Title Title

বয়কট কোম্পানি

ইউনিলিভার

ইসরায়েল-ভারত

বয়কট ব্র্যান্ড

ভিম

ইসরায়েল-ভারত

ইউনিলিভারের ভিম ব্র্যান্ড প্রথম চালু হয় ১৮৯৪ সালে যুক্তরাজ্যে। এটি মূলত একটি ক্লিনিং প্রোডাক্ট ব