Title Title

বিজনেস টুডে

বিজনেস টুডে ভারতের ব্যবসা ও অর্থনীতি বিষয়ক ম্যাগাজিন হিসেবে পরিচিত। এটি ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ভারতীয় ম্যাগাজিন বিজনেস টুডে সম্প্রতি বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে কিছু বিতর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যা বাংলাদেশের অর্থনীতি, রাজনীতি এবং সামাজিক বিষয়াবলী সম্পর্কে অপপ্রচারমূলক তথ্য তুলে ধরে। এই প্রতিবেদনগুলোতে বাংলাদেশের উন্নয়ন, আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং সামাজিক অগ্রগতিকে হেয় করার প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং দক্ষিণ এশিয়ায় তার গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান নিয়ে প্রভাব বিস্তারের প্রসঙ্গগুলোকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
বিজনেস টুডে’র এই প্রতিবেদনগুলোতে বারবার এমন তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে যা গবেষণালব্ধ বা বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশের রপ্তানি খাত, বিশেষ করে তৈরি পোশাক শিল্প, যা বৈশ্বিক বাজারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, সেটিকে অস্থিতিশীল এবং পতনের মুখে রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। অথচ বাস্তবে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রমাগত প্রতিযোগিতা বাড়াচ্ছে এবং রপ্তানি আয়ের নতুন মাইলফলক ছুঁয়েছে। এছাড়া, ম্যাগাজিনটি রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নিয়েও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছে। তারা বাংলাদেশের সরকারকে অবৈধ বা দুর্নীতিগ্রস্ত বলে চিত্রায়িত করার চেষ্টা করেছে, যা কেবলমাত্র প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সম্পর্কের টানাপোড়েন তৈরি করতে পারে।
এ ধরনের অপপ্রচারমূলক তথ্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার উদ্দেশ্যে প্রচার করা হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেক বিশ্লেষক। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বিজনেস টুডে’র এই ধরনের প্রতিবেদন শুধুমাত্র তথ্যের ভুল ব্যাখ্যা নয়, বরং এটি একটি সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টা বাংলাদেশের উন্নয়নকে ছোট করে দেখানোর জন্য। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার বিপরীতে, এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করার একটি অশুভ উদ্দেশ্যও থাকতে পারে। এই ধরনের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণ এবং সরকারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। গণমাধ্যমকে তথ্যের যথার্থতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে এবং ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে প্রাসঙ্গিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। বিজনেস টুডে’র মতো প্রতিষ্ঠিত মাধ্যমগুলো যখন এমন বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করে, তখন তা কেবল সাংবাদিকতার নৈতিকতাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে না, বরং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্যও হুমকি সৃষ্টি করে।


Title