Title Title

বয়কট কোম্পানি

ইউনিলিভার

ইসরায়েল-ভারত

বয়কট ব্র্যান্ড

লাক্স

ইসরায়েল-ভারত

ইউনিলিভারের লাক্স ব্র্যান্ডের যাত্রা শুরু হয় ১৯২৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে। এটি মূলত একটি সাবান ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়, যা পরে বিউটি ব্র্যান্ডে রূপান্তরিত হয়। লাক্সের প্রচারণার মূল ভিত্তি ছিল গ্ল্যামার এবং চলচ্চিত্র জগতের তারকাদের সঙ্গে পণ্যের সংযোগ স্থাপন। ব্র্যান্ডটি সাবানের প্রচলিত ধারণা থেকে সরে গিয়ে সৌন্দর্য এবং বিলাসিতার প্রতীক হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করে যা একেবারেই বাস্তবসম্মত নয় । ব্র্যান্ডটি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিজ্ঞাপনে অতিরঞ্জিত সৌন্দর্য ধারণা প্রচারের জন্য সমালোচিত হয়েছে। লাক্স বারবারই চলচ্চিত্র তারকাদের মাধ্যমে পণ্যের প্রচারণা চালিয়ে বাজার দখল করার চেষ্টা করেছে, যা অনেক ক্ষেত্রেই বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল না। 

লাক্স ব্র্যান্ডের অধীনে বেশ কয়েকটি পণ্য রয়েছে, লাক্স বডি সাবান, লাক্স শাওয়ার জেল, লাক্স লিকুইড সোপ এবং লাক্স বডি লোশন উল্লেখযোগ্য। পণ্যগুলো সৌন্দর্য সচেতন ভোক্তাদের লক্ষ্য করে বাজারজাত করা হয়। বিভিন্ন সুগন্ধি এবং রঙিন প্যাকেজিংয়ের মাধ্যমে পণ্যগুলোকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা হয়। লাক্স ব্র্যান্ডের পণ্যগুলোর বৈচিত্র্য এবং বিলাসী ইমেজ প্রচারের চেষ্টা এটি একটি বিশেষ ভোক্তাগোষ্ঠীর মধ্যে জনপ্রিয় করে তোলে। তবে, এর কার্যকারিতা এবং মূল্যের তুলনায় অতিরিক্ত মার্কেটিংয়ের কারণে এটি সমালোচনার শিকার হয়।

বাংলাদেশে লাক্স ব্র্যান্ড প্রথম আত্মপ্রকাশ করে ১৯৬০-এর দশকে। লাক্স দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় সেলিব্রিটিদের ব্যবহার করে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে নিজেকে দেশের শীর্ষস্থানীয় সাবান ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। গ্রামীণ এবং শহুরে উভয় বাজারেই এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান ধরে রেখেছে। লাক্স বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধি এবং মসৃণতা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেছে। তবে, ব্র্যান্ড/পণ্য সৌন্দর্যের নির্ধারিত মানদণ্ড নিয়ে বিতর্কিত হয়েছে, যা বাস্তব জীবনের সৌন্দর্যের ধারণার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। 

ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতের সময় লাক্স ব্র্যান্ডও বিতর্কিত হয়ে ওঠে। ইউনিলিভারের ইসরায়েলের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক নিয়ে মানবাধিকার সংগঠন এবং ভোক্তাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ইউনিলিভারের পণ্য বয়কটের ডাক দেওয়া হয়, যার মধ্যে লাক্সও অন্তর্ভুক্ত ছিল।  

ইসরায়েলের সঙ্গে ইউনিলিভারের ব্যবসায়িক সম্পর্ক নিয়ে সমালোচনা ওঠে, যা মানবাধিকার সংগঠন এবং ফিলিস্তিনপন্থী গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। এই কারণে গ্লো অ্যান্ড লাভলির পণ্যও বয়কটের আওতায় আসে। অনেক ভোক্তা দাবি করেন, ইউনিলিভার মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে নীরব ভূমিকা পালন করছে, যা তাদের ব্র্যান্ডের প্রতি আস্থা নষ্ট করেছে। বয়কট আন্দোলনে বাংলাদেশে ভারত থেকে আমদানিকৃত ইউনিলিভারের সবপণ্য বাংলাদেশিরা বয়কট করেছে এবং ২০২৪ সালে ফিলিস্তিনে ৪৬০০০ মুসলিম হত্যা এরমধ্যে ১৩০০০ শিশু রয়েছে, নির্বিচারে মুসিলম হত্যাযজ্ঞের কারণে বাংলাদেশে আলেম-মাশায়েখগণ ইসরায়েলি সংশ্লিষ্ট পণ্য বয়কটের জোড়ালো ডাক দিয়েছেন।

ব্র্যান্ডের পণ্যসমূহ

লাক্স

ইসরায়েল-ভারত

বিকল্প বাংলাদেশি ব্র্যান্ড

তিব্বত

Title