Title Title

বয়কট কোম্পানি

ইউনিলিভার

ইসরায়েল-ভারত

বয়কট ব্র্যান্ড

হরলিক্স

ইসরায়েল-ভারত

ইউনিলিভারের হরলিক্স ব্র্যান্ডটি প্রথম চালু হয় ১৮৭৩ সালে যুক্তরাজ্যে, যখন এটি মূলত রোগীদের জন্য একটি পুষ্টিকর পানীয় হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল। ইউনিলিভার ২০১৯ সালে হরলিক্স ব্র্যান্ড অধিগ্রহণ করে এবং এর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী পুষ্টি-পণ্যের বাজারে তাদের উপস্থিতি জোরদার করে। হরলিক্স ব্র্যান্ড বিভিন্ন সময় বিজ্ঞাপনে অতিরঞ্জিত দাবি করার জন্য সমালোচিত হয়েছে, যেমন শিশুর উচ্চতা এবং স্বাস্থ্য বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব রাখার প্রতিশ্রুতি, যা সবসময় প্রমাণিত হয়নি।

হরলিক্স ব্র্যান্ডের অধীনে বিভিন্ন ধরনের পণ্য হলো ক্লাসিক হরলিক্স, হরলিক্স চকলেট, উইমেনস হরলিক্স, মাদার্স হরলিক্স, এবং হরলিক্স গ্রোথ প্লাস। পণ্যের চিনি এবং অন্যান্য প্রক্রিয়াজাত উপাদানের উপস্থিতি নিয়ে সমালোচনা উঠেছে, যা স্বাস্থ্যগতভাবে সমস্যার কারণ হতে পারে। বাংলাদেশে হরলিক্স ব্র্যান্ড প্রথম আত্মপ্রকাশ করে ১৯৭০-এর দশকের দিকে। হরলিক্সের উচ্চমূল্য এবং পণ্যের কার্যকারিতা নিয়ে সাধারণ ভোক্তাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেক ভোক্তা মনে করেন, পণ্যের দাম স্থানীয় পুষ্টি-পণ্যের তুলনায় বেশি এবং প্রতিশ্রুতির তুলনায় কার্যকারিতা সবসময় নিশ্চিত নয়। 

ইসরায়েলের সঙ্গে ইউনিলিভারের ব্যবসায়িক সম্পর্ক নিয়ে সমালোচনার জন্ম দেয়, যা মানবাধিকার সংগঠন এবং বিশ্বজুড়ে  ফিলিস্তিনপন্থী গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। এই কারণে হরলিক্স ব্র্যান্ডের পণ্যও বয়কটের আওতায় আসে। অনেক ভোক্তা দাবি করেন, ইউনিলিভার মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে নীরব ভূমিকা পালন করছে, যা তাদের ব্র্যান্ডের প্রতি আস্থা নষ্ট করেছে। ২০২৪ সালের দিকে বয়কট আন্দোলনে ভারত থেকে আমদানিকৃত ইউনিলিভারের সবপণ্য বাংলাদেশিরা বয়কট করেছে এবং ইসরায়েল নির্বিচারে ২০২৪ সালে গণহত্যা চালিয়েছে এতে ফিলিস্তিনে ৪৬০০০ মুসলিম নিহত হন এরমধ্যে ১৩০০০ শিশু রয়েছে, মুসিলম হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে বিশ্বমুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বাংলাদেশের ওলামা-মাশায়েখগণ ইউনিলিভার-সহ ইসরায়েলি সংশ্লিষ্ট পণ্য বয়কটের জোড়ালো ডাক দিয়েছেন।

Title