Title Title

ফোর্বস ইন্ডিয়া

ফোর্বস ইন্ডিয়া ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ভারতীয় ব্যবসা, অর্থনীতি, প্রযুক্তি, এবং স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ম্যাগাজিনটি নেটওয়ার্ক-১৮ গ্রুপের অধীনে পরিচালিত হয়, যা ভারতের অন্যতম মিডিয়া হাউস। ভারতীয় সাময়িকী ফোর্বস ইন্ডিয়া, যা মূলত আন্তর্জাতিক ফোর্বস-এর একটি আঞ্চলিক সংস্করণ, সম্প্রতি বাংলাদেশকে ঘিরে বিতর্কিত এবং একতরফা কিছু প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এই প্রতিবেদনগুলোতে বাংলাদেশের আর্থিক স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন প্রকল্প এবং রাজনৈতিক পরিবেশ নিয়ে একাধিক নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরা হয়েছে, যা অনেক ক্ষেত্রেই বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
ফোর্বস ইন্ডিয়া বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক সাফল্য এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এর উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভের বিষয়টিকে ছোট করে দেখানোর চেষ্টা করেছে। উদাহরণস্বরূপ, দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্প, যেমন পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল এবং বিদ্যুৎখাতের অগ্রগতি, যেগুলো আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত হয়েছে, সেগুলোকে অকার্যকর বা অস্বচ্ছ বলে অভিহিত করা হয়েছে। এছাড়া, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও রপ্তানি শিল্প, বিশেষত তৈরি পোশাক খাত, নিয়ে এমন কিছু তথ্য প্রকাশিত হয়েছে যা যাচাইযোগ্য নয় এবং উদ্দেশ্যমূলক বলে মনে হয়।
রাজনৈতিক পরিবেশ নিয়ে তাদের কিছু প্রতিবেদনে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং শাসন ব্যবস্থাকে একতরফাভাবে সমালোচনা করা হয়েছে। তারা দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ইস্যুগুলোকে এমনভাবে উপস্থাপন করেছে, যা কেবলমাত্র বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ফোর্বস ইন্ডিয়ার এই ধরনের প্রতিবেদন কেবল অপেশাদার সাংবাদিকতার উদাহরণ নয়, বরং এটি বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রভাবকে হ্রাস করার একটি পরিকল্পিত প্রচেষ্টা হতে পারে। প্রতিবেদনগুলোতে তথ্যের অসম্পূর্ণতা এবং পক্ষপাতমূলক উপস্থাপন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটি নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করার ইঙ্গিত দেয়।
এই ধরনের অপপ্রচার শুধুমাত্র বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে হেয় করে না, বরং আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে ভারত-বাংলাদেশের পারস্পরিক সম্পর্কেও প্রভাব ফেলতে পারে। গণমাধ্যম হিসেবে ফোর্বস ইন্ডিয়ার মতো একটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এই ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ সাংবাদিকতার নৈতিকতা এবং নিরপেক্ষতার প্রশ্ন তোলে। বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত এই ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্যের বিরুদ্ধে সজাগ থাকা এবং এর প্রতিবাদ করা। বাংলাদেশের জনগণেরও উচিত তথ্যের সঠিক উৎস যাচাই করে এই ধরনের অপপ্রচারের মোকাবিলা করা।


Title