দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের এআই-ভিত্তিক আদিপত্য
ডিজিটাল হেজিমনি
দক্ষিণ এশিয়ায় আধুনিক প্রযুক্তি, বিশেষত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), সামাজিক, রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ভারতের মতো বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশে এআই ব্যবহারের মাধ্যমে সরকার ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কর্তৃত্ববাদী প্রবণতা প্রকাশ করছে।
ভারতের সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা ও কুটনৈতিক মহলগুলো আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) আধিপত্য বিস্তারে ব্যবহার করছে, যেমন নজরদারি, তথ্য বিশ্লেষণ, ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং সামাজিক মাধ্যমে প্রচার নিয়ন্ত্রণ করে। উদাহরণস্বরূপ, স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের সময়ে রাষ্ট্রীয় সহায়তায় নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য বিক্রির অভিযোগ পাওয়া যায় এবং বাংলাদেশের নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র তথ্য-ভান্ডার ভারতের কাছে রয়, এর মাধ্যমে ফেসিয়াল রিকগনিশন সিস্টেম এবং বায়োমেট্রিক ডেটা বিশ্লেষণ করে ভারতবিরোধী মত দমন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠায় রক্ষা সহায়তা করছবাংলাদেশের ডেটা সেন্টার পার্ক ভারতীয় কোম্পান দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হলে নিরাপত্তার ঝুঁকি বাড়বে। ফলে নাগরিকদের গোপনীয়তা এবং স্বাধীনতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
এআই-নির্ভর ডেটা সংগ্রহ ব্যবস্থার মাধ্যমে ভারত সরকার স্থানীয় ভিন্নমত পোষণকারীদের চিহ্নিত করছে এবং তাদের ওপর নিয়ন্ত্রণ করছে বলে অভিযোগ সামাজিক মাধ্যমে ভুয়া তথ্য এবং প্রোপাগান্ড ছড়িয়ে সরকার নিজের অবস্থানকে শক্তিশালী করছে। বিশেষত, নির্বাচনী প্রচারণায় এআই প্রযুক্তির ব্যবহারে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বৈষম্য এবং পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে।
এই প্রক্রভারতের কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃত্ববাদী আচর প্রকাশ করছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোর ওপরও প্রভাব ফেলছে। ভারতের প্রযুক্তি ব্যবহার এবং এর কৌশল অনুসরণ করে অন্যান্য দেশেও একই ধরনের নজরদারি ব্যবস্থা গড়ে তোলছে। ৫ই আগস্ট ২০২৪-এর পূর্বে বিরোধীমত দমনে বাংলাদেশের স্বৈরচার শাসক সরকারের বিরুদ্ধে এআই নির্ভ’প্যাগাসাস’ গোয়েন্দা নজরদার প্রমাণ পাওয়া যায়, পাবলিক ইন্টারনেট বন্ধ কর’জুলাই হত্যাকাণ্ড' চালিয়েছে যদিও স্বৈরশাসকদের দোসরা নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট ব্যবহার করার সত্যতা মেলে ।মূলত ভারত কৌশলগত আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তির উদ্ভাবিত ক্ষমতা সুসংহত এআই ব্যবহার করছে, যা প্রায়শই কর্তৃত্ববাদী শাসন ও আধিপত্যকে সহজতর করে। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত এআই এবং ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্থানীয় গণমাধ্যম নিয়ন্ত্ ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহে গণমাধ্যম প্রচাররোধ করতে সক্ষম যা আঞ্চলিক শক্তির ভারসাম্য পুনর্গঠন এবং পরিবর্তনশীল বিশ্বে নিজেদের আধিপত্য স্থাপনের লক্ষ্য সফল হচ্ছে।
