Title Title

বয়কট কোম্পানি

নেসলে

ইসরায়েল

নেসলে একটি খাদ্য এবং পানীয় কোম্পানি যা ১৮৬৬ সালে সুইজারল্যান্ডের ভেভেতে প্রতিষ্ঠিত হয়। কোম্পানিটির প্রতিষ্ঠাতা হেনরি নেসলে, যিনি শিশুদের জন্য খাদ্য প্রস্তুত করেন। ইসরায়েলে ‘নেসলে-ওসেম’ নামক একটি খাদ্য কোম্পানির প্রধান অংশীদার, যা ইসরায়েলের অন্যতম বৃহৎ খাদ্য উৎপাদন ও বিতরণ প্রতিষ্ঠান। নেসলে ১৯৯৫ সালে ওসেমের ১০% শেয়ার ক্রয়ের মাধ্যমে ইসরায়েলে তাদের কার্যক্রম শুরু করে এবং পরবর্তীতে শেয়ারের পরিমাণ বাড়িয়ে ২০১৬ সালে সম্পূর্ণ মালিকানা অর্জন করে। নেসলে বাংলাদেশ পিএলসি নেসলে গ্রুপের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান, যা বাংলাদেশে তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে। ১৯৯৪ সালে এটি বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে। নেসলে বাংলাদেশ পিএলসি ঢাকার গুলশানে তাদের প্রধান কার্যালয় পরিচালনা করে এবং তাদের পণ্য উৎপাদনের জন্য গাজীপুরে কারখানা স্থাপন করেছে। কোম্পানির ব্র্যান্ড সমূহ হল- ম্যাগি, নেসক্যাফে, নেসলে পিউর লাইফ, নেসলে মিল্ক, নান, ল্যাকটোজেন, সেরেলাক, কিটক্যাট, মিল্কি বার, স্মার্টিজ, ম্যোভেনপিক (Mövenpick), হাগেন-ডাজ় (Häagen-Dazs), পারিনা ও নেসলে হেলথ সায়েন্স। বাংলাদেশে নেসলে কোম্পানির বিভিন্ন পণ্য ভারত থেকে আমদানি করা হয়, যা মূলত উৎপাদন খরচ, চাহিদা, এবং স্থানীয় উৎপাদনের সীমাবদ্ধতার উপর নির্ভরশীল। ভারত থেকে আমদানি করা নেসলে পণ্যগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হলো: নেসক্যাফে ইনস্ট্যান্ট কফি, ম্যাগি নুডলস ও ম্যাগি স্যুপ, কিটক্যাট ও মিল্কি বার চকোলেট, ল্যাকটোজেন এবং নান ব্র্যান্ডের শিশুখাদ্য পণ্য।
ইসরায়েলের সাথে নেসলের এই সম্পর্কের কারণে কিছু ব্যক্তি ও সংগঠন নেসলে পণ্য বয়কটের আহ্বান জানিয়েছে। তাদের দাবি, নেসলে ইসরায়েলে বিনিয়োগ ও ব্যবসা পরিচালনার মাধ্যমে ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি ইসরায়েলের নীতিমালার প্রতি পরোক্ষ সমর্থন প্রদান করছে। বিশেষ করে, ‘বিডিএস’ (বয়কট, ডাইভেস্টমেন্ট, স্যাংশনস) আন্দোলন, যা ২০০৫ সালে শুরু হয়, ইসরায়েলের সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কোম্পানির পণ্য বয়কটের আহ্বান জানিয়ে আসছে। সম্প্রতি, গাজায় সংঘাত চলাকালীন ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়ার অভিযোগে তুরস্কের পার্লামেন্ট ক্যাম্পাসে নেসলে এবং কোকা-কোলার পণ্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তুরস্কের গ্র্যান্ড ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি এক বিবৃতিতে জানায়, নেসলে ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়ায় কোম্পানির পণ্য রেস্তোঁরা, ক্যাফেটেরিয়া এবং চায়ের দোকানগুলোতে বিক্রি করা হবে না
বাংলাদেশের ওলামা-মাশায়েখরা ফিলিস্তিনে মুসলিম গণহত্যার প্রতিবাদে ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের আহ্বান জানিয়েছেন। ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বর্বর হামলায় গাজায় শিশু ও নিরীহ জনগণের প্রাণহানি এবং মানবিক বিপর্যয় গভীর উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। ওলামা-মাশায়েখরা ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করে মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এবং ইসরায়েলের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্কযুক্ত পণ্য ব্যবহার পরিহারের আহ্বান জানান। তাদের মতে, ইসরায়েলের অর্থনৈতিক শক্তি দুর্বল করার অন্যতম উপায় হলো তাদের উৎপাদিত পণ্য এবং সহযোগী প্রতিষ্ঠানের পণ্য বর্জন করা। এ আহ্বান বিশেষত নেসলে, কোকা-কোলা, ম্যাকডোনাল্ডসসহ বিভিন্ন বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের পণ্যের দিকে নির্দেশিত। তারা মুসলমানদের ন্যায্য অধিকারের পক্ষে সোচ্চার হতে এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জোরালো ভূমিকা রাখারও আহ্বান জানান। এ উদ্যোগের মাধ্যমে মুসলিম সম্প্রদায়কে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে এবং নৈতিক অবস্থান গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।


কোম্পানির ব্র্যান্ড সমূহ

ম্যাগি

ইসরায়েল

নেসকাফে

ইসরায়েল

কিটকেট

ইসরায়েল

নিডো

ইসরায়েল

সেরিগ্রো

ইসরায়েল

মাইলো

ইসরায়েল

গোল্ড কর্নফ্লেক্স

ইসরায়েল

কোকো ক্রাঞ্চ

ইসরায়েল

নেস্কাফে থ্রি ইন ওয়ান

ইসরায়েল

নেস্কাফে গোল্ড

ইসরায়েল

প্রফেশনাল

ইসরায়েল

নেসক্যাফে সানরাইজ

ইসরায়েল

নেস্টিটি

ইসরায়েল

নেস্কাফে রোস্টারি

ইসরায়েল

নেসলে মাঞ্চ

ইসরায়েল

নেসলে মিল্কিবার

ইসরায়েল

নেসলে ব্যারোন

ইসরায়েল

পোলো

ইসরায়েল

গোল্ড ক্রাঞ্চি

ইসরায়েল

লা লেতিয়েরে

ইসরায়েল

নেসলে অ্যারো

ইসরায়েল

Title