Title Title

বয়কট কোম্পানি

ইউনিলিভার

ইসরায়েল-ভারত

বয়কট ব্র্যান্ড

রেক্সোনা

ইসরায়েল-ভারত

রেক্সোনা ব্র্যান্ডটি ইউনিলিভারের অধীনে একটি ডিওডোরেন্ট ব্র্যান্ড, যা প্রথম চালু হয় ১৯০৮ সালে অস্ট্রেলিয়ায়। এটি ঘামের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি এবং দীর্ঘস্থায়ী তাজা অনুভূতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজারে আসলেও পণ্যের কার্যকারিতা এবং মান নিয়ে বিভিন্ন সময়ে গ্রাহকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা গেছে, যা ব্র্যান্ডটির গ্রহণযোগ্যতায় প্রভাব ফেলেছে। বাংলাদেশে রেক্সোনা ব্র্যান্ডের পণ্য আমদানি শুরু হয় ২০০০-এর দশকে। এটি প্রধানত শহুরে যুবসমাজ এবং অফিসগামী মানুষের মধ্যে দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করে। সুপারমার্কেট, কসমেটিক দোকান এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে রেক্সোনা পণ্য সহজলভ্য। ব্র্যান্ডটি সাশ্রয়ী মূল্যে ডিওডোরেন্ট এবং এন্টিপারসপিরেন্ট পণ্য সরবরাহ করলেও স্থানীয় ব্র্যান্ডের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এটি কিছু ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে। রেক্সোনা পণ্যের মান নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে, অনেক ব্যবহারকারী অভিযোগ করেছেন যে, ডিওডোরেন্ট দীর্ঘসময় ধরে কার্যকর থাকে না এবং অতিরিক্ত ব্যবহার করলে ত্বকে জ্বালাপোড়া বা অস্বস্তি সৃষ্টি হতে পারে। সংবেদনশীল ত্বকের জন্য এটি সবসময় উপযোগী নয় এবং কিছু ব্যবহারকারীর ক্ষেত্রে এটি ত্বকের র‍্যাশ বা অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। তদ্ব্যতীত, প্যাকেজিং নিয়ে অভিযোগ রয়েছে, যেমন স্প্রে বোতল কখনও কখনও সঠিকভাবে কাজ না করা বা লিকেজের সমস্যা দেখা দেওয়া। পণ্যের সুগন্ধও অনেক সময় গ্রাহকদের প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়।

ইসরায়েলের সঙ্গে ইউনিলিভারের ব্যবসায়িক সম্পর্ক নিয়ে সমালোচনার জন্ম দেয়, যা মানবাধিকার সংগঠন এবং বিশ্বজুড়ে  ফিলিস্তিনপন্থী গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। এই কারণে রেক্সোনা ব্র্যান্ডের পণ্যও বয়কটের আওতায় আসে। অনেক ভোক্তা দাবি করেন, ইউনিলিভার মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে নীরব ভূমিকা পালন করছে, যা তাদের ব্র্যান্ডের প্রতি আস্থা নষ্ট করেছে। ২০২৪ সালের দিকে বয়কট আন্দোলনে ভারত থেকে আমদানিকৃত ইউনিলিভারের সবপণ্য বাংলাদেশিরা বয়কট করেছে এবং ইসরায়েল নির্বিচারে ২০২৪ সালে গণহত্যা চালিয়েছে এতে ফিলিস্তিনে ৪৬০০০ মুসলিম নিহত হন এরমধ্যে ১৩০০০ শিশু রয়েছে, মুসিলম হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে বিশ্বমুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বাংলাদেশের ওলামা-মাশায়েখগণ ইউনিলিভার-সহ ইসরায়েলি সংশ্লিষ্ট পণ্য বয়কটের জোড়ালো ডাক দিয়েছেন।

Title