Title Title

ডেকান হেরাল্ড

ডেকান হেরাল্ড ইংরেজি সংবাদপত্র  ও নিউজ পোর্টালটি ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের বেঙ্গালুরু থেকে প্রকাশিত হয়। ডেকান হেরাল্ড প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৪৮ সালে এটি দ্য প্রিন্টার্স (মাইসোর) প্রাইভেট লিমিটেড দ্বারা প্রকাশিত হয়, যা দক্ষিণ ভারতের একটি প্রকাশনা সংস্থা। সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে, তাদের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিদ্বেষপূর্ণ ও অপপ্রচারমূলক বক্তব্য প্রকাশের প্রবণতা বেড়ে গেছে। এমন প্রতিবেদনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ভুলভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা এবং দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহাসিক বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু ডেকান হেরাল্ডের কিছু প্রতিবেদন দুই দেশের জনগণের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে, বাংলাদেশকে সন্ত্রাসবাদ, অবৈধ অভিবাসন বা মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো বিষয়গুলোর সাথে জড়িয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এ ধরনের প্রতিবেদনগুলো একতরফা এবং প্রায়ই যাচাই-বাছাই ছাড়া প্রকাশিত হয়, যা সাংবাদিকতার নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
ডেকান হেরাল্ডের নিউজ পোর্টালে বাংলাদেশ ভারতীয় জেলেদের নির্যাতনের পক্ষপাতমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করে (প্রকাশের তারিখ: ২৯ মে ২০২৩), বাংলাদেশ সরকার ভারতীয় জেলেদের নির্যাতনের অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। সংবাদমাধ্যমটি দাবি করেছে, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ ভারতীয় জেলেদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। গঙ্গাসাগর মেলায় বাংলাদেশ থেকে কোনো সমস্যা এড়াতে সর্বাত্মক নজরদারির আহ্বান মমতার (প্রকাশের তারিখ: ২৫ মে ২০২৩) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গঙ্গাসাগর মেলা চলাকালীন বাংলাদেশ থেকে কোনো ধরনের সমস্যা এড়াতে সর্বাত্মক নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন। প্রশাসনকে সীমান্ত এলাকায় সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে সতর্কতা বাড়ানোর আহ্বান জানান। পত্রিকাটির নিউজ পোর্টালে মালদায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বেড়া নির্মাণ চলছে: বিএসএফ (প্রকাশের তারিখ: ২৫ মে ২০২৩), পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বেড়া নির্মাণের কাজ শান্তিপূর্ণভাবে চলছে এবং সীমান্তে বেড়া নির্মাণের মূল উদ্দেশ্য হলো অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধ ঠেকাতে সরকার এমন পদক্ষেপ নিয়েছে (অতচ এমন তথ্য বাংলাদেশের কাছে নেই)।
বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ এবং বিশেষজ্ঞ মহল এই ধরনের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। তারা মনে করেন, সাংবাদিকতার মূলনীতি অনুসারে সংবাদমাধ্যমকে নিরপেক্ষ এবং সত্যনিষ্ঠ থাকতে হবে। ডেকান হেরাল্ডের প্রতিবেদনে এ মানদণ্ড বজায় না থাকলে তা পাঠকদের ভুল তথ্য প্রদান করে বিভ্রান্ত করবে।


Title