Title Title

ইন্ডিয়া টুডে

ইন্ডিয়া টুডে পত্রিকা ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়, এটি মূলত একটি সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন হিসেবে শুরু হয়, যা এখন নিউজ চ্যানেল ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মেও ব্যাপকভাবে সক্রিয়। প্রতিষ্ঠানটির মালিক লিভিং মিডিয়া গ্রুপ এবং প্রতিষ্ঠাতা মালিক ছিলেন আরুণ পুরি। পত্রিকাটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি এবং সরকারের কার্যক্রম নিয়ে কিছু নেতিবাচক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
রাজনৈতিক অপপ্রচার: বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ইন্ডিয়া টুডের কিছু প্রতিবেদনে একতরফা এবং অস্থিতিশীলতার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। বিশেষ করে, সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে দ্বন্দ্বের ঘটনাগুলোকে অতিরঞ্জিত করে উপস্থাপন করা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়া বা রাজনৈতিক আন্দোলন নিয়ে অনেক সময় তারা এমন তথ্য প্রকাশ করেছে যা বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এ ধরনের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার বিষয়ে ভুল ধারণা তৈরি হয়।
ধর্মীয় সংখ্যালঘু ইস্যুতে অতিরঞ্জন: ইন্ডিয়া টুডে বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন বা বৈষম্যের ঘটনাগুলোকে প্রায়ই অতিরঞ্জিত করে তুলে ধরেছে। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা নিয়ে এমন প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে, যা বাংলাদেশকে একটি বৈষম্যমূলক ও অসহিষ্ণু রাষ্ট্র হিসেবে উপস্থাপন করে। এই ধরনের অপপ্রচার দুই দেশের জনগণের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি বাড়ায় এবং ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টি করে।
অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়ে নেতিবাচক মনোভাব: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বৈশ্বিক স্বীকৃতি পেয়েছে। তবে, ইন্ডিয়া টুডে অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে খাটো করে দেখানোর চেষ্টা করেছে। তৈরি পোশাক শিল্পের কাজের পরিবেশ বা শ্রমিকদের মজুরি সংক্রান্ত ইস্যুগুলোতে তারা প্রায়ই পক্ষপাতদুষ্ট প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এসব সংবাদ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রতি নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিভ্রান্তিকর উপস্থাপন: বাংলাদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যেমন বন্যা, ঘূর্ণিঝড় বা নদী ভাঙন নিয়ে ইন্ডিয়া টুডের কিছু প্রতিবেদনে বাস্তব পরিস্থিতি উপেক্ষা করা হয়েছে। তারা অনেক সময় বাংলাদেশকে দুর্যোগ মোকাবিলায় সম্পূর্ণ অক্ষম বলে তুলে ধরেছে। এর ফলে আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা নিয়ে ভুল ধারণা সৃষ্টি হয়েছে।
সীমান্ত ইস্যুতে পক্ষপাতদুষ্টতা: সীমান্ত ইস্যুতে ইন্ডিয়া টুডে প্রায়ই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ধরে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বিশেষত, চোরাচালান, অবৈধ অভিবাসন, এবং অনুপ্রবেশ নিয়ে তাদের একতরফা দৃষ্টিভঙ্গি বাংলাদেশকে দায়ী করে তুলতে চায়। এ ধরনের প্রচারণা দুই দেশের সীমান্ত সম্পর্ককে আরও জটিল করে তোলে।

বাংলাদেশ নিয়ে তাদের অপপ্রচার এবং বিভ্রান্তিমূলক প্রতিবেদন কেবল দুই দেশের সম্পর্ককে দুর্বল করে না, বরং আঞ্চলিক শান্তি ও সহযোগিতার ক্ষেত্রেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। গণমাধ্যমের দায়িত্বশীল ভূমিকা দুই দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য ইন্ডিয়া টুডেকে আরও দায়িত্বশীল ও বস্তুনিষ্ঠ হওয়ার প্রয়োজন।
বয়কট করার ধরণ:
সব ধরণের প্রতিবেদন শেয়ার, কমেন্টস, লাইক বর্জন করুন
বাংলাদেশ সম্পর্কিত সংবাদ বিশ্বাসে সর্তক হোন
সংবাদ উৎস ব্যবহারে যাচাই করুন 


Title