ভারতে মুসলিমবিরোধী এনআরসি আইন ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা
সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি
ভারতে এনআরসি (জাতীয় নাগরিক পঞ্জি আইন এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব একটি দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকা রাজনৈতিক ও সামাজিক সমস্যা। এনআরসি মূলত একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে নাগরিকদের সঠিক পরিচয় নিশ্চিত করতে চাওয়া হয় এবং তারা কেবলমাত্র ভারতীয় নাগরিক হিসেবে গণ্য হবে, যারা তাদের নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে পারবে। তবে এই প্রক্রিয়া ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভিন্ন উদ্বেগ এবং বিরোধ সৃষ্টি করেছে। এর কিছু প্রধান কারণ নিচে তুলে ধরা হলো:
এনআরসি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন: এনআরসি এবং সিএএ (নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন) একে অপরের সাথে সম্পর্কিত। ২০১৯ সালে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) পাশ হয়, যা আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আগত হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদান করতে চায়, তবে মুসলিমদের এর আওতায় আনা হয়নি। এটি মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষোভ এবং সন্দেহ সৃষ্টি করেছে, কারণ তারা মনে করেন যে এই আইন তাদের বৈষম্যমূলকভাবে বাদ দেয়। এনআরসি প্রক্রিয়ার সঙ্গে যদি সিএএ যুক্ত হয়, তবে মুসলিমরা মনে করেন, তারা নাগরিকত্ব হারাতে পারেন, কারণ তাদের ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে তারা সিএএ এর আওতায় পড়বে না। মুসলিমদের মধ্যে একটি সাধারণ ধারণা তৈরি হয়েছে যে এনআরসি এবং সিএএ একসাথে তাদের নাগরিকত্ব সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
আসামে এনআরসি: ২০১৯ সালে আসাম রাজ্যে এনআরসি এর একটি বিশেষ সংস্করণ বাস্তবায়িত হয়। এতে লক্ষ লক্ষ মানুষকে "বেআইনি অভিবাসী" হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, যদিও তাদের অধিকাংশই পুরনো ভারতের নাগরিক। আসামে বহু মুসলিম পরিবারকে নাগরিকত্ব হারানোর ভয় থাকে, এবং এই প্রক্রিয়ায় তাদের বেশিরভাগকেই সন্দেহভাজন হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়। এর ফলে মুসলিমদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক ও উদ্বেগ সৃষ্টি হয় যে, তাদের নাগরিকত্ব সংক্রান্ত সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
মুসলিমদের প্রতি বৈষম্য: এনআরসি এবং সিএএ এর মাধ্যমে কিছু মুসলিম সংগঠন এবং সমালোচকরা দাবি করেন যে, ভারতের বর্তমান সরকার মুসলিমদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। সিএএ -তে মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত না করার কারণে তাদের মধ্যে এক ধরনের অবহেলা ও অযথা লক্ষ্যবস্তু হওয়া অনুভূতি তৈরি হয়েছে। তারা মনে করেন, এটি সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতার মৌলিক নীতির পরিপন্থী।
রাজনৈতিক প্রভাব: ভারতের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এনআরসি ও সিএএ নিয়ে মতবিরোধ অনেকাংশে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব বৃদ্ধি করেছে। ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এর নেতৃত্বাধীন সরকার এনআরসি ও সিএএ এর পক্ষে এবং তা মুসলিমদের বিরুদ্ধে বৈষম্য সৃষ্টি করছে, এমন অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে, কংগ্রেস এবং কিছু রাজ্য সরকার এনআরসি এবং সিএএ এর বিরোধিতা করছে এবং বলছে, এটি মুসলিমদের বিরোধী এবং অসাংবিধানিক।
