Title Title

বয়কট কোম্পানি

ইউনিলিভার

ইসরায়েল-ভারত

বয়কট ব্র্যান্ড

সেভেনথ জেন

ইসরায়েল-ভারত

সেভেনথ জেনারেশন ব্র্যান্ডটি ইউনিলিভারের অধীনে একটি ক্লিনিং এবং হাউজহোল্ড প্রোডাক্ট ব্র্যান্ড, যা প্রথম চালু হয় ১৯৮৮ সালে। ব্র্যান্ডটি টেকসই এবং পরিবেশ-সচেতন গ্রাহকদের মধ্যে জনপ্রিয় হলেও পণ্যের কার্যকারিতা এবং মান নিয়ে বিভিন্ন সময়ে সমালোচনা হয়েছে। বাংলাদেশে সেভেনথ জেনারেশন ব্র্যান্ডের পণ্য আমদানি শুরু হয় ২০২০-এর দশকে। সুপারমার্কেট এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সেভেনথ জেনারেশন পণ্য সহজলভ্য হলেও উচ্চমূল্যের কারণে এটি সাধারণ জনগণের কাছে তেমনভাবে পৌঁছাতে পারেনি। পণ্যের মান নিয়ে কিছু সাধারণ অভিযোগ রয়েছে। অনেক গ্রাহক দাবি করেছেন যে, সেভেনথ জেনারেশনের ক্লিনিং পণ্য, যেমন লন্ড্রি ডিটারজেন্ট বা ডিস ওয়াশিং লিকুইড, প্রত্যাশিত মানে কার্যকর নয়। কিছু ক্ষেত্রে এটি দাগ বা ময়লা পুরোপুরি পরিষ্কার করতে ব্যর্থ হয়। এ ছাড়া, কিছু পণ্যের সুগন্ধ খুবই তীব্র বা অস্বাভাবিক বলে মনে হয়েছে। প্যাকেজিং নিয়েও সমস্যা দেখা দিয়েছে, যেমন বোতল বা প্যাকেট থেকে পণ্য সহজে লিক হওয়ার ঘটনা। পণ্যের প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারের কারণে দীর্ঘস্থায়িত্ব কম এবং সংরক্ষণ নিয়ে ঝুঁকি রয়েছে। সেভেনথ জেনারেশন ব্র্যান্ডের অধীনে প্রধানত লন্ড্রি ডিটারজেন্ট, ডিশ ওয়াশিং লিকুইড, সারফেস ক্লিনার, এবং বেবি কেয়ার পণ্য পাওয়া যায়।

ইসরায়েলের সঙ্গে ইউনিলিভারের ব্যবসায়িক সম্পর্ক নিয়ে সমালোচনার জন্ম দেয়, যা মানবাধিকার সংগঠন এবং বিশ্বজুড়ে  ফিলিস্তিনপন্থী গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। এই কারণে স্যার সেভেনথ জেনারেশন ব্র্যান্ডের পণ্যও বয়কটের আওতায় আসে। অনেক ভোক্তা দাবি করেন, ইউনিলিভার মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে নীরব ভূমিকা পালন করছে, যা তাদের ব্র্যান্ডের প্রতি আস্থা নষ্ট করেছে। ২০২৪ সালের দিকে বয়কট আন্দোলনে ভারত থেকে আমদানিকৃত ইউনিলিভারের সবপণ্য বাংলাদেশিরা বয়কট করেছে এবং ইসরায়েল নির্বিচারে ২০২৪ সালে গণহত্যা চালিয়েছে এতে ফিলিস্তিনে ৪৬০০০ মুসলিম নিহত হন এরমধ্যে ১৩০০০ শিশু রয়েছে, মুসিলম হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে বিশ্বমুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বাংলাদেশের ওলামা-মাশায়েখগণ ইউনিলিভার-সহ ইসরায়েলি সংশ্লিষ্ট পণ্য বয়কটের জোড়ালো ডাক দিয়েছেন।

Title