Title Title

বয়কট কোম্পানি

ইউনিলিভার

ইসরায়েল-ভারত

বয়কট ব্র্যান্ড

হেলম্যান’স

ইসরায়েল-ভারত

হেলম্যান’স ব্র্যান্ডটি ইউনিলিভারের অধীনে একটি কনডিমেন্ট ব্র্যান্ড, যা প্রথম চালু হয় ১৯১৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। এটি মায়োনেজ, ড্রেসিংস এবং সসের জন্য পরিচিত। ব্র্যান্ডটি স্যান্ডউইচ এবং সালাদ তৈরির জন্য জনপ্রিয় হলেও মানগত ত্রুটি এবং সংরক্ষণ সংক্রান্ত সমস্যার কারণে কিছু সমালোচনা রয়েছে। বাংলাদেশে হেলম্যান’স ব্র্যান্ডের পণ্য আমদানি শুরু হয় ২০১০-এর দশকের মাঝামাঝি। এটি দেশের শহুরে বাজারে একটি প্রিমিয়াম ব্র্যান্ড হিসেবে জায়গা করে নেয়, বিশেষত আধুনিক জীবনধারার মানুষের মধ্যে যারা প্রক্রিয়াজাত খাবারে আগ্রহী। হেলম্যান’স পণ্য সাধারণত সুপারমার্কেট এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সহজলভ্য। তবে উচ্চমূল্যের কারণে এটি দেশের সাধারণ জনগণের মধ্যে তেমন জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারেনি। হেলম্যান’স পণ্যের মান নিয়ে কিছু সমস্যা রয়েছে। গ্রাহকরা অভিযোগ করেছেন যে, কিছু ক্ষেত্রে পণ্যের তাজা স্বাদ পাওয়া যায় না এবং এটি ব্যবহারের পর খাবারে কৃত্রিম স্বাদের অনুভূতি থেকে যায়। সংরক্ষণ পদ্ধতি নিয়ে অভিযোগ রয়েছে যে, হেলম্যান’স পণ্য সঠিক তাপমাত্রায় না রাখলে দ্রুত নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে প্যাকেজিংয়ের গুণগত মান ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় পণ্য সহজে ফেটে বা লিক হতে দেখা গেছে। এছাড়া, স্বাস্থ্য সচেতন গ্রাহকরা এর উপাদানের মধ্যে অতিরিক্ত প্রিজারভেটিভ এবং সোডিয়ামের পরিমাণ নিয়ে সমালোচনা করেছেন। হেলম্যান’স ব্র্যান্ডের অধীনে মূলত মায়োনেজ, ড্রেসিংস, এবং সস পাওয়া যায়। এর মধ্যে ক্লাসিক রিয়েল মায়োনেজ, লো-ফ্যাট মায়োনেজ, এবং বিভিন্ন ফ্লেভারের সালাদ ড্রেসিংস উল্লেখযোগ্য। বিশ্ববাজারে হেলম্যান’স পণ্যের বৈচিত্র্য বেশি হলেও বাংলাদেশে এর প্রাপ্যতা সীমিত এবং প্রধানত মায়োনেজ ও কিছু জনপ্রিয় ড্রেসিংস পণ্য সহজলভ্য। 

ইসরায়েলের সঙ্গে ইউনিলিভারের ব্যবসায়িক সম্পর্ক নিয়ে সমালোচনার জন্ম দেয়, যা মানবাধিকার সংগঠন এবং বিশ্বজুড়ে  ফিলিস্তিনপন্থী গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। এই কারণে হেলম্যান’স ব্র্যান্ডের পণ্যও বয়কটের আওতায় আসে। অনেক ভোক্তা দাবি করেন, ইউনিলিভার মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে নীরব ভূমিকা পালন করছে, যা তাদের ব্র্যান্ডের প্রতি আস্থা নষ্ট করেছে। ২০২৪ সালের দিকে বয়কট আন্দোলনে ভারত থেকে আমদানিকৃত ইউনিলিভারের সবপণ্য বাংলাদেশিরা বয়কট করেছে এবং ইসরায়েল নির্বিচারে ২০২৪ সালে গণহত্যা চালিয়েছে এতে ফিলিস্তিনে ৪৬০০০ মুসলিম নিহত হন এরমধ্যে ১৩০০০ শিশু রয়েছে, মুসিলম হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে বিশ্বমুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বাংলাদেশের ওলামা-মাশায়েখগণ ইউনিলিভার-সহ ইসরায়েলি সংশ্লিষ্ট পণ্য বয়কটের জোড়ালো ডাক দিয়েছেন।

Title