Title Title

বয়কট কোম্পানি

ইউনিলিভার

ইসরায়েল-ভারত

বয়কট ব্র্যান্ড

হামাম

ইসরায়েল-ভারত

হামাম ব্র্যান্ডটি ইউনিলিভারের অধীনে একটি সাবান ব্র্যান্ড, যা প্রথম চালু হয় ১৯৩১ সালে। এটি বিশেষত দক্ষিণ এশিয়ার বাজারকে লক্ষ্য করে তৈরি করা হয়। মানগত ত্রুটি এবং কিছু ব্যবহারকারীর নেতিবাচক অভিজ্ঞতার কারণে এটি সমালোচিত হয়েছে। বাংলাদেশে হামাম ব্র্যান্ডের পণ্য আমদানি শুরু হয় ১৯৯০-এর দশকে। কিছু ব্যবহারকারী অভিযোগ করেছেন যে, সাবান ব্যবহারের পর ত্বকে শুষ্কতা বা খসখসে অনুভূতি সৃষ্টি হয়। সংবেদনশীল ত্বকের জন্য এটি সবসময় উপযোগী নয় এবং কিছু ক্ষেত্রে ত্বকের জ্বালাপোড়া বা অ্যালার্জি হতে পারে। তদ্ব্যতীত, হামামের কিছু ভ্যারিয়েন্টের সুগন্ধ অতিরিক্ত তীব্র বলে সমালোচিত হয়েছে। প্যাকেজিং নিয়েও অভিযোগ রয়েছে, যেমন সাবান সহজে নরম হয়ে যায় বা ক্ষয়ে যায়, যা ব্যবহারকারীদের জন্য অসুবিধাজনক। হামাম ব্র্যান্ডের অধীনে মূলত হার্বাল সাবান এর মধ্যে নিম, তুলসী, এবং অ্যালোভেরা উপাদানে তৈরি বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্ট রয়েছে। এগুলো প্রাকৃতিক উপাদানের উপর জোর দিয়ে বাজারে আনা হয়। বিশ্ববাজারে হামাম পণ্যের বৈচিত্র্য তুলনামূলকভাবে বেশি হলেও বাংলাদেশে প্রধানত সাধারণ হার্বাল সাবানই জনপ্রিয় এবং সহজলভ্য।  

ইসরায়েলের সঙ্গে ইউনিলিভারের ব্যবসায়িক সম্পর্ক নিয়ে সমালোচনার জন্ম দেয়, যা মানবাধিকার সংগঠন এবং বিশ্বজুড়ে  ফিলিস্তিনপন্থী গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। এই কারণে হামাম ব্র্যান্ডের সাবান পণ্যও বয়কটের আওতায় আসে। অনেক ভোক্তা দাবি করেন, ইউনিলিভার মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে নীরব ভূমিকা পালন করছে, যা তাদের ব্র্যান্ডের প্রতি আস্থা নষ্ট করেছে। ২০২৪ সালের দিকে বয়কট আন্দোলনে ভারত থেকে আমদানিকৃত ইউনিলিভারের সবপণ্য বাংলাদেশিরা বয়কট করেছে এবং ইসরায়েল নির্বিচারে ২০২৪ সালে গণহত্যা চালিয়েছে এতে ফিলিস্তিনে ৪৬০০০ মুসলিম নিহত হন এরমধ্যে ১৩০০০ শিশু রয়েছে, মুসিলম হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে বিশ্বমুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বাংলাদেশের ওলামা-মাশায়েখগণ ইউনিলিভার-সহ ইসরায়েলি সংশ্লিষ্ট পণ্য বয়কটের জোড়ালো ডাক দিয়েছেন।

Title