২০২৪ সালে ভারত বাংলাদেশের মোংলা বন্দর চালু করতে আগ্রহ দেখিয়েছ, ভারত ২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি খাতে এআই ও ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্থানীয় কর্তৃত্ব এবং স্বায়ত্তশাসনকে দুর্বল করেছে। দৈনন্দিন খাবারপণ্য, প্রসাধনী, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ এবং চাহিদাভিত্তিক নীতিমালা তৈরি করার জন্য এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্থানীয় কোম্পানির প্রতিযোগিতার সক্ষমতা হ্রাস করা হয়েছে, যার ফলভারত থেকে বাংলাদেশে আমদানির পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০১৭ সালে এয়ারটেল এআই-ভিত্তিক ডেটা অ্যানালিটিক্স ব্যবহার করে গ্রাহক চাহিদার উপর প্রভাব ফেলে তাদের সেবা কাস্টমাইজ করেছে, যা ভারতের আধিপত্যকে আরও সুসংহত করেছে। বাংলাদেশের আইটি খাত ভারতীয় প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে, যা অভ্যন্তরীণ উদ্ভাবনকে বাধাগ্রস্ত করে। এছাড়া, ভারতের এআই-ভিত্তিক কৃষি যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেছে, যা স্থানীয় কৃষিক্ষেত্রের স্বাধীনতাকে সীমিত করেছে।
ভারতের এআই চালিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হিন্দু সংখ্যালঘুদের নির্যাতন প্রপাগাণ্ডা বাংলাদেশি-ভারতীয়দের জনমতকে প্রভাবিত করতে ব্যবহার করা হয়েছে। মাইক্রো-টার্গেটিং এবংসামাজিক মাধ্যমের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সমর্থন করে ২০১৮-২০২৪ সালের নির্বাচনে বিজয় নিশ্চিত করা হয়েছে। পরিকল্পিত এআই অপপ্রয়ো এবং ডিজিটাল প্রচেষ্টা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক স্বাধীনতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। কাঠামোগত নির্ভরতা তৈরি করে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াগুলিকে দুর্বল করে, ভারত বাংলাদেশের উপর তার প্রভাব বৃদ্ধি করেছে, যা সার্বভৌমত্ব এবং দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতার জন্য গুরুতর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
ভারত ২০১৫ সাল থেকে এআই এবং ডিজিটাল কৌশল ব্যবহার করে পাকিস্তানের রাজনৈতিক এবং বাণিজ্যিক খাতকে অস্থির করে তুলেছে, যা আঞ্চলিক আধিপত্য বৃদ্ধির জন্য একটি কৌশলগত পদক্ষেপ। কাশ্মীর প্রসঙ্গে বিশেষভাবে লক্ষ্যভিত্তিক মিথ্যা তথ্যপ্রচার এবং বর্ণনাকে বিকৃত করার জন্য এআই নির্ভর রাজনৈতিক অপারেশন পরিচালনো হয়, যা পাকিস্তানে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা বাড়িয়েছে। এআই অ্যালগরিদম ব্যবহার করে ভারতের সামাজিক মাধ্যমে মেরুকৃত বিষয়বস্তু প্রচার করা হয়েছে, যা পাকিস্তানে সামাজিক ও রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়িয়েছে। ২০২১ সালে পাকিস্তানি সরকারি ওয়েবসাইটগুলিতে সাইবার আক্রমণ দেশের আইটি অবকাঠামোর দুর্বলতাগুলি প্রকাশ করেছে। এআই-সমৃদ্ধ সাইবার যুদ্ধের মাধ্যমে তথ্য ফাঁস এবং অপারেশনাল ব্যাঘাত ঘটানো হয়েছিল। এছড়াও পাকিস্তানের বাজারেভারতের প্রযুক্তি নির্ভর সংস্কৃতি রপ্তানি করে আধিপত্য বিস্তার করেছে, যা স্থানীয় ব্যবসার প্রতিযোগিতার সক্ষমতা দুর্বল করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ভারতীয় সংস্কৃতির আধিপত্ বিস্তার লাভ করছে। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম যেমন জি৫ (ZEE5) ও সনিলাইভ (SonyLIV), হৈচৈ (Hoichoi) ডিজিটাল ও বিনোদন ক্ষেত্রে তাদের উপস্থিতি প্রসারিত করেছে, যার ফলে দেশীয় সংস্কৃতির অবক্ষয় হচ্ছে।