মুসলিম সম্প্রদায়ের উদ্বেগ: এনআরসি এবং সিএএ নিয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান উদ্বেগ হলো, সাক্ষ্যপ্রমাণ বা ডকুমেন্টের অভাব। অনেক মুসলিম পরিবার সঠিক বা আধিকারিক দস্তাবেজ রাখে না, যা তাদের নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য প্রয়োজনীয়। তাদের মতে, এটি একটি বৈষম্যমূলক প্রক্রিয়া হতে পারে, যেখানে অন্যান্য সম্প্রদায়ের লোকেরা সহজেই নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে পারলেও মুসলিমদের জন্য এটি কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
আন্দোলন ও প্রতিবাদ: এনআরসি এবং সিএএ বিরুদ্ধে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ব্যাপক প্রতিবাদ দেখা গেছে, বিশেষত মুসলিম জনগণের মধ্যে। এনআরসি বিরোধী আন্দোলন বিশেষভাবে ভারতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং শহরগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে মুসলিমরা তাদের নাগরিকত্ব ও মানবাধিকার রক্ষার জন্য সোচ্চার হয়েছে।
- দিল্লি দাঙ্গা (২০২০): ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে দিল্লিতে এনআরসি ও সিএএ বিরোধী আন্দোলন সংক্রান্ত দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। এই দাঙ্গায় দিল্লির উত্তর-পূর্বাঞ্চল বিশেষভাবে প্রভাবিত হয়, যেখানে মুসলিমদের ও তাদের সমর্থকদের লক্ষ্য করে সহিংসতা বেড়ে যায়। আন্দোলনকারীরা সিএএ ও এনআরসি এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছিলেন, কিন্তু সরকার ও বিরোধী পক্ষের মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং দাঙ্গাকারীরা যখন সহিংসতার দিকে আগিয়েছিল, তখন পরিস্থিতি তীব্র আকার ধারণ করে। এ দাঙ্গায় প্রায় ৫০ জনের বেশি লোক নিহত হয় এবং শতাধিক আহত হয়। অধিকাংশ নিহত ও আহত ব্যক্তি মুসলিম সম্প্রদায়ের ছিল। দোকানপাট, বাসা-বাড়ি, মসজিদ এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে যায়। মুসলিম সম্প্রদায়ের দোকানপাট ও বাসা লক্ষ্যবস্তু হয়। এর পাশাপাশি, বহু মসজিদ এবং মুসলিম ধর্মীয় স্থানেও আক্রমণ করা হয় (ভিডিও দেখুন)।
- আসাম এনআরসি বিরোধী আন্দোলন (২০১৯-২০২০): আসাম রাজ্যে এনআরসি তালিকা প্রকাশের পর অনেকেই নিজেকে বেআইনি অভিবাসী হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন। যদিও আসামের জনগণের মধ্যে বৃহত্তর অংশ সিএএ ও এনআরসি নিয়ে সহিংস প্রতিবাদে লিপ্ত হয়নি, তবে কিছু অঞ্চলে প্রতিবাদ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছিল। কিছু অঞ্চলে ধর্মীয় বিভাজন এবং অভিবাসী (বিশেষ করে বাংলা ভাষী মুসলিম) জনগণের বিরুদ্ধে স্থানীয় জনগণের ক্ষোভ প্রকাশ পায়। আসামিদের মধ্যে এনআরসি থেকে বাদ পড়াদের জন্য উদ্বেগ এবং অভিযোগ ছিল, যে তারা নিজেকে বৈধ ভারতীয় নাগরিক হিসেবে প্রমাণ করতে পারছে না। এনআরসি বিরোধী আন্দোলনের মধ্যে সহিংস ঘটনা ও মিছিলের পরিপ্রেক্ষিতে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে বিশেষভাবে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছিল (ভিডিও দেখুন)।
