Title Title

দ্য ইকোনমিক টাইমস

দ্য ইকোনমিক টাইমস পত্রিকাটি ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং টাইমস গ্রুপ এর বেনেট, কোলম্যান অ্যান্ড কোং লিমিটেড মালিকানাধীন রয়েছে। ২০২৪ সালে দ্য ইকোনমিক টাইমস প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয় যে, বাংলাদেশে চলমান বিক্ষোভের পেছনে পাকিস্তানের আইএসআই এবং চীনের মদদ থাকতে পারে, যা ভারতবিরোধী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়ার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে। এই প্রতিবেদনটি বাংলাদেশে এবং আন্তর্জাতিক মহলে বিতর্ক সৃষ্টি করে, কারণ এতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বহিরাগত হস্তক্ষেপের ইঙ্গিত দেওয়া হয়। অনেকেই এই দাবিকে ভিত্তিহীন এবং কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষতি করার প্রচেষ্টা বলে সমালোচনা করেন।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের দ্রুত অগ্রগতি ও রপ্তানি খাতে সাফল্য আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হলেও, দ্য ইকোনমিক টাইমস তাদের প্রতিবেদনে এই উন্নয়নকে ছোট করে দেখানোর চেষ্টা করেছে। তারা প্রায়শই বাংলাদেশের নিম্ন মজুরি বা শ্রমিকদের কাজের পরিবেশের মতো বিষয়গুলোকে অতিরঞ্জিত করে দেখায়। এই ধরনের প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ভুল ধারণা সৃষ্টি করে এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে খাটো করে তুলে ধরে। বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান রপ্তানি সক্ষমতা ভারতের অনেক খাতের সঙ্গে প্রতিযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। দ্য ইকোনমিক টাইমসের কিছু প্রতিবেদনে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রক্রিয়ায় চোরাচালান, ভর্তুকি বা অনৈতিক প্রতিযোগিতার অভিযোগ তোলা হয়েছে। এ ধরনের অপপ্রচার বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং আঞ্চলিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে উত্তেজনা সৃষ্টি করে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্কের বিভিন্ন ইস্যুতে দ্য ইকোনমিক টাইমস পক্ষপাতদুষ্ট প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। উদাহরণস্বরূপ, ভারতের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের প্রবেশাধিকার নিয়ে তারা প্রায়ই নেতিবাচক ভাষায় প্রতিবেদন তৈরি করেছে। এতে ভারতীয় পাঠকদের মধ্যে বাংলাদেশের প্রতি বিরূপ মনোভাব তৈরি হতে পারে, যা দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর। এ ধরনের প্রতিবেদন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ পরিস্থিতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং দেশের উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে হেয় করে। বাংলাদেশ ও চীনের অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে দ্য ইকোনমিক টাইমস প্রায়ই অতিরঞ্জিত ও পক্ষপাতদুষ্ট প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তারা বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের ঘনিষ্ঠতাকে আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে তুলে ধরে। এতে দুই দেশের মধ্যে আস্থার সংকট সৃষ্টি হয় এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা বাধাগ্রস্ত হয়।


Title