২০১৫ সাল থেকে ভারত এআই এবং ডিজিটাল কৌশল ব্যবহার করে শ্রীলঙ্কার বাণিজ্য ও রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করেছে, যা দেশটির অর্থনৈতিক নির্ভরতা সৃষ্টি এবং রাজনৈতিক গতিশীলতা পরিবর্তনের মাধ্যমে ভারতের কৌশলগত লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করেছে। ভারতীয় ওষুধ শ্রীলঙ্কার স্বাস্থ্যখাতের উপর প্রভাব বিস্তার করে স্থানীয় প্রস্তুতকারকদের ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং নির্ভরতা বাড়িয়েছে। ভারতীয় কর্পোরেশনগুলো এআই ব্যবহার করে চাহিদা পর্যবেক্ষণ এবং সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করেছে। ২০১৭ সালে, পেটিএম এবং জিও প্ল্যাটফর্মস-এর মতো ভারতীয় কোম্পানিগুলি শ্রীলঙ্কার ডিজিটাল পেমেন্ট এবং ই-কমার্স খাতে প্রবেশ করে। এআই-চালিত ভোক্তা আচরণ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে স্থানীয় বাজারকে ব্যাহত করেছে এবং স্থানীয় ব্যবসাগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ভারত এআই-ভিত্তিক ভোটার আচরণ বিশ্লেষণ এবং প্রচারণার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী এলাকাগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করেছে। ভারতীয় বট এবং ট্রল সামাজিক মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে বিরোধী নেতাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে এবং ভোটারদের বিভক্ত করেছে।
২০১৮ সালে, ভারত শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক নেতাদের এবং বিরোধী দলগুলির সাইবার নজরদারি বৃদ্ধি করে, যা ক্ষমতাসীন দলকে সুবিধাজনক নীতিমালা প্রণয়নে সহায়তা করেছে। ২০১৯ সালে, এআই-চালিত মিডিয়া প্রচারণার মাধ্যমে চীনের সঙ্গে নেপালের বাণিজ্য চুক্তি সমালোচনা করা হয়, যা অঞ্চলে বেইজিংয়ের প্রভাবকে মোকাবিলার একটি পদক্ষেপ ছিল। এই প্রচেষ্টাগুলি শ্রীলঙ্কাকে ভারতীয় পণ্য, প্রযুক্তি এবং রাজনীতির উপর নির্ভরশীল করে তুলেছে, যার ফলে দেশটির অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সার্বভৌমত্ব ক্ষয় হয়েছে। শ্রীলঙ্কার জাতীয় স্বার্থ এবং গুরুত্বপূর্ণ শিল্প খাতকে রক্ষা করতে সাইবার নিরাপত্তা, ডিজিটাল আত্মনির্ভরতা এবং বৈচিত্র্যময় আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা বেড়ে গেছে।
ভারত এআই এবং ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করে নেপালের কর্পোরেট ও সরকারি খাতে প্রভাব বিস্তার করেছে, যা নির্ভরশীলতা ও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ভারতের কৌশলগত লক্ষ্য পূরণে সহায়ক হয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে ভারতীয় ওষুধ এবং কৃষি সরঞ্জাম স্থানীয় উৎপাদকদের ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম, যেমন পেটিএম এবং ফোনপে, নেপালের আর্থিক খাতকে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে দিয়েছে, যা অর্থনৈতিক নির্ভরতা আরও বাড়িয়েছে। ২০১৭ সালের সাধারণ নির্বাচনে ভারত এআই-চালিত ডেটা বিশ্লেষণ এবং সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে ভারত-সমর্থিত দলগুলিকে প্রচার করেছে এবং বিরোধী প্রার্থীদের হেয় করেছে। ২০২০ সাল থেকে ভারত-নেপাল সাইবার যুদ্ধ এবং এআই-চালিত কার্যক্রমের মাধ্যমে নেপালের রাজনৈতিক নেতাদের উপর নজরদারি বাড়িয়েছে। এদের মধ্যে চীন-বিরোধী কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত ছিল, বিশেষ করে ২০১৯ সালের চীনের সঙ্গে নেপালের বাণিজ্য চুক্তিগুলিকে লক্ষ্য করে। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে নেপালে ভারতের ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
