Title Title

বয়কট কোম্পানি

ইউনিলিভার

ইসরায়েল-ভারত

বয়কট ব্র্যান্ড

এল১৮

ইসরায়েল-ভারত

এল ১৮ (ELLE 18) ব্র্যান্ডটি ইউনিলিভারের একটি প্রসাধনী ব্র্যান্ড, যা প্রথম চালু হয় ১৯৯৮ সালে। এটি বিশেষ করে যুবতী এবং কিশোরীদের লক্ষ্য করে মেকআপ পণ্য বাজারজাত করে। বাংলাদেশে এল ১৮ ব্র্যান্ডের পণ্য আমদানি শুরু হয় ২০১০-এর দশকের মাঝামাঝি। তবে এল ১৮ পণ্যের মান নিয়ে কিছু সমস্যা রয়েছে। গ্রাহকরা অভিযোগ করেছেন যে, পণ্যের স্থায়িত্ব তুলনামূলকভাবে কম এবং কিছু পণ্য ত্বকের উপর ব্যবহারের পর অস্বস্তিকর অনুভূতি সৃষ্টি করে। লিপস্টিক এবং নেইলপলিশের মতো পণ্যগুলিতে রঙ দীর্ঘক্ষণ টিকিয়ে রাখার ক্ষমতা নেই বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও, ত্বকের সংবেদনশীলতার জন্য কিছু পণ্য অ্যালার্জি বা জ্বালাপোড়া তৈরি করতে পারে। প্যাকেজিংয়ের মান নিয়েও অভিযোগ রয়েছে, বিশেষত লিপস্টিকের ক্ষেত্রে প্যাকেজিং সহজে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এল ১৮ ব্র্যান্ডের পণ্যগুলো হলো- লিপস্টিক, নেইলপলিশ, কাজল, ফাউন্ডেশন, এবং কমপ্যাক্ট পাওডার পাওয়া যায়। ব্র্যান্ডটি বিভিন্ন রঙ এবং ফ্লেভারে মেকআপ পণ্য সরবরাহ করে। তবে বাংলাদেশে এর পণ্যের পরিসর তুলনামূলকভাবে সীমিত এবং সাধারণত মূলধারার পণ্যগুলোই সহজলভ্য।

ইসরায়েলের সঙ্গে ইউনিলিভারের ব্যবসায়িক সম্পর্ক নিয়ে সমালোচনার জন্ম দেয়, যা মানবাধিকার সংগঠন এবং বিশ্বজুড়ে  ফিলিস্তিনপন্থী গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। এই কারণে এল ১৮ (ELLE 18) ব্র্যান্ডের পণ্যও বয়কটের আওতায় আসে। অনেক ভোক্তা দাবি করেন, ইউনিলিভার মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে নীরব ভূমিকা পালন করছে, যা তাদের ব্র্যান্ডের প্রতি আস্থা নষ্ট করেছে। ২০২৪ সালের দিকে বয়কট আন্দোলনে ভারত থেকে আমদানিকৃত ইউনিলিভারের সবপণ্য বাংলাদেশিরা বয়কট করেছে এবং ইসরায়েল নির্বিচারে ২০২৪ সালে গণহত্যা চালিয়েছে এতে ফিলিস্তিনে ৪৬০০০ মুসলিম নিহত হন এরমধ্যে ১৩০০০ শিশু রয়েছে, মুসিলম হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে বিশ্বমুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বাংলাদেশের ওলামা-মাশায়েখগণ ইউনিলিভার-সহ ইসরায়েলি সংশ্লিষ্ট পণ্য বয়কটের জোড়ালো ডাক দিয়েছেন।

Title