Title Title

বয়কট কোম্পানি

দ্যা কোকা-কোলা

ইসরায়েল

বয়কট ব্র্যান্ড

থামস আপ

ইসরায়েল

থামস আপ একটি কোকা-কোলা’র কোমল পানীয় ব্র্যান্ড, যা মূলত ১৯৭৭ সালে ভারতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি প্রথম তৈরি করেন আর.এস. চৌহান এবং বি.জে. চৌহান। থামস আপ দ্রুতই ভারতের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় কোমল পানীয় হয়ে ওঠে। ১৯৯৩ সালে কোকা-কোলা ভারতে ফিরে এসে থামস আপ ব্র্যান্ডটি অধিগ্রহণ করে এবং এটি তাদের পণ্যের অন্যতম প্রধান অংশে পরিণত হয়। এই পানীয়টি অতিরিক্ত মাত্রায় পান করলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। অতিরিক্ত চিনি গ্রহণের ফলে ডায়াবেটিস, স্থূলতা এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। থামস আপে থাকা ফসফরিক অ্যাসিড হাড়ের ঘনত্ব হ্রাস করতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি বাড়ায়। এছাড়া, ক্যাফেইনের মাত্রা বেশি থাকায় এটি ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে এবং উদ্বেগ বাড়াতে পারে। কোমল পানীয়ে কোনো পুষ্টিগুণ না থাকায় এগুলো কেবল ক্যালোরি সরবরাহ করে, যা স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসকে বাধাগ্রস্ত করে।

ভারতের বাজারে থামস আপের পরিচিতি থাকলেও, এটি কখনো কখনো বিতর্কিত পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে। কিছু সময়ে স্থানীয় এবং ধর্মীয় সংস্থাগুলি বিদেশি মালিকানাধীন ব্র্যান্ডের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে, যার মধ্যে থামস আপও রয়েছে। ১৯৯০-এর দশকে "স্বদেশি আন্দোলন" এর সময় থামস আপ এবং অন্যান্য বহুজাতিক কোম্পানির পণ্য বর্জনের আহ্বান জানানো হয়েছিল।

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের আগ্রাসন এবং ভারতের মুসলিমবিরোধী কার্যক্রমের প্রতিবাদে ‘পণ্য বয়কট আন্দোলন’ গতি পায়। বাংলাদেশের আলেম সমাজ ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন। মসজিদ ও ধর্মীয় সমাবেশে পণ্য বয়কটের বার্তা ছড়িয়ে দিয়ে জনগণকে সচেতন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিশেষত, খাদ্য ও প্রযুক্তি পণ্য নিয়ে জনগণের মধ্যে ইসরায়েলি পণ্য চিহ্নিত করার প্রচার চলছে। সম্প্রতি বাংলাদেশিরা কোকা-কোলা কোম্পানির সব পণ্য বয়কট করেছে। ইসরায়েল নির্বিচারে ২০২৪ সালে ৪৬০০০ জন মুসলিম গণহত্যার প্রতিবাদ বিশ্বমুসলিম সম্প্রদায়সহ বাংলাদেশের ওলামা-মাশায়েখগণ ইসরায়েলি পণ্য বয়কট বিষয়ে সচেতনামূলক কর্মসূচি দিচ্ছে।

ব্র্যান্ডের পণ্যসমূহ

থামস আপ

ইসরায়েল

থামস আপ ক্যান

ইসরায়েল

বিকল্প বাংলাদেশি ব্র্যান্ড

মজো জিরো

Title