Title Title

বয়কট কোম্পানি

ইউনিলিভার

ইসরায়েল-ভারত

বয়কট ব্র্যান্ড

লাভ বিউটি

ইসরায়েল-ভারত

লাভ বিউটি অ্যান্ড প্ল্যানেট ব্র্যান্ডটি ইউনিলিভারের অধীনে একটি স্কিন এবং হেয়ার কেয়ার ব্র্যান্ড, যা প্রথম চালু হয় ২০১৭ সালে। এটি প্রাকৃতিক উপাদান এবং পরিবেশবান্ধব প্যাকেজিংয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজারে আসে। তবে পণ্যের কার্যকারিতা এবং মান নিয়ে বিভিন্ন সময়ে গ্রাহকদের মধ্যে সমালোচনা দেখা গেছে, যা ব্র্যান্ডটির প্রতি আস্থা কিছুটা কমিয়েছে। বাংলাদেশে লাভ বিউটি অ্যান্ড প্ল্যানেট ব্র্যান্ডের পণ্য আমদানি শুরু হয় ২০২০ সালের দিকে। ব্যবহারকারীরা দাবি করেছেন যে, লাভ বিউটি অ্যান্ড প্ল্যানেট পণ্যগুলোর কার্যকারিতা সবসময় প্রত্যাশা পূরণ করে না। উদাহরণস্বরূপ, শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহারের পর চুল শুষ্ক বা রুক্ষ হয়ে যেতে পারে। ফেসওয়াশ এবং ময়েশ্চারাইজারের ক্ষেত্রে কিছু ত্বকের জন্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে, যেমন ত্বকের জ্বালাপোড়া বা লালচে ভাব। প্যাকেজিং নিয়েও সমস্যা দেখা গেছে, যেমন পাম্প বোতল বা ঢাকনা সহজে খারাপ হয়ে যাওয়া এবং লিক হওয়ার ঘটনা। লাভ বিউটি অ্যান্ড প্ল্যানেট ব্র্যান্ডের অধীনে মূলত শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, বডি ওয়াশ, লোশন, এবং ফেসওয়াশ পাওয়া যায়। বিশ্ববাজারে ব্র্যান্ডটির পণ্য বৈচিত্র্য তুলনামূলকভাবে বেশি, তবে বাংলাদেশে এর পরিসর সীমিত এবং জনপ্রিয় কিছু পণ্যেই সীমাবদ্ধ।

ইসরায়েলের সঙ্গে ইউনিলিভারের ব্যবসায়িক সম্পর্ক নিয়ে সমালোচনার জন্ম দেয়, যা মানবাধিকার সংগঠন এবং বিশ্বজুড়ে  ফিলিস্তিনপন্থী গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। এই কারণে লাভ বিউটি অ্যান্ড প্ল্যানেট ব্র্যান্ডের প্রসাধনী পণ্যও বয়কটের আওতায় আসে। অনেক ভোক্তা দাবি করেন, ইউনিলিভার মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে নীরব ভূমিকা পালন করছে, যা তাদের ব্র্যান্ডের প্রতি আস্থা নষ্ট করেছে। ২০২৪ সালের দিকে বয়কট আন্দোলনে ভারত থেকে আমদানিকৃত ইউনিলিভারের সবপণ্য বাংলাদেশিরা বয়কট করেছে এবং ইসরায়েল নির্বিচারে ২০২৪ সালে গণহত্যা চালিয়েছে এতে ফিলিস্তিনে ৪৬০০০ মুসলিম নিহত হন এরমধ্যে ১৩০০০ শিশু রয়েছে, মুসিলম হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে বিশ্বমুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বাংলাদেশের ওলামা-মাশায়েখগণ ইউনিলিভার-সহ ইসরায়েলি সংশ্লিষ্ট পণ্য বয়কটের জোড়ালো ডাক দিয়েছেন।

Title