Title Title

মাটির ময়না (২০০২)

মাটির ময়না (The Cly Bird) | ১৫ মে ২০০২
পরিচালক তারেক মাসুদের সৃষ্টি মাটির ময়না চলচ্চিত্রটি ২০০২ সালে মুক্তি পায় এবং বাংলাদেশের গ্রামীণ সমাজ ও ধর্মীয় সংস্কৃতির একটি সূক্ষ্ম প্রতিচ্ছবি তুলে ধরে। এই চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছেন ক্যাথরিন মাসুদ, যিনি চিত্রনাট্য রচনার ক্ষেত্রেও তারেক মাসুদকে সহায়তা করেছেন। চিত্রনাট্য যৌথভাবে লিখেছেন তারেক মাসুদ এবং ক্যাথরিন মাসুদ। চলচ্চিত্রটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন নুরুল ইসলাম বাবলু, রাসেল ফরাজী, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, রোকেয়া প্রাচী, শোয়েব ইসলাম এবং লামিসা আর রিমঝিম। সুরকার মৌসুমী ভৌমিকের সঙ্গীত এই চলচ্চিত্রে একটি আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। চিত্রগ্রহণে ছিলেন সুধীর পাল্‌সানে এবং সম্পাদনায় ক্যাথরিন মাসুদের ছিলেন। চলচ্চিত্রটি এমকেটু (দক্ষিণ এশিয়া) এবং অডিওভিশন প্রযোজনা সংস্থার মাধ্যমে নির্মিত হয়। আন্তর্জাতিক পরিবেশনায় ছিল এমকেটু ডিফিউশন (দক্ষিণ এশিয়া ব্যতীত), মাইলস্টোন ফিল্ম অ্যান্ড ভিডিও (যুক্তরাষ্ট্র/কানাডা), অডিওভিশন (দক্ষিণ এশিয়া), এবং অঅইসিএ প্রজেক্টস (যুক্তরাজ্য)। মাটির ময়না প্রথম মুক্তি পায় ১৫ মে ২০০২ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে এবং ২০০৪ সালের ৩০ এপ্রিল উত্তর আমেরিকায়। চলচ্চিত্রটির স্থিতিকাল ৯৮ মিনিট এবং এটি বাংলাভাষায় নির্মিত,  এর নির্মাণব্যয় ছিল প্রায় মার্কিন $৩,০০,০০০।
চলচ্চিত্রটির কাহিনী আবর্তিত হয়েছে একটি ধর্মপ্রাণ পিতার (কিরণ চন্দ্র রায়) ও তার ছেলের (নূরুল ইসলাম বাবু) পারিবারিক দ্বন্দ্বকে ঘিরে, যেখানে ধর্মীয় গোঁড়ামি এবং আধুনিক শিক্ষার মধ্যে সংঘাত দেখানো হয়েছে। ধর্মীয় পিতা তার সন্তানকে একটি কওমি মাদ্রাসায় পাঠিয়ে ইসলামি জীবনধারা শেখানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু মাদ্রাসার কঠোর শাসন এবং পিতার গোঁড়ামি ছেলের মনে ধর্মের প্রতি এক ধরনের বিতৃষ্ণার সৃষ্টি করে। অনেক সমালোচক মনে করেন, চলচ্চিত্রটি ধর্মীয় গোঁড়ামিকে অতিরঞ্জিতভাবে উপস্থাপন করেছে এবং ইসলামের মূল বার্তা ও সৌন্দর্য তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে। বিশেষত, মাদ্রাসার শিক্ষক এবং পিতার চরিত্রের মাধ্যমে ধর্মকে অমানবিক ও কঠোর হিসেবে দেখানো হয়েছে, যা অনেক দর্শকের মনে ইসলাম সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি করতে পারে। এই উপস্থাপনাকে তারা ইসলাম ধর্মের প্রতি অবমাননা হিসেবে বিবেচনা করেন।


Title