Title Title

বয়কট কোম্পানি

ইউনিলিভার

ইসরায়েল-ভারত

বয়কট ব্র্যান্ড

ক্লনডাইক

ইসরায়েল-ভারত

ক্লনডাইক ব্র্যান্ডটি ইউনিলিভারের অধীনে একটি আইসক্রিম ব্র্যান্ড, যা প্রথম চালু হয় ১৯২২ সালে। এটি ক্রিমি টেক্সচার এবং চকোলেট কভারড আইসক্রিমের জন্য পরিচিত। ব্র্যান্ডটি যুক্তরাষ্ট্রে জনপ্রিয় হলেও পণ্যের মান এবং সংরক্ষণ সংক্রান্ত সমস্যার কারণে বিভিন্ন সময়ে গ্রাহকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা গেছে। বাংলাদেশে ক্লনডাইক ব্র্যান্ডের পণ্য আমদানি খুব সীমিত আকারে শুরু হয়, সম্ভবত ২০১০-এর দশকের শেষের দিকে। সুপারমার্কেট এবং বিশেষ স্টোরে ক্লনডাইক পণ্য পাওয়া গেলেও এর উচ্চমূল্যের কারণে এটি দেশের সাধারণ জনগণের মধ্যে তেমনভাবে প্রচলিত হতে পারেনি। ভোক্তারা অভিযোগ করেছেন যে, সঠিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ না হলে আইসক্রিম গলে যায় এবং তার টেক্সচার নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া, চকোলেট কভারড আইসক্রিমের ক্ষেত্রে চকোলেটের স্তর কখনো কখনো খুব পাতলা বা অসমান থাকে, যা খাওয়ার অভিজ্ঞতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। কিছু ক্ষেত্রে আইসক্রিমের স্বাদ তেমন তাজা মনে হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। প্যাকেজিং নিয়ে সমস্যা রয়েছে, যেমন প্যাকেট সহজে ছিঁড়ে যাওয়া বা সঠিকভাবে সিল না থাকার কারণে পণ্য লিক হওয়ার ঘটনা। ক্লনডাইক ব্র্যান্ডের অধীনে প্রধানত চকোলেট কভারড বার আইসক্রিম এবং স্যান্ডউইচ আইসক্রিম পাওয়া যায়।

ইসরায়েলের সঙ্গে ইউনিলিভারের ব্যবসায়িক সম্পর্ক নিয়ে সমালোচনার জন্ম দেয়, যা মানবাধিকার সংগঠন এবং বিশ্বজুড়ে  ফিলিস্তিনপন্থী গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। এই কারণে ক্লনডাইক ব্র্যান্ডের আইসক্রিম পণ্যও বয়কটের আওতায় আসে। অনেক ভোক্তা দাবি করেন, ইউনিলিভার মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে নীরব ভূমিকা পালন করছে, যা তাদের ব্র্যান্ডের প্রতি আস্থা নষ্ট করেছে। ২০২৪ সালের দিকে বয়কট আন্দোলনে ভারত থেকে আমদানিকৃত ইউনিলিভারের সবপণ্য বাংলাদেশিরা বয়কট করেছে এবং ইসরায়েল নির্বিচারে ২০২৪ সালে গণহত্যা চালিয়েছে এতে ফিলিস্তিনে ৪৬০০০ মুসলিম নিহত হন এরমধ্যে ১৩০০০ শিশু রয়েছে, মুসিলম হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে বিশ্বমুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বাংলাদেশের ওলামা-মাশায়েখগণ ইউনিলিভার-সহ ইসরায়েলি সংশ্লিষ্ট পণ্য বয়কটের জোড়ালো ডাক দিয়েছেন।

Title