণ মিছিল (চ) দলগত ও অংশগ্রহণমূলক প্রচারণার মাধ্যমে পণ্য-সেবা প্রতিষ্ঠান বয়কট (ছ) জনপ্রতিরোধ গড়ে তোলা ও আইনী পদক্ষেপগ্রহণ করা
আমাদের নিকট আপনার অভিযোগ, মতামত, পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করুন: [email protected]
ওয়েবসাইটে বয়কট বিষয়ে সংজ্ঞায়ন ও পরিভাষ্য
ইসরায়েল: ইসরায়েল রাষ্ট্র বা কোন ইহুদী ব্যক্তি দ্বারা প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি/প্রতিষ্ঠান, বিনিয়োগ ও সংশ্লিষ্টতা থাকলে এসব কোম্পানির পণ্য/সেবা বর্জনে মুসলিমদের আহ্বান করি। ইসরায়েলি ব্রান্ড/পণ্য সমূহ বাংলাদেশে উৎপাদন বা বাজারজাত হতেও পারে অথবা আমদানিনির্ভর হতে পারে।
ভারত: কোন ভারতীয় নাগরিক দ্বারা কোম্পানি/প্রতিষ্ঠান, বিনিয়োগ, অর্থায়ন অথবা সংশ্লিষ্টতা থাকলে এসব কোম্পানির পণ্য/সেবা বর্জনে বাংলাদেশিদের সচেতনতায় উদ্ভুদ্ধ করা। ভারতীয় কোম্পানির ব্রান্ড/পণ্য সমূহ বাংলাদেশে উৎপাদন বা বাজারজাত হতেও পারে অথবা তৃতীয়পক্ষ দ্বারা আমদানি নির্ভর হতে পারে।
ইসরায়েল-ভারতীয়: আমাদের ওয়েবসাইটে ‘ইসরায়েল-ভারত’ ট্যাগটি এ-অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে যে, ইসরায়েল দেশ/নাগরিক দ্বারা প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির সেবা-পণ্য ভারত দ্বারা উৎপাদন, বাজারজাতকরণ, বিনিয়োগ করা হয় এসব প্রতিষ্ঠানের বা কোম্পানির পণ্য বর্জনের আওয়াজ তোলা হয়েছে।
বিতর্কিত: ইসরায়েল-ভারত রাষ্ট্র ব্যতীত যেকোন রাষ্ট্র বাংলাদেশবিরোধী ও ধর্মীবিদ্ধেষী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকলে ‘বিতর্কিত’ বলে ওয়েবসাইটে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।
পণ্য: ওয়েবসাইটে দৃশ্যমান ‘বয়কট কোম্পানির পণ্য’ সমূহ এ-মেনুতে সরাসরি বা সাব-ক্যাটাগরি হিসেবে থাকবে।
সেবা: ইসলামধর্ম পরিপন্থী ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় স্বার্থবিরোধী কোম্পানি, এনজিও, প্রতিষ্ঠানসমূহের সেবা বয়কটের আহ্বান জানানো হয়েছে।
সংস্কৃতি: এমন কোন সংস্কৃতি বা সামাজিক আচারণ বাংলাদেশি সংস্কৃতির উপর বিরূপপ্রভাব ফেলতে পারে এবং ইসলাম ধর্ম অবমাননাসূলভ অনুষ্ঠান, ব্যক্তি, কর্মসূচি ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানসমূহ বয়কটের আওতাধীন রয়েছে।
শিক্ষা: ইসলামধর্ম বিদ্বেষী শিক্ষায়তন, ইসলামশিক্ষা অবমাননা বা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে এমন শিক্ষা অথবা ইসলামধর্মের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক ‘প্রতিষ্ঠান বা সেবা’ বয়কটের তালিকা প্রকাশ করে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও দেশীয় সংস্কৃতি উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহও বয়কটের আওতাধীন।
প্রযুক্তি: মানবসমাজের নিরাপত্তা বিঘ্ন ঘটতে পারে এমন ইসরায়েল ও ভারত সংশ্লিষ্ট হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার প্রযুক্তিনির্ভর পণ্য-সেবা’র ব্র্যান্ড ও প্রতিষ্ঠানসমূহের তালিকাপ্রকাশ করা হয়েছে।
মিডিয়া: ইসলামোফোবিয়া, ইসলামবিদ্বেষী মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, প্রতিষ্ঠান, দেশ এবং ইসলাম ধর্ম অবমানা করে এমন সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমসমূহ বয়কটের তালিকাপ্রকাশ এবং বাংলাদেশ বিরোধী অপপ্রচার/প্রপাগাণ্ডা চালানো গণমাধ্যম ও ব্যক্তিদের বর্জনের কারণসহ তালিকা প্রকাশিত হয়েছে।
বিকল্প পণ্য/সেবা: ওয়েবসাইটে ইসরায়েল ও ভারতীয় পণ্য-সেবা ভোগের বিপরীতে বাংলাদেশি উৎকৃষ্ট কোম্পানির ব্র্যান্ড/পণ্য গ্রহণ করার জন্য উৎসাহিত করা হয়েছে। ইসলামধর্ম ও মাতৃভূমি ভালবেসে বিকল্প পণ্য ব্যবহার-ভোগে উদ্বুদ্ধ করায় আমাদের লক্ষ্য। নিজ দেশের পণ্য-সেবাকে খারাপ মনে করা বা অন্যদেশের পণ্যসমূহ উৎকৃষ্ট মনে করা হলো একধরণের মানসিক প্রবনতা (Inferiority complex) যা বাংলাদেশের অর্থনীতির ধ্বংসের জন্য যতেষ্ট। ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে ইসলায়েল-ভারতীয় পণ্য বয়কটে শায়েখ-ওলামাগণ ইতোমধ্যে ফতোয়াজারি করেছেন। একইসাথে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদকে ভালবেসে দেশীয় পণ্যের প্রতি সচেতন করা এবং বাংলাদেশেকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ করতে বিকল্পপণ্য যুক্ত করা হয়েছে।
সর্বশেষ সংশোধন: ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