Title Title

বয়কট কোম্পানি

ইউনিলিভার

ইসরায়েল-ভারত

বয়কট ব্র্যান্ড

ল্যাকমে

ইসরায়েল-ভারত

ল্যাকমে ব্র্যান্ডটি ইউনিলিভারের অধীনে একটি প্রসাধনী ব্র্যান্ড, যা প্রথম চালু হয় ১৯৫২ সালে। এটি ভারতের প্রথম প্রসাধনী ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং দ্রুত দক্ষিণ এশিয়ার ব্র্যান্ডটি ছড়িয়ে পরে। বাংলাদেশে ল্যাকমে ব্র্যান্ডের পণ্য আমদানি শুরু হয় ২০১০-এর দশকের মাঝামাঝি। এটি শহুরে নারীদের মধ্যে পছন্দ। সুপারমার্কেট, অনলাইন স্টোর এবং প্রসাধনী দোকানে ল্যাকমের পণ্য সহজলভ্য হলেও উচ্চমূল্যের কারণে এটি দেশের সাধারণ জনগণের জন্য কম গ্রহণযোগ্য। ল্যাকমে পণ্য ব্যবহারকারীরা অভিযোগ করেছেন যে, কিছু মেকআপ পণ্য যেমন ফাউন্ডেশন এবং কমপ্যাক্ট পাউডার ত্বকের সঙ্গে ভালোভাবে মিশে না এবং দীর্ঘ সময় পর্যন্ত টেকে না। লিপস্টিক এবং আইশ্যাডোর ক্ষেত্রে রঙের স্থায়িত্ব নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। ত্বকের যত্নের পণ্যগুলিতে কিছু রাসায়নিক উপাদান ব্যবহৃত হয়, যা সংবেদনশীল ত্বকে অ্যালার্জি বা জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়া, প্যাকেজিং নিয়ে অভিযোগ রয়েছে, যেমন পণ্যের পাত্র সহজেই ভেঙে যায় বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা গ্রাহকদের জন্য হতাশাজনক। ল্যাকমে ব্র্যান্ডের আওতায় পণ্যগুলো হলো: ফাউন্ডেশন, লিপস্টিক, নেইলপলিশ, আইলাইনার, ময়েশ্চারাইজার এবং সানস্ক্রিন উল্লেখযোগ্য।

ইসরায়েলের সঙ্গে ইউনিলিভারের ব্যবসায়িক সম্পর্ক নিয়ে সমালোচনার জন্ম দেয়, যা মানবাধিকার সংগঠন এবং বিশ্বজুড়ে  ফিলিস্তিনপন্থী গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। এই কারণে ল্যাকমে ব্র্যান্ডের প্রসাধনী পণ্যও বয়কটের আওতায় আসে। অনেক ভোক্তা দাবি করেন, ইউনিলিভার মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে নীরব ভূমিকা পালন করছে, যা তাদের ব্র্যান্ডের প্রতি আস্থা নষ্ট করেছে। ২০২৪ সালের দিকে বয়কট আন্দোলনে ভারত থেকে আমদানিকৃত ইউনিলিভারের সবপণ্য বাংলাদেশিরা বয়কট করেছে এবং ইসরায়েল নির্বিচারে ২০২৪ সালে গণহত্যা চালিয়েছে এতে ফিলিস্তিনে ৪৬০০০ মুসলিম নিহত হন এরমধ্যে ১৩০০০ শিশু রয়েছে, মুসিলম হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে বিশ্বমুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বাংলাদেশের ওলামা-মাশায়েখগণ ইউনিলিভার-সহ ইসরায়েলি সংশ্লিষ্ট পণ্য বয়কটের জোড়ালো ডাক দিয়েছেন।

Title