Title Title

বয়কট কোম্পানি

ইউনিলিভার

ইসরায়েল-ভারত

বয়কট ব্র্যান্ড

এক্স

ইসরায়েল-ভারত

ইউনিলিভারের এক্স ব্র্যান্ড প্রথম চালু হয় ১৯৮৩ সালে ফ্রান্সে। এটি মূলত পুরুষদের জন্য একটি গ্রুমিং ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। ব্র্যান্ডটি শুরুতে বডি স্প্রে পণ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করে এবং পরে এর পণ্যের পরিসর বৃদ্ধি করে। এক্স ব্র্যান্ড পুরুষদের জন্য একটি আকর্ষণীয় ইমেজ তৈরি করার চেষ্টা করে, যা অনেক সময় বিজ্ঞাপনে অতিরঞ্জিত দাবি এবং বিতর্কিত উপস্থাপনার জন্য সমালোচিত হয়েছে। বিশেষত, এক্সের প্রচারণায় নারীদের প্রতি আকর্ষণের বাড়তি প্রতিশ্রুতি এবং অতিরঞ্জিত সাফল্যের গল্প তুলে ধরা হয়েছে, যা বাস্তবতার সঙ্গে মিলেনি এবং সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিতে প্রশ্ন তুলেছে। বাংলাদেশে এক্স ব্র্যান্ডের পণ্য আমদানি শুরু হয় ২০০০ সালের দিকে। উচ্চমূল্য এবং অতিরঞ্জিত বিজ্ঞাপন স্থানীয় বাজারে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। অনেক ভোক্তা অভিযোগ করেছেন যে এক্সের পণ্যগুলো বিজ্ঞাপনে প্রতিশ্রুত ফলাফল প্রদান করতে ব্যর্থ। এছাড়া, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কম দামের পণ্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এক্সের অবস্থান কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে। এক্স ব্র্যান্ডের পণ্যগুলোর হলো- এক্স বডি স্প্রে, এক্স ডিওডোরেন্ট, এক্স শাওয়ার জেল, এক্স হেয়ার স্টাইলিং জেল এবং এক্স শ্যাম্পু।

ইসরায়েলের সঙ্গে ইউনিলিভারের ব্যবসায়িক সম্পর্ক নিয়ে সমালোচনার জন্ম দেয়, যা মানবাধিকার সংগঠন এবং বিশ্বজুড়ে  ফিলিস্তিনপন্থী গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। এই কারণে এক্স ব্র্যান্ড ব্র্যান্ডের পণ্যও বয়কটের আওতায় আসে। অনেক ভোক্তা দাবি করেন, ইউনিলিভার মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে নীরব ভূমিকা পালন করছে, যা তাদের ব্র্যান্ডের প্রতি আস্থা নষ্ট করেছে। ২০২৪ সালের দিকে বয়কট আন্দোলনে ভারত থেকে আমদানিকৃত ইউনিলিভারের সবপণ্য বাংলাদেশিরা বয়কট করেছে এবং ইসরায়েল নির্বিচারে ২০২৪ সালে গণহত্যা চালিয়েছে এতে ফিলিস্তিনে ৪৬০০০ মুসলিম নিহত হন এরমধ্যে ১৩০০০ শিশু রয়েছে, মুসিলম হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে বিশ্বমুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বাংলাদেশের ওলামা-মাশায়েখগণ ইউনিলিভার-সহ ইসরায়েলি সংশ্লিষ্ট পণ্য বয়কটের জোড়ালো ডাক দিয়েছেন।

Title