Title Title

বয়কট কোম্পানি

মন্ডেলেজ

ইসরায়েল

বয়কট ব্র্যান্ড

ফাইভ স্টার

ইসরায়েল

মন্ডেলেজ ইন্টারন্যাশনাল একটি মার্কিন বহুজাতিক কনফেকশনারি, খাদ্য, পানীয় এবং স্ন্যাকস প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান, যার সদর দপ্তর শিকাগো, ইলিনয়সে অবস্থিত।  প্রতিষ্ঠানটির উৎপত্তি ১৯২৩ সালে শিকাগোতে ক্রাফট ফুডস ইনকর্পোরেটেড হিসেবে হয়।
মন্ডেলেজ ইন্টারন্যাশনালের জনপ্রিয় চকলেট ব্র্যান্ড ফাইভ স্টার বয়কটের আহ্বান বিশেষত ইসরায়েলি সংশ্লিষ্টতার কারণে উঠে এসেছে। এই বয়কটের মূল কারণ হলো, মন্ডেলেজ ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে ইসরায়েলের ব্যবসায়িক সম্পর্ক এবং এর মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের অধিকার লঙ্ঘনের সমর্থনকে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করা। ইসরায়েলের প্রতি অর্থনৈতিক এবং নৈতিক চাপ প্রয়োগের অংশ হিসেবে বিশ্বব্যাপী বিডিএস (Boycott, Divestment, Sanctions) আন্দোলনের প্রভাব এই বয়কটের পেছনে কাজ করছে। ফাইভ স্টার চকলেট ব্র্যান্ড মন্ডেলেজের পোর্টফোলিওর অন্যতম জনপ্রিয় পণ্য, যা বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে বিক্রি হয়। তবে, ইসরায়েলের সঙ্গে কোম্পানির সম্পর্কের বিষয়ে যেসব তথ্য উঠে এসেছে, তা বাংলাদেশি ভোক্তাদের মধ্যে এই ব্র্যান্ডের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। অনেকেই মনে করেন, মন্ডেলেজ ইন্টারন্যাশনালের পণ্য কিনে তারা পরোক্ষভাবে ইসরায়েলের অবৈধ দখলদারিত্ব এবং ফিলিস্তিনিদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতি সমর্থন দিচ্ছেন।
বাংলাদেশে মুসলিম ভোক্তাদের মধ্যে ইসরায়েলের প্রতি বিরোধিতা এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানানোর বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফলে, ফাইভ স্টার এবং মন্ডেলেজের অন্যান্য পণ্য বর্জনের আহ্বান মানবাধিকার এবং নৈতিকতার প্রশ্নে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা যাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, স্থানীয় প্রচারণা এবং মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের প্রতি দায়িত্ববোধের অংশ হিসেবে ফাইভ স্টার বয়কটের আন্দোলন জোরালো হয়েছে। অবশেষে, ফাইভ স্টার বয়কটের বিষয়টি শুধুমাত্র ভোক্তাদের নৈতিক অবস্থানের ওপর নির্ভর করে। এটি একটি ব্যক্তিগত পছন্দের ব্যাপার, তবে যারা মানবাধিকার, ন্যায়বিচার এবং মুসলিম সংহতির প্রশ্নে সচেতন, তারা এই বয়কটে অংশ নিচ্ছেন। ফাইভ স্টারের মতো ব্র্যান্ডের বিকল্প খুঁজে নেওয়া এবং সচেতনতার মাধ্যমে এই ধরনের কার্যক্রমকে সমর্থন দেওয়ার বিষয়টি বাংলাদেশে ক্রমেই বাড়ছে।

Title