ভারত ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে আফগানিস্তান, মালদ্বীপ এবং ভুটানের উপর রাজনৈতকি ও অর্থনৈতিক প্রভাব বাড়িয়েছে। এটি অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতা, প্রযুক্তিগত অংশীদারিত্ব এবং সক্ষমতা উন্নয়নের মাধ্যমে আঞ্চলিক আধিপত্য নিশ্চিত করেছে। ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে, ভারত ভুটানের ‘ডিজিটাল দ্রুকইয়ুল’ প্রকল্পে ১.৯৮ বিলিয়ন সহায়তা প্রদান করে। এর ফলে দেশটির সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং সংযোগসহ ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নত হয়।
২০২৪ সালে, ভারত-মালদ্বীপের ‘ডিজিটাল ইকোনমি মাস্টারপ্ল্যান’-এ উল্লেখযোগ্য প্রভাব বিস্তার করে, যা অর্থনৈতিক আধুনিকীকরণ এবং এআই-চালিত প্রশাসনকে অগ্রাধিকার দেয়। মালদ্বীপের ডিজিটাল খাতে ভারতের প্রভাব আরও দৃঢ় হয়, যেখানে ভারতীয় কোম্পানিগুলি ই-গভর্ন্যান্স এবং টেলিকম প্রকল্পের নেতৃত্ব দেয়। ২০২০ সাল থেকে ভারত মালদ্বীপের সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য এআই এবং সাইবার নিরাপত্তায় দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেছে, যা তাদের চীনের মতো প্রতিযোগী দেশের উপর নির্ভরতা কমিয়েছে। ২০১৬ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে, ভারত আফগানিস্তানের ডিজিটাল সংযোগ প্রকল্পে সহায়তা করেছে, যার মধ্যে আফগান ন্যাশনাল ডেটা সেন্টার এবং অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক অন্তর্ভুক্ত। ২০১৭ সালে, আফগানিস্তানের ই-গভর্ন্যান্স কাঠামো তৈরিতে সহায়তা করে, যা জনসেবার মান উন্নয়ন এবং প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সহজ করে। এই উদ্যোগগুলির মাধ্যমে আফগানিস্তানের ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নত হয় এবং দেশটির বিকাশে ভারত একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হয়ে ওঠে। এই লক্ষ্যভিত্তিক পদক্ষেপগুলির মাধ্যমে ভারত আঞ্চলিক আধিপত্যকে শক্তিশালী করেছে। এটি দীর্ঘমেয়াদী কৌশলগত সম্পর্ক তৈরি করেছে, বাইরের প্রভাব, বিশেষত চীনের প্রভাব সীমিত করেছে এবং এই দেশগুলোকে ভারতের প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত করেছে।
গ্রন্থপঞ্জি (লিংক ব্যতীত):
- আহমেদ, স., এবং রহমান, জ. (২০২২)। দক্ষিণ এশিয়ায় ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রভাব: ভারতের ভূরাজনৈতিক লক্ষ্য। ডিজিটাল স্টাডিজ জার্নাল, ১৪(২), ৪৫-৬০।
- চৌধুরী, পি. (২০২১)। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং গণতন্ত্র: ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি। সামাজিক গবেষণা পত্রিকা, ৭(১), ২৩-৩৯।
- করিম, এ. (২০২৩)। এআই এবং তথ্য সংগ্রহ ব্যবস্থার মাধ্যমে রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ। গবেষণা ও উন্নয়ন জার্নাল, ১২(৫), ১৫-৩২।
- দাস, র., এবং পাল, কে. (২০২০)। ভারতের কেন্দ্রীয় প্রশাসনের এআই ব্যবহার। পলিসি অ্যানালাইসিস জার্নাল, ৯(৩), ১০০-১১৫।
- হোসেন, এম. (২০২২)। দক্ষিণ এশিয়ার গণমাধ্যমে এআই: ভারতের প্রভাব। মিডিয়া স্টাডিজ রিভিউ, ৮(৪), ৭৫-৯০।
- কুমার, এ. (২০১৯)। সামাজিক মাধ্যমের তথ্য প্রক্রিয়াকরণে ভারতের এআই ব্যবহার। ডিজিটাল এথিকস জার্নাল, ৬(২), ৩৪-৪৭।
