Title Title

বয়কট কোম্পানি

ইউনিলিভার

ইসরায়েল-ভারত

বয়কট ব্র্যান্ড

কিসান

ইসরায়েল-ভারত

কিসান ব্র্যান্ডটি ইউনিলিভারের খাদ্যপণ্য ব্র্যান্ড, যা প্রথম চালু হয় ১৯৩৫ সালে ভারতে। এটি মূলত জ্যাম, কেচাপ, এবং সস উৎপাদন ও বাজারজাত করে। প্রাকৃতিক উপাদানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কিসান ব্র্যান্ডটি বাজারে জায়গা করে নেয়। তবে মানগত ত্রুটি এবং সংরক্ষণ সংক্রান্ত সমস্যার কারণে গ্রাহকদের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে সমালোচনা হয়েছে। বাংলাদেশে কিসান ব্র্যান্ডের পণ্য আমদানি শুরু হয় ২০১০-এর দশকের শুরুর দিকে।  কিসান পণ্যের মান নিয়ে বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। গ্রাহকরা অভিযোগ করেছেন যে, জ্যাম এবং কেচাপের মধ্যে অতিরিক্ত মিষ্টি এবং কৃত্রিম উপাদান ব্যবহার করা হয়, যা স্বাস্থ্য সচেতন গ্রাহকদের জন্য উপযুক্ত নয়। প্যাকেজিং নিয়ে সমস্যা রয়েছে, কারণ কিছু ক্ষেত্রে বোতল বা প্যাকেট সহজে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা সঠিকভাবে বন্ধ থাকে না। তাছাড়া, সংরক্ষণ সংক্রান্ত ত্রুটির কারণে পণ্য দীর্ঘ সময় পর্যন্ত তাজা থাকে না, যা ব্যবহারকারীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি করে। কিসান ব্র্যান্ডের পণ্যগুলো হলো: জ্যাম, কেচাপ, এবং বিভিন্ন ধরনের সস পাওয়া যায়। এর মধ্যে কিসান ফ্রুট জ্যাম এবং কিসান টমেটো কেচাপ সবচেয়ে জনপ্রিয়। এছাড়া বিভিন্ন ফ্লেভারযুক্ত সস এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার বাজারে আনা হয়েছে। বিশ্ববাজারে কিসানের পণ্যের বৈচিত্র্য অনেক বেশি হলেও বাংলাদেশে এর প্রাপ্যতা সীমিত এবং প্রধানত জনপ্রিয় পণ্যগুলোই সহজলভ্য। 

ইসরায়েলের সঙ্গে ইউনিলিভারের ব্যবসায়িক সম্পর্ক নিয়ে সমালোচনার জন্ম দেয়, যা মানবাধিকার সংগঠন এবং বিশ্বজুড়ে  ফিলিস্তিনপন্থী গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। এই কারণে কিসান ব্র্যান্ডের পণ্যও বয়কটের আওতায় আসে। অনেক ভোক্তা দাবি করেন, ইউনিলিভার মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে নীরব ভূমিকা পালন করছে, যা তাদের ব্র্যান্ডের প্রতি আস্থা নষ্ট করেছে। ২০২৪ সালের দিকে বয়কট আন্দোলনে ভারত থেকে আমদানিকৃত ইউনিলিভারের সবপণ্য বাংলাদেশিরা বয়কট করেছে এবং ইসরায়েল নির্বিচারে ২০২৪ সালে গণহত্যা চালিয়েছে এতে ফিলিস্তিনে ৪৬০০০ মুসলিম নিহত হন এরমধ্যে ১৩০০০ শিশু রয়েছে, মুসিলম হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে বিশ্বমুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বাংলাদেশের ওলামা-মাশায়েখগণ ইউনিলিভার-সহ ইসরায়েলি সংশ্লিষ্ট পণ্য বয়কটের জোড়ালো ডাক দিয়েছেন।

Title