Title Title

বয়কট কোম্পানি

ইউনিলিভার

ইসরায়েল-ভারত

বয়কট ব্র্যান্ড

কেনসিংটন'স

ইসরায়েল-ভারত

স্যার কেনসিংটন'স ব্র্যান্ডটি ইউনিলিভারের অধীনে একটি প্রিমিয়াম কনডিমেন্ট ব্র্যান্ড, যা প্রথম চালু হয় ২০১০ সালে। এটি প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে মায়োনেজ, কেচাপ, এবং ড্রেসিং তৈরির জন্য পরিচিত। ব্র্যান্ডটি সাধারণ খাদ্যপণ্যের চেয়ে উন্নত গুণগত মান এবং প্রিমিয়াম ফ্লেভারের প্রতিশ্রুতি দিলেও পণ্যের কার্যকারিতা এবং মান নিয়ে বিভিন্ন সময়ে গ্রাহকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা গেছে। বাংলাদেশে স্যার কেনসিংটন'স ব্র্যান্ডের পণ্য আমদানি শুরু হয় ২০২০-এর দশকে। সুপারমার্কেট এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এটি সহজলভ্য হলেও উচ্চমূল্যের কারণে এটি দেশের সাধারণ জনগণের মধ্যে খুব বেশি জনপ্রিয় হতে পারেনি। অনেক গ্রাহক অভিযোগ করেছেন যে, কিছু কনডিমেন্ট যেমন মায়োনেজ বা ড্রেসিং-এর স্বাদ সবসময় তাজা মনে হয় না। সংরক্ষণ সংক্রান্ত সমস্যার কারণে কিছু ক্ষেত্রে পণ্যের টেক্সচার পরিবর্তিত হয় এবং ফ্লেভার নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া, স্যার কেনসিংটন'স পণ্যে ব্যবহৃত প্রাকৃতিক উপাদানগুলোর সংরক্ষণ নিয়ে ঝুঁকি রয়েছে, যা পণ্যের স্থায়িত্ব কমিয়ে দিতে পারে। প্যাকেজিং নিয়েও সমালোচনা হয়েছে, যেমন পাত্রের ঢাকনা সহজে বন্ধ না হওয়া বা প্যাকেট লিক হওয়ার ঘটনা। কেনসিংটন'স ব্র্যান্ডের অধীনে প্রধানত মায়োনেজ, কেচাপ, এবং সালাদ ড্রেসিং পাওয়া যায়। এর মধ্যে ক্লাসিক মায়োনেজ, স্পাইসি ব্রাউন মস্তার্ড, এবং হার্ব র‍্যাঞ্চ ড্রেসিং উল্লেখযোগ্য।

ইসরায়েলের সঙ্গে ইউনিলিভারের ব্যবসায়িক সম্পর্ক নিয়ে সমালোচনার জন্ম দেয়, যা মানবাধিকার সংগঠন এবং বিশ্বজুড়ে  ফিলিস্তিনপন্থী গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। এই কারণে স্যার কেনসিংটন'স ব্র্যান্ডের কনডিমেন্ট পণ্যও বয়কটের আওতায় আসে। অনেক ভোক্তা দাবি করেন, ইউনিলিভার মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে নীরব ভূমিকা পালন করছে, যা তাদের ব্র্যান্ডের প্রতি আস্থা নষ্ট করেছে। ২০২৪ সালের দিকে বয়কট আন্দোলনে ভারত থেকে আমদানিকৃত ইউনিলিভারের সবপণ্য বাংলাদেশিরা বয়কট করেছে এবং ইসরায়েল নির্বিচারে ২০২৪ সালে গণহত্যা চালিয়েছে এতে ফিলিস্তিনে ৪৬০০০ মুসলিম নিহত হন এরমধ্যে ১৩০০০ শিশু রয়েছে, মুসিলম হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে বিশ্বমুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বাংলাদেশের ওলামা-মাশায়েখগণ ইউনিলিভার-সহ ইসরায়েলি সংশ্লিষ্ট পণ্য বয়কটের জোড়ালো ডাক দিয়েছেন।

Title