Title Title

কেএফসি

কেএফসি করপোরেশন (KFC Corporation), যা কেন্টাকি ফ্রাইড চিকেন নামে পরিচিত, ফাস্ট ফুড চেইন এটি ১৯৫২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকিতে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং প্রতিষ্ঠাতা হারল্যান্ড স্যান্ডার্স, যিনি কেএফসি ব্র্যান্ডের প্রতীক হিসেবে পরিচিত। কেএফসি-এর মেনুতে রয়েছে ফ্রাইড চিকেন, চিকেন বার্গার, চিকেন পপকর্ন, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, এবং সাইড ডিশ হিসেবে মাশড পটেটো ও কোলস্লো (ইসরায়েলি ওয়েবসাইট থেকে দেখুন)। কেএফসি বর্তমানে ১৫০টিরও বেশি দেশে ২৬,০০০ এরও বেশি আউটলেট পরিচালনা করছে। বাংলাদেশে কেএফসি প্রথম চালু হয় ২০০৬ সালে। কেএফসি-এর ফ্র্যাঞ্চাইজি অধিকার পরিচালনা করছে ট্রান্সকম ফুডস লিমিটেড (টিএফএল), যা বাংলাদেশের অন্যতম ট্রান্সকম গ্রুপ-এর একটি প্রতিষ্ঠান। ঢাকার গুলশানে প্রথম কেএফসি আউটলেট চালু হয় তাদের মেনুতে রয়েছে কেএফসি-এর বিখ্যাত কুরকুরে ফ্রাইড চিকেন, চিকেন বার্গার, চিকেন পপকর্ন, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, এবং সাইড ডিশ হিসেবে কোলস্লো এবং মাশড পটেটো। বর্তমানে কেএফসি বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলোতে একাধিক আউটলেট পরিচালনা করছে, যার মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম, এবং সিলেট উল্লেখযোগ্য।

কেএফসি'র শতাধিক আউটলেট বন্ধ ঘোষণা (সূত্র: এখন টিভি, ১ মে ২০২৪)

কেএফসি বয়কটের কারণ বিভিন্ন আন্দোলন এবং প্রতিবাদ কর্মসূচির মাধ্যমে উঠে এসেছে, যা প্রধানত তাদের ইসরায়েলের প্রতি পরোক্ষ বা সরাসরি সমর্থন এবং দখলদারীত্বপূর্ণ অঞ্চলে কার্যক্রম পরিচালনার সাথে সম্পর্কিত। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের প্রেক্ষাপটে, কেএফসি এবং এর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলি বয়কটের লক্ষ্যবস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে। আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, মালয়েশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে কেএফসি বয়কটের আহ্বান জানানো হয়েছে। গাজার ওপর ইসরায়েলি হামলার প্রেক্ষিতে, কেএফসি এবং তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর নীরবতা এবং ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন প্রদানের অভিযোগে এই বয়কটের দাবি তোলা হয়েছে। মালয়েশিয়ায় এই বয়কটের কারণে কেএফসির অনেক শাখা সাময়িকভাবে বন্ধ করতে হয়েছে। রিওয়ায়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেএফসি বয়কটের কারণ হলো, এর প্যারেন্ট কোম্পানি ইয়াম! ব্র্যান্ডস, যা ইসরায়েলে কার্যক্রম পরিচালনা করে এবং দখলদারীত্বপূর্ণ এলাকায় তাদের উপস্থিতি বজায় রাখে। এর ফলে কেএফসি ফিলিস্তিনি সমর্থকদের বিক্ষোভের একটি লক্ষ্যবস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাউথ চীন মর্নিং পোস্টের তথ্যানুযায়ী, ইন্দোনেশিয়া এবং অন্যান্য মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে কেএফসি বর্জনের ফলে বিক্রয়ে বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে। বয়কটের ফলে কেএফসির আয়ের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। বিশেষ করে ফিলিস্তিনপন্থী আন্দোলনের মাধ্যমে কেএফসি এবং অন্যান্য ফাস্ট ফুড ব্র্যান্ডগুলোর বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। আরব নিউজ এবং আল-মনিটরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে কেএফসির লাভের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযান এবং এই বিষয়ে কেএফসির অবস্থান নিয়ে অসন্তোষের কারণে ভোক্তারা কেএফসি বয়কট করেছেন। অনেকেই মনে করেন, কেএফসি-র মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম ইসরায়েলের অর্থনীতিকে পরোক্ষভাবে সমর্থন করে, যা ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকারের জন্য ক্ষতিকর। এই বয়কটের মাধ্যমে ভোক্তারা তাদের ক্রয়ের মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক বার্তা দিতে চায় এবং দখলদারিত্ববিরোধী আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে। সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটগুলোতে এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।

সূত্র: সাউথ চায়না মনিং পোস্ট (১ মে ২০২৪)

Title