- উত্তর প্রদেশের দাঙ্গা (২০১৯): ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) এর বিরুদ্ধে উত্তর প্রদেশে একাধিক প্রতিবাদ এবং সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ২০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়। এই সহিংসতাগুলো সিএএ বিরোধী আন্দোলনের পরে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের লক্ষ্য করে হয় এবং উত্তেজনা সাম্প্রদায়িক রূপ নেয়। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের উপর লাঠিচার্জ এবং গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। এতে বেশ কিছু মুসলিম প্রতিবাদকারী নিহত হন এবং বেশ কিছু আহত হন। উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন শহরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়, বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো হয়, এবং বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয় (ভিডিও দেখুন)।
- বেঙ্গালুরু দাঙ্গা (২০২০): ২০২০ সালের আগস্ট মাসে বেঙ্গালুরু শহরে একটি ধর্মীয় উত্তেজনার কারণে ব্যাপক দাঙ্গা ঘটে। মূলত একটি ফেসবুক পোস্টের কারণে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের মধ্যে প্রতিবাদ সৃষ্টি হয়, এবং এটি এনআরসি ও সিএএ বিরোধী আন্দোলনের পটভূমিতে সংঘটিত হয়েছিল। সহিংসতার ফলে কয়েকজন পুলিশ সদস্য এবং সাধারণ জনগণ আহত হন। এদিন প্রায় ২০,০০০ মানুষ শহরের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় নেমে আসে এবং পুলিশ স্টেশনসহ কয়েকটি সরকারি অফিসে হামলা চালায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ বাহিনীর উপর আক্রমণ শানানো অভিযোগে কিছু মুসলিম নাগরিককে গ্রেপ্তার করে এবং নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে (ভিডিও দেখুন)।
- মুম্বাই দাঙ্গা (২০২০): মুম্বাইয়ে সিএএ ও এনআরসি বিরোধী আন্দোলন পরবর্তী সময়ে ২০২০ সালে কিছু জায়গায় সহিংসতা সৃষ্টি হয়েছিল। মুম্বাইয়ে বড় ধরনের দাঙ্গা না ঘটলেও, কিছু বিচ্ছিন্ন দাঙ্গা ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের খবর পাওয়া যায়। এই সহিংসতার ঘটনাগুলো ছিল বিশেষ করে মুসলিম জনগণের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক এবং সামাজিক চাপের প্রতিক্রিয়া হিসেবে।
এনআরসি আইন এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব একটি জটিল ও বহুমুখী সমস্যা, যেখানে ধর্ম, রাজনীতি, মানবাধিকার, এবং নাগরিকত্বের প্রশ্ন জড়িত। এই দ্বন্দ্বের ফলে দেশটির সমাজে বিভাজন এবং রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তথ্যসূত্র:
১। আহমেদ, এম. (২০১৯). ভারতে এনআরসি: মুসলিমদের জন্য উদ্বেগের কারণ। ঢাকা ট্রিবিউন, ২১ জুলাই।
https://www.dhakatribune.com/opinion/2021/07/21/nrc-in-india-concern-for-muslims
২। হোসেন, স. (২০১৯). নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন: মুসলিমদের জন্য চ্যালেঞ্জ। এশিয়ান এ, ৩১ ডিসেম্বর।
https://www.asianage.com/india/nation/dec/31/what-caa-nrc-means-for-muslims
৩। ইসলাম, শ. (২০২০). এনআরসি ও নাগরিকত্ব আইন: ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়ের অনুভূতি। বাংলাদেশ প্রতিদি, ৩ মার্চ।
https://www.bd-pratidin.com/nrc-india-muslims
৪। রহমান, স. (২০২০). এনআরসি ও মুসলিম নির্যাতন: ভারতের বর্তমান পরিস্থিতি। বিডি নিউজ ২৪, ৫ ফেব্রুয়ারি।
https://www.bdnews24.com/india-nrc-muslim-persecution
৫। মিয়া, র. (২০২১). ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন: মুসলিমদের জন্য কতটা হুমকস্টার নিউ, ১৫ আগস্ট।
https://www.starn24.com/india-caa-nrc-muslims-threat
