Title Title

বয়কট কোম্পানি

মন্ডেলেজ

ইসরায়েল

মন্ডেলেজ ইন্টারন্যাশনাল একটি মার্কিন বহুজাতিক কনফেকশনারি, খাদ্য, পানীয় এবং স্ন্যাকস প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান, যার সদর দপ্তর শিকাগো, ইলিনয়সে অবস্থিত। প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ১৬০টি দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করে এবং বার্ষিক প্রায় ২৬.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রাজস্ব অর্জন করে। প্রতিষ্ঠানটির উৎপত্তি ১৯২৩ সালে শিকাগোতে ক্রাফট ফুডস ইনকর্পোরেটেড হিসেবে হয়, ইসরায়েলের সাথে প্রতিষ্ঠানটির সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে (প্রমাণ)। ২০১২ সালে ক্রাফট ফুডস তাদের স্ন্যাকস ব্যবসা মন্ডেলেজ ইন্টারন্যাশনাল নামে পুনঃব্র্যান্ড করে এবং উত্তর আমেরিকার গ্রোসারি ব্যবসা ক্রাফট ফুডস গ্রুপ নামে পৃথক করে। মন্ডেলেজ ইন্টারন্যাশনালের পণ্যসামগ্রীর মধ্যে চকলেট, কুকি, বিস্কুট, গাম, কনফেকশনারি এবং পাউডার পানীয় অন্তর্ভুক্ত। তাদের পোর্টফোলিওতে বিলিয়ন ডলারের বেশ কিছু ব্র্যান্ড রয়েছে, যেমন বেলভিটা (Belvita), চিপস আহয়! (Chips Ahoy!), অরিও (Oreo), রিটজ (Ritz), টুক (TUC), ট্রিস্কিট (Triscuit), নাবিস্কো (Nabisco), লু (LU), সাওয়ার প্যাচ কিডস (Sour Patch Kids), মিল্কা (Milka), কোট ডি'অর (Côte d'Or), টবলারোন (Toblerone), ক্যাডবেরি (Cadbury), গ্রিন অ্যান্ড ব্ল্যাকস (Green & Black's), ট্রাইডেন্ট (Trident), ডেন্টাইন (Dentyne), চিকলেটস (Chiclets), হলস (Halls), এবং ট্যাং (Tang)। কানাডায় মন্ডেলেজ ইন্টারন্যাশনাল ক্রিস্টি ব্রাউন অ্যান্ড কোম্পানির অধিকার ধারণ করে, যার মধ্যে মিস্টার ক্রিস্টি, ট্রিস্কিটস এবং ড্যাড'স কুকিজ ব্র্যান্ড অন্তর্ভুক্ত। তাদের প্রধান কার্যালয় টরন্টো, অন্টারিওতে অবস্থিত, এবং ব্র্যাম্পটন, হ্যামিল্টন এবং মন্ট্রিয়লে কার্যক্রম পরিচালনা করে।
২০২৪ সালের মে মাসে, ইউরোপীয় কমিশন মন্ডেলেজ ইন্টারন্যাশনালকে €৩৩৭.৫ মিলিয়ন জরিমানা করে, যা ইইউ-এর অ্যান্টিট্রাস্ট আইন লঙ্ঘন করে চকলেট, কুকি এবং কফি পণ্যের ক্রস-বর্ডার বিক্রয় অবরোধের জন্য আরোপিত হয়। ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতের প্রেক্ষাপটে মন্ডেলেজের ইসরায়েলি সংশ্লিষ্টতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ইসরায়েলের দখলীকৃত অঞ্চল বা অবৈধ বসতিগুলোতে পণ্য সরবরাহ অথবা কার্যক্রম পরিচালনা করা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমর্থন হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়। বিডিএস (বয়কট, ডাইভেস্টমেন্ট, এবং স্যাংকশন) আন্দোলন এই ধরনের কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়ে আসছে। মন্ডেলেজ ইন্টারন্যাশনাল যদি ইসরায়েলের বাজারে সক্রিয় থাকে এবং তাদের কার্যক্রম ইসরায়েলের অবৈধ দখলদারিত্বকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সমর্থন করে বলে