Title Title

বয়কট কোম্পানি

ইউনিলিভার

ইসরায়েল-ভারত

বয়কট ব্র্যান্ড

লিপটন

ইসরায়েল-ভারত

লিপটন ব্র্যান্ডটি ইউনিলিভারের অধীনে একটি বিখ্যাত চা ব্র্যান্ড, যা প্রথম চালু হয় ১৮৯০ সালে। বাংলাদেশে লিপটন ব্র্যান্ডের পণ্য আমদানি শুরু হয় ১৯৯০-এর দশকে। লিপটন চা সাধারণত সুপারমার্কেট, স্থানীয় দোকান এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সহজলভ্য। গ্রিন টি এবং ব্ল্যাক টি পণ্যগুলো বাংলাদেশি ভোক্তার মধ্যে পরিচিত। তবে এর উচ্চমূল্য এবং কিছু ক্ষেত্রে স্থানীয় চায়ের তুলনায় স্বাদে ভিন্নতা থাকায় এটি গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে সেভাবে জনপ্রিয় হতে পারেনি। লিপটন পণ্যের মান নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। অনেক ভোক্তা মনে করেন, এর গ্রিন টি এবং ব্ল্যাক টি মাঝে মাঝে তাজা স্বাদের অভাব থাকে এবং চায়ের রঙ অপেক্ষাকৃত কম ঘন হয়। কিছু পণ্যের ক্ষেত্রে চায়ের পাতার মান নিম্নমানের বলে অভিযোগ ওঠে। এছাড়া, প্যাকেজিং মান নিয়েও অভিযোগ রয়েছে, যেমন চায়ের প্যাকেট সঠিকভাবে সিল না থাকার কারণে তা বাতাসের সংস্পর্শে এসে গুণগত মান হারায়। পরিবেশবান্ধব প্যাকেজিংয়ে ইউনিলিভার লিপটনের জন্য পর্যাপ্ত উদ্যোগ নেয়নি, যা পরিবেশ সচেতন গ্রাহকদের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। লিপটন ব্র্যান্ডের পণ্যগুলো হলো- গ্রিন টি, ব্ল্যাক টি, এবং হারবাল টি পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে লিপটন ইয়েলো লেবেল টি, লিপটন গ্রিন টি এবং বিভিন্ন ফ্লেভারের পাওয়া যায়।

ইসরায়েলের সঙ্গে ইউনিলিভারের ব্যবসায়িক সম্পর্ক নিয়ে সমালোচনার জন্ম দেয়, যা মানবাধিকার সংগঠন এবং বিশ্বজুড়ে  ফিলিস্তিনপন্থী গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। এই কারণে লিপটন ব্র্যান্ডের পণ্যও বয়কটের আওতায় আসে। অনেক ভোক্তা দাবি করেন, ইউনিলিভার মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে নীরব ভূমিকা পালন করছে, যা তাদের ব্র্যান্ডের প্রতি আস্থা নষ্ট করেছে। ২০২৪ সালের দিকে বয়কট আন্দোলনে ভারত থেকে আমদানিকৃত ইউনিলিভারের সবপণ্য বাংলাদেশিরা বয়কট করেছে এবং ইসরায়েল নির্বিচারে ২০২৪ সালে গণহত্যা চালিয়েছে এতে ফিলিস্তিনে ৪৬০০০ মুসলিম নিহত হন এরমধ্যে ১৩০০০ শিশু রয়েছে, মুসিলম হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে বিশ্বমুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বাংলাদেশের ওলামা-মাশায়েখগণ ইউনিলিভার-সহ ইসরায়েলি সংশ্লিষ্ট পণ্য বয়কটের জোড়ালো ডাক দিয়েছেন।



Title