Title Title

লিপস্টিক বুরখা (২০১৬)

লিপস্টিক আন্ডার মাই বুরখা (Lipstick Under My Burkha) | ২১ অক্টোবর ২০১৬
‘লিপস্টিক আন্ডার মাই বুরখা’চলচ্চিত্রটি ২০১৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এবং অলংকৃতা শ্রীবাস্তব পরিচালিত একটি বলিউড ড্রামা, যা ভারতীয় সমাজে নারীদের অধিকার, স্বাধীনতা, এবং লিঙ্গ সমতার উপর ভিত্তি করে নির্মিত। ছবিটি চারজন মহিলার ব্যক্তিগত এবং সামাজিক জীবনের গল্প তুলে ধরে, যারা নিজেদের ইচ্ছা এবং স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছে। যদিও ছবিটি নারীর ক্ষমতায়ন এবং পিতৃতন্ত্রের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী বার্তা দেয়, কিছু দর্শক এবং সমালোচক মনে করেন, এতে ইসলাম বিদ্বেষের উপাদান রয়েছে এবং মুসলিম নারীদের জীবন এবং সংস্কৃতিকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। ছবিতে এক মুসলিম নারী চরিত্র শিরিন (কঙ্কনা সেন শর্মা অভিনীত) এবং তার বুরখা পরিধানকে কেন্দ্র করে কিছু দৃশ্য এবং সংলাপ রয়েছে, যা কিছু সমালোচকের মতে, মুসলিম সমাজের প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে। তারা অভিযোগ করেন, ছবিটি মুসলিম নারীদের বুরখা বা হিজাবের মাধ্যমে তাদের স্বাধীনতা দমনের প্রতীক হিসেবে দেখায় এবং ইসলামিক সংস্কৃতিকে একটি রক্ষণশীল এবং পুরুষতান্ত্রিক ধর্ম হিসেবে উপস্থাপন করে। এই ধরনের উপস্থাপনা ইসলাম ধর্মের একটি ভুল ধারণা প্রদান করে এবং মুসলিম নারীদের অবদমিত এবং বঞ্চিত হিসেবে চিত্রিত করে। কিছু সমালোচক মনে করেন, এ ধরনের উপস্থাপনা ভারতীয় সমাজে মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ এবং সন্দেহ তৈরি করতে পারে এবং মুসলিম সংস্কৃতির প্রতি নেতিবাচক মনোভাব গড়ে তুলতে পারে। ‘লিপস্টিক আন্ডার মাই বুরখা’-এর মাধ্যমে মুসলিম নারীদের জীবন এবং পোশাকের স্বাধীনতাকে উপহাস করা হয়েছে এবং ধর্মীয় অনুশাসনকে অত্যন্ত রক্ষণশীল এবং দমনমূলক হিসেবে দেখানো হয়েছে বলে তারা মনে করেন। তবে, পরিচালক অলংকৃতা শ্রীবাস্তব এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার মতে, ছবিটি কোনো ধর্ম বা সম্প্রদায়কে আঘাত করার জন্য নির্মিত হয়নি; বরং এটি নারীদের অধিকার, স্বাধীনতা, এবং পিতৃতন্ত্রের বিরুদ্ধে তাদের লড়াইয়ের গল্প। তিনি বলেন, ছবিটি ভারতীয় সমাজের বাস্তব সমস্যাগুলি তুলে ধরে এবং নারী স্বাধীনতার প্রতীকী রূপ হিসেবে বুরখাকে উপস্থাপন করেছে, যা ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর জন্য নয়। পরিচালকের দাবি, এটি একটি সমাজসচেতন চলচ্চিত্র যা নারীদের কণ্ঠ এবং ইচ্ছাকে গুরুত্ব দেওয়ার প্রচেষ্টা মাত্র।


Title