মনে করা হয়, তবে এটি তাদের বয়কটের একটি প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়ায়। মন্ডেলেজ ইন্টারন্যাশনাল সাধারণত তাদের অবস্থানকে নিরপেক্ষ হিসেবে উপস্থাপন করে এবং বলে যে তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক উদ্দেশ্যকে সমর্থন করে না। তবে, ভোক্তাদের একাংশ মনে করেন যে ইসরায়েলের সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্ক রাখা ফিলিস্তিনিদের অধিকারের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করার সমান। এই কারণে মন্ডেলেজের পণ্য বর্জনের আহ্বান জানানো হয়েছে, বিশেষত যারা মানবাধিকার এবং নৈতিকতার বিষয়ে সচেতন।
বাংলাদেশে মন্ডেলেজ ইন্টারন্যাশনালের পণ্য বয়কটের কারণ মূলত ইসরায়েলি সংশ্লিষ্টতার উপর ভিত্তি করে মানবাধিকার ও নৈতিকতার প্রশ্নের সঙ্গে জড়িত। ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত এবং ইসরায়েলের দখলদারিত্বের কারণে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতে ইসরায়েলি সম্পৃক্ত যেকোনো প্রতিষ্ঠান বা তাদের পণ্যের প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দেখা যায়। মন্ডেলেজ ইন্টারন্যাশনালের ইসরায়েলের সাথে ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করা হয়, যা অনেক ভোক্তার কাছে বর্জনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
বাংলাদেশের ভোক্তাদের একটি অংশ মনে করেন যে মন্ডেলেজ ইন্টারন্যাশনাল যদি ইসরায়েলি বাজারে সক্রিয় থাকে, তবে এটি ফিলিস্তিনিদের অধিকার লঙ্ঘন এবং ইসরায়েলের অবৈধ দখলদারিত্বের প্রতি মৌন সমর্থন হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। ফলে, মন্ডেলেজের পণ্য যেমন অরিও, ক্যাডবেরি, টবলারোন ইত্যাদি বাংলাদেশে বয়কটের আওতায় আসে। বিশেষত, যারা মানবাধিকার এবং মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের প্রতি গুরুত্ব দেন, তারা এই বয়কটে অংশ নেন। এছাড়া, বাংলাদেশের বাজারে মুসলিম ভোক্তাদের একটি বড় অংশ পণ্যের উত্স এবং উৎপাদন প্রক্রিয়া নিয়ে সংবেদনশীল। ইসরায়েলের সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ যেকোনো পণ্য বা ব্র্যান্ডকে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে বাধ্য করে। তাই, মন্ডেলেজ ইন্টারন্যাশনালের পণ্য বয়কট মূলত ফিলিস্তিনিদের অধিকারের প্রতি সংহতি এবং ইসরায়েলের নীতির প্রতি অসন্তোষ প্রকাশের একটি মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।


কোম্পানির ব্র্যান্ড সমূহ

ফাইভ স্টার

ইসরায়েল

সেভেন ডেজ

ইসরায়েল

আল্পেন গোল্ড

ইসরায়েল

বার্নি

ইসরায়েল

বেলভিটা

ইসরায়েল

​ক্যাডবুরি

ইসরায়েল

বর্নভিটা

ইসরায়েল

ডেইরি মিল্ক (মন্ডেলেজ)

ইসরায়েল

চিপস আহোই

ইসরায়েল

ক্লিফ

ইসরায়েল

ক্লোরেটস

ইসরায়েল

ক্লাব সোশ্যাল

ইসরায়েল

​কোত দ'অর

ইসরায়েল

​ডেইম

ইসরায়েল

এনজয় লাইফ

ইসরায়েল

​ফ্রেইয়া

ইসরায়েল

​গ্রেনেড

ইসরায়েল

​ট্যাং

ইসরায়েল

Title