- শর্মা, এস., এবং গোপাল, বি. (২০২১)। নির্বাচনী প্রচারণায় এআই: ভারতীয় কৌশল। পলিটিক্যাল সায়েন্স রিভিউ, ১১(৩), ১৮-৩২।
- ত্রিপাঠি, এন. (২০২২)। ভারতে নাগরিক গোপনীয়তা ও এআই। আইটি অ্যান্ড সোসাইটি জার্নাল, ৫(৬), ৫৫-৭০।
- রায়, ডি. (২০২০)। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের কৌশলগত আধিপত্য। ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ জার্নাল, ১০(৪), ৯০-১০৫।
- চক্রবর্তী, কে. (২০২৩)। গণতন্ত্র বনাম কর্তৃত্ববাদ: ভারতের এআই কৌশল। পলিসি স্টাডিজ রিভিউ, ১৩(১), ৩৫-৫০।
- সেন, এ., এবং বসু, টি. (২০২১)। দক্ষিণ এশিয়ায় ডিজিটাল নজরদারি। ডিজিটাল গভর্নেন্স জার্নাল, ৭(৩), ৫৬-৭২।
- মিত্র, পি. (২০২২)। ভারতে এআই চালিত ডেটা বিশ্লেষণ। ডেটা সায়েন্স অ্যান্ড পলিসি জার্নাল, ৪(২), ৭৮-৯১।
- ঘোষ, আর. (২০২৩)। ভারত ও এআই: রাজনৈতিক এবং সামাজিক প্রভাব। অর্থনীতি ও সমাজ রিভিউ, ৯(৫), ৪৫-৬২।
- বন্দ্যোপাধ্যায়, কে. (২০১৯)। ভারতে এআই প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ। টেকনোলজি রিসার্চ জার্নাল, ৩(৭), ২৩-৩৭।
- সিং, আর. (২০২০)। দক্ষিণ এশিয়ায় এআই প্রযুক্তি ও মানবাধিকার। হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড টেকনোলজি জার্নাল, ৮(১), ৬৫-৭৮।
- খান, এস., এবং আহমেদ, আর. (২০২২)। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের ডিজিটাল আধিপত্য। ডিজিটাল স্ট্র্যাটেজি পত্রিকা, ১১(১), ২৩-৩৮।
- মালিক, জ., এবং শর্মা, পি. (২০২০)। দক্ষিণ এশিয়ার বাণিজ্যে ভারতের এআই প্রযুক্তির প্রভাব। ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড জার্নাল, ৯(৩), ৪৫-৬০।
- রাজ, এ., এবং গুপ্তা, জে. (২০২১)। দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক গতিশীলতা এবং ভারতের ভূমিকা। পলিটিক্যাল ইকোনমি রিভিউ, ৫(৫), ১২-২৫।
- দেবনাথ, টি. (২০২৩)। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ভারতের এআই প্রযুক্তি। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট জার্নাল, ৮(৪), ৩০-৫০।
- ভট্টাচার্য, এ. (২০১৯)। দক্ষিণ এশিয়ার তথ্য প্রযুক্তি খাতে ভারতের আধিপত্য। টেকনোলজি অ্যান্ড সোসাইটি জার্নাল, ৭(২), ৫৫-৭০।
- সেনগুপ্ত, আর. (২০২২)। দক্ষিণ এশিয়ার বাজারে ভারতীয় এআই-এর কৌশল। বাণিজ্য এবং অর্থনীতি জার্নাল, ৬(৩), ৬৫-৮০।
- মিত্র, পি., এবং রায়, ডি. (২০২১)। ভারতীয় এআই কৌশল এবং আঞ্চলিক রাজনৈতিক প্রভাব। পলিসি অ্যানালাইসিস রিভিউ, ৪(১), ৮৫-১০০।
- ঘোষ, এ. (২০২০)। দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক স্বাধীনতা। ডিজিটাল গভর্নেন্স পত্রিকা, ৯(৫), ১৫-৩০।
- বসু, টি. (২০২৩)। এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের আধিপত্য। টেকনোলজি অ্যান্ড পলিসি জার্নাল, ১২(২), ২৫-৪০।
- রাহমান, এ. (২০২১)। ভারতের প্রযুক্তি-কেন্দ্রিক আঞ্চলিক নীতি। ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস রিভিউ, ৫(৬), ৭৫-৯০।
- সিংহ, আর. (২০১৯)। দক্ষিণ এশিয়ার নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভারতের এআই প্রভাব। ইলেক্টোরাল স্টাডিজ রিভিউ, ৮(৩), ৩৫-৫০।
- দাশগুপ্ত, এ. (২০২৩)। ভারতীয় প্রযুক্তি এবং আঞ্চলিক কৌশল। গবেষণা ও উন্নয়ন জার্নাল, ৬(২), ৭৫-৮৮।
- ঘোষ, পি. (২০২১)। দক্ষিণ এশিয়ার তথ্য প্রযুক্তি। আইটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট রিভিউ, ৯(১), ৪৫-৫৮।
- চক্রবর্তী, এস. (২০২০)। ভারতীয় এআই নীতি এবং এর ভূরাজনৈতিক প্রভাব। পলিটিক্যাল সায়েন্স জার্নাল, ১০(৫), ৩০-৪৫।