Title Title

বয়কট কোম্পানি

ইউনিলিভার

ইসরায়েল-ভারত

বয়কট ব্র্যান্ড

পিয়ার্স

ইসরায়েল-ভারত

পিয়ার্স ব্র্যান্ডটি ইউনিলিভারের অধীনের সাবান ব্র্যান্ড, যা প্রথম চালু হয় ১৮০৭ সালে। এটি বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন সাবান ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিত। তবে পণ্যের কার্যকারিতা এবং মান নিয়ে বিভিন্ন সময়ে সমালোচনা হয়েছে, যা ব্র্যান্ডটির প্রতি গ্রাহকদের আস্থা কিছুটা কমিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশে পিয়ার্স ব্র্যান্ডের পণ্য আমদানি শুরু হয় ২০০০-এর দশকের মাঝামাঝি। এটি মূলত শহুরে মধ্যবিত্ত এবং উচ্চ-মধ্যবিত্ত পরিবারের মধ্যে জনপ্রিয়তা পায়। পিয়ার্স সাবান সাধারণত সুপারমার্কেট এবং প্রসাধনী দোকানে সহজলভ্য। তবে তুলনামূলকভাবে উচ্চমূল্যের কারণে এটি দেশের সাধারণ জনগণের মধ্যে তেমনভাবে জনপ্রিয় হতে পারেনি। কিছু ব্যবহারকারী অভিযোগ করেছেন যে, সাবানটি দীর্ঘ সময় ব্যবহারের পর ত্বকের শুষ্কতা সৃষ্টি করে, যা মৃদু এবং ময়েশ্চারাইজিং হওয়ার প্রতিশ্রুতির সঙ্গে অসঙ্গত। এছাড়া, পিয়ার্স সাবানের স্বচ্ছ বৈশিষ্ট্যটি যত্নের অভাবে নষ্ট হয়ে যেতে পারে, যা পণ্যের আকার এবং গুণগত মানকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। প্যাকেজিংয়ের মান নিয়েও অভিযোগ রয়েছে, বিশেষত সাবানের প্যাকেট সহজে ছিঁড়ে যায় বা জল প্রতিরোধী নয়, যা পণ্যটির গুণগত মান ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়। পিয়ার্স ব্র্যান্ডের আওতায় প্রধানত সাবান এবং ফেসওয়াশ পাওয়া যায়। এর মধ্যে পিয়ার্স গ্লিসারিন সাবান এবং পিয়ার্স সফট অ্যান্ড ফ্রেশ সাবান উল্লেখযোগ্য।

ইসরায়েলের সঙ্গে ইউনিলিভারের ব্যবসায়িক সম্পর্ক নিয়ে সমালোচনার জন্ম দেয়, যা মানবাধিকার সংগঠন এবং বিশ্বজুড়ে  ফিলিস্তিনপন্থী গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। এই কারণে পিয়ার্স ব্র্যান্ডের সাবান পণ্যও বয়কটের আওতায় আসে। অনেক ভোক্তা দাবি করেন, ইউনিলিভার মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে নীরব ভূমিকা পালন করছে, যা তাদের ব্র্যান্ডের প্রতি আস্থা নষ্ট করেছে। ২০২৪ সালের দিকে বয়কট আন্দোলনে ভারত থেকে আমদানিকৃত ইউনিলিভারের সবপণ্য বাংলাদেশিরা বয়কট করেছে এবং ইসরায়েল নির্বিচারে ২০২৪ সালে গণহত্যা চালিয়েছে এতে ফিলিস্তিনে ৪৬০০০ মুসলিম নিহত হন এরমধ্যে ১৩০০০ শিশু রয়েছে, মুসিলম হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে বিশ্বমুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বাংলাদেশের ওলামা-মাশায়েখগণ ইউনিলিভার-সহ ইসরায়েলি সংশ্লিষ্ট পণ্য বয়কটের জোড়ালো ডাক দিয়েছেন।

Title