Title Title

রেডিফ

রেডিফ নিউজ পোর্টাল ১৯৯৬ সালে অজিত বালকৃষ্ণান প্রতিষ্ঠা করেন। এটি প্রথমদিকে একটি ইন্টারনেট পোর্টালটির বিরুদ্ধে বিতর্কিত সংবাদ প্রচারের অভিযোগ পাওয়া যায়, পরে পোর্টালে ধীরেধীরে বহুমুখী সংবাদ ও বিনোদনমূলক প্রতিবেদন ওয়েবসাইটে প্রচার করছে। সাম্প্রতিক  রেডিফ নিউজ পোর্টাল, ভারতের অনলাইন সংবাদমাধ্যম, মাঝে মাঝে বাংলাদেশকে নিয়ে বিদ্বেষপূর্ণ ও হেয়প্রতিপন্ন করার মতো কিছু প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এমন প্রতিবেদনগুলো শুধু সংবাদ পরিবেশনের পেশাদারিত্বকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে না, বরং দুই দেশের জনগণের মধ্যে বিদ্বেষ বাড়ানোর ঝুঁকি তৈরি করে।
রেডিফের প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে প্রায়শই নেতিবাচক প্রেক্ষাপটে উপস্থাপন করা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশ হিন্দুজাতি নির্যাতন নিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচার, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বেনার্জির মন্তব্য- বাংলোদেশে ভারতীয় জেলেদের নির্যাতন নিয়ে প্রপাগান্ডামূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, এছাড়াও  অর্থনীতি, রাজনীতি, এবং নিরাপত্তা বিষয়ক সংবাদে তারা বাংলাদেশকে অকারণে দুর্বল বা নেতিবাচকভাবে চিত্রিত করার প্রবণতা দেখিয়েছে। বিশেষ করে, প্রতিবেদনগুলোতে মুদ্রাস্ফীতি, দুর্নীতি, বা অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সংকটের মতো বিষয়গুলোকে অতিরঞ্জিত করে উপস্থাপন করা হয়। যদিও এগুলো প্রায় সব উন্নয়নশীল দেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, তবুও রেডিফের টোন এবং কাঠামোতে বাংলাদেশের প্রতি একধরনের পক্ষপাতমূলক মনোভাব লক্ষ্য করা যায়।
এ ধরনের প্রতিবেদনগুলোর প্রভাব শুধু বাংলাদেশের জাতীয় ভাবমূর্তির উপরই নয়, বরং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপরেও পড়তে পারে। উদাহরণস্বরূপ, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এই ধরনের সংবাদ পরিবেশন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে অনাস্থার বীজ বপন করে। বিশেষত, সীমান্ত ইস্যু বা পানি বিতরণ ইত্যাদি স্পর্শকাতর বিষয়ে এ ধরনের প্রচার দুই দেশের জনগণের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি করতে পারে।
অন্যদিকে, রেডিফের এমন আচরণ তাদের সংবাদ পরিবেশনের নিরপেক্ষতা এবং নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। একটি সংবাদমাধ্যমের দায়িত্ব হলো তথ্যকে যথাযথ ও নিরপেক্ষভাবে উপস্থাপন করা। কিন্তু পক্ষপাতদুষ্ট এবং বিদ্বেষমূলক প্রতিবেদন পরিবেশনের মাধ্যমে রেডিফ তাদের পাঠকদের মধ্যে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং মানব উন্নয়ন সূচকে সাম্প্রতিক সাফল্যগুলো প্রায়ই রেডিফের প্রতিবেদনে উপেক্ষিত থেকে যায়। এই সাফল্যগুলো বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অথচ রেডিফের মতো প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম যদি ইতিবাচক পরিবর্তনগুলো তুলে ধরত, তাহলে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্মান এবং সহযোগিতার সম্পর্ক আরো গভীর হতো।


Title