Title Title

বয়কট কোম্পানি

ইউনিলিভার

ইসরায়েল-ভারত

বয়কট ব্র্যান্ড

ডার্মালজিকা

ইসরায়েল-ভারত

ইউনিলিভার বাজারজাতকারী ডার্মালজিকা ব্র্যান্ডটি প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। ডার্মালজিকা ব্র্যান্ডটি ত্বকের নানা সমস্যার জন্য বিভিন্ন পণ্য সরবরাহ করলেও কিছু ক্ষেত্রে মানগত ত্রুটি নিয়ে সমালোচিত। বাংলাদেশে ডার্মালজিকা ব্র্যান্ডের পণ্য আমদানি শুরু হয় সাম্প্রতিক সময়ে। বিশেষত শহুরে উচ্চবিত্ত এবং ত্বকের যত্নে সচেতন মানুষের মধ্যে এই পণ্য জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। ডার্মালজিকা সাধারণত অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এবং স্কিনকেয়ার ক্লিনিকের মাধ্যমে সহজলভ্য। তবে উচ্চ মূল্যের কারণে এটি সাধারণ মানুষের মধ্যে তেমন প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। ডার্মালজিকা পণ্যের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা রয়েছে। অনেক ব্যবহারকারী অভিযোগ করেছেন যে, ত্বকের সমস্যার সমাধানে পণ্যগুলো সবসময় কার্যকর নয় এবং কিছু পণ্য ব্যবহারে ত্বকে জ্বালাপোড়া বা অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া, পণ্যের কিছু উপাদান ত্বকের জন্য খুব বেশি শক্তিশালী, যা সংবেদনশীল ত্বকে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। প্যাকেজিং নিয়ে অভিযোগ রয়েছে যে, এটি মাঝে মাঝে অস্বস্তিকর এবং অপ্রতুল তথ্য প্রদান করে, যা গ্রাহকদের জন্য বিভ্রান্তিকর হতে পারে। ডার্মালজিকা ব্র্যান্ডের অধীনে পণ্যগুলো হলো- ক্লিনজার, ময়েশ্চারাইজার, এক্সফোলিয়েটর, সানস্ক্রিন, এবং স্পেশালাইজড ট্রিটমেন্ট পণ্য অন্তর্ভুক্ত। 

ইসরায়েলের সঙ্গে ইউনিলিভারের ব্যবসায়িক সম্পর্ক নিয়ে সমালোচনার জন্ম দেয়, যা মানবাধিকার সংগঠন এবং বিশ্বজুড়ে  ফিলিস্তিনপন্থী গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। এই কারণে ডার্মালজিকা ব্র্যান্ডের পণ্যও বয়কটের আওতায় আসে। অনেক ভোক্তা দাবি করেন, ইউনিলিভার মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে নীরব ভূমিকা পালন করছে, যা তাদের ব্র্যান্ডের প্রতি আস্থা নষ্ট করেছে। ২০২৪ সালের দিকে বয়কট আন্দোলনে ভারত থেকে আমদানিকৃত ইউনিলিভারের সবপণ্য বাংলাদেশিরা বয়কট করেছে এবং ইসরায়েল নির্বিচারে ২০২৪ সালে গণহত্যা চালিয়েছে এতে ফিলিস্তিনে ৪৬০০০ মুসলিম নিহত হন এরমধ্যে ১৩০০০ শিশু রয়েছে, মুসিলম হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে বিশ্বমুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বাংলাদেশের ওলামা-মাশায়েখগণ ইউনিলিভার-সহ ইসরায়েলি সংশ্লিষ্ট পণ্য বয়কটের জোড়ালো ডাক দিয়েছেন।

Title