৬। খান, জ. (২০২১). এনআরসি এবং মুসলিম সম্প্রদায়: ভারতের রাষ্ট্রীয় নীতি নিয়ে প্রশ্ন। দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ, ২৭ ফেব্রুয়ারী।
https://www.newindianexpress.com/nrc-india-muslim-issue
৭। আহমেদ, ক. (২০২০). ভারতীয় মুসলিমদের উপর নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসির প্রভাব।বিজনেস স্ট্যান্ডার্, ২৮ মার্চ।
https://www.business-standard.com/caa-nrc-impact-on-muslims
৮। চৌধুরী, প. (২০২০). ভারতের এনআরসি ও মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রেক্ষাপট। কালের কণ্ঠ অনলাইন, ১২ অক্টোবর।
https://www.kalerkantho.com/india-nrc-muslim-community
৯। সিদ্দিকী, ম. (২০২০). এনআরসি ও মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ।বাংলাদেশের আল, ১ জানুয়ারি।
https://www.bangladeshalo.com/nrc-india-muslims
১০। রহমান, ব. (২০২১). ভারতীয় মুসলিমদের নাগরিকত্ব সংকট: এনআরসি ও সিএএ এর প্রভাব। দ্য ডেইলি স্ট, ১১ জুন।
https://www.thedailystar.net/caa-nrc-impact-on-indian-muslims
১১। শর্মা, গ. (২০১৯). এনআরসি এবং নাগরিকত্ব আইন: ভারতীয় মুসলিমদের দৃষ্টিভঙ্গি। ইন্ডিয়া টুডে, ১৮ ডিসেম্বর।
https://www.indiatoday.in/nrc-caa-indian-muslims-perspective
১২। রেজা, এ. (২০২১). ভারতে এনআরসি: মুসলিমদের অবস্থান ও প্রতিবাদপিপলস ডেমোক্রেসি, ৪ জুলাই।
https://www.peoplesdemocracy.in/nrc-muslim-protests-india
১৩। দেওয়ান, অ. (২০২১). নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি: ভারতের মুসলিমদের উদ্বেগ।আজকা, ১৪ মার্চ।
https://www.aajkal.com/india-nrc-muslim-concerns
১৪। সরকার, স. (২০২০). এনআরসি ও মুসলিম সম্পদ্রায়ের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণ। দ্য হিন্দ, ৭ আগস্ট।
https://www.thehindu.com/nrc-muslim-conflict-india
১৫। পাল, অ. (২০২০). এনআরসি: ভারতীয় মুসলিমদের বিরুদ্ধে বৈষম্য।টাইমস অব ইন্ডিয, ৩১ ডিসেম্বর।
https://timesofindia.indiatimes.com/nrc-discrimination-muslims-india
১৬। সান্যাল, চ. (২০২১). নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও মুসলিম জনগণের অবস্থা। অর্থনীতি দৃষ্টি, ২৪ ফেব্রুয়ারি।
https://www.arthoniti.com/caa-nrc-muslims-india
১৭। শফিক, ন. (২০২০). ভারতে মুসলিমদের নাগরিকত্ব সংকট: এনআরসি ও সিএএ। উত্তরাঞ্চল সংবাদ, ১৮ আগস্ট।
https://uttaranews.com/nrc-caa-indian-muslims
১৮। আখতার, স. (২০২১). এনআরসি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন: মুসলিম জনগণের ভয়াবহতা। অল ইন্ডিয়া রে, ২০ জানুয়ারি।
https://www.airnewsindia.com/nrc-caa-muslims-fear
১৯। জহির, এম. (২০২০). ভারতের এনআরসি ও মুসলিম সম্প্রদায়: এক গভীর সংকট।শাহরুখ নিউ, ১২ সেপ্টেম্বর।
https://www.shahrukhnews.com/nrc-indian-muslim-crisis
২০। সেলিম, খ. (২০২১). ভারতের মুসলিমদের নাগরিকত্ব: এনআরসি আইন ও সাম্প্রতিক প্রতিবাদ। বাংলাদেশ সেন্টিনেল, ৫ জুন।
https://www.bd-sentinel.com/nrc-indian-muslims-protests
২১। কুমার, শ. (২০১৯). এনআরসি ও মুসলিমদের ভবিষ্যৎ: ভারতের রাজনৈতিক দিক। আধুনিক ভারত, ২৩ নভেম্বর।
https://www.modernbharat.com/nrc-muslim-future-india
২২। সরকার, স. (২০২১). ভারতের এনআরসি: মুসলিমদের জন্য এক নতুন চ্যালেঞ্জ। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইম, ১১ ফেব্রুয়ারি।
https://www.nytimes.com/nrc-muslims-india-challenge
© লেখক: প্রধান সেচ্ছাসেবী সমন্বয়ক, ভয়েস অফ বয়কট