Title Title

বার্গার কিং

বার্গার কিং ১৯৫৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত একটি বহুজাতিক ফাস্ট ফুড চেইন। এটি মূলত হ্যামবার্গার পণ্যের জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত। বার্গার কিং এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন জেমস ম্যাকলেমোর এবং ডেভিড এডজারটন। তাদের উদ্যোগের মাধ্যমে বার্গার কিং দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং বর্তমানে এটি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ফাস্ট ফুড চেইন হিসেবে পরিচিত (ইসরায়েলি ওয়েবসাইট থেকে দেখেুন)। এর প্রধান পণ্যসমূহের মধ্যে হ্যামবার্গার, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, চিকেন স্যান্ডউইচ এবং মিল্কশেক উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশে বার্গার কিং প্রথম চালু হয় ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে। এটি দেশের ফাস্ট ফুড শিল্পে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে। বার্গার কিং বাংলাদেশ ফ্র্যাঞ্চাইজিটি পরিচালনা করছে বেঙ্গল হসপিটালিটি লিমিটেড, যা বেঙ্গল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের একটি অংশ। বর্তমানে বার্গার কিং-এর কার্যক্রম ঢাকার বনানীতে প্রথম শাখা চালু হওয়ার পর চট্টগ্রাম এবং অন্যান্য প্রধান শহরে শাখা বিস্তৃত করেছে।
বার্গার কিং বয়কটের আহ্বান অন্যতম কারণ হলো তাদের ইসরায়েলের সঙ্গে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে সম্পর্ক এবং দখলদারিত্বকে সহায়তা করা। মসজিদ আল-আকসা ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, বার্গার কিং ইসরায়েলে কার্যক্রম পরিচালনা করে এবং কিছু ফিলিস্তিনি সমর্থকদের মতে, এর মাধ্যমে ইসরায়েলি অর্থনীতিকে সমর্থন প্রদান করে। এই কারণে, ফিলিস্তিনপন্থী আন্দোলন এবং বিডিএস (বয়কট, ডাইভেস্টমেন্ট, এবং স্যাংশন) আন্দোলনের অংশ হিসেবে বার্গার কিংকে বর্জনের আহ্বান জানানো হয়েছে। ইসলামিসিটি ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বার্গার কিং ইসরায়েলের দখলদারিত্বপূর্ণ এলাকায় একটি শাখা খোলার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। এই ধরনের কার্যক্রম, যা দখলদারিত্বকে বৈধতা দেয়, তা বিশ্বব্যাপী বয়কট আন্দোলনের ভিত্তি তৈরি করেছে। এছাড়া, বার্গার কিংকে তাদের ব্যবসায়িক নীতির কারণে সামগ্রিকভাবে সমালোচিত করা হয়েছে। টাইম ম্যাগাজিনের তথ্য অনুসারে, কিছু মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশেও বার্গার কিং এবং অন্যান্য ফাস্ট ফুড চেইনের বিরুদ্ধে বয়কটের আহ্বান জানানো হয়েছে, যা মূলত ইসরায়েলের প্রতি তাদের সরাসরি বা পরোক্ষ সমর্থনের প্রতিক্রিয়া। এসব আন্দোলন ভোক্তাদের ক্রয়ের মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক বার্তা পাঠানোর এবং ফিলিস্তিনি অধিকারের প্রতি সংহতি প্রদর্শনের চেষ্টা করে।

সুত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি), নভেম্বর ২০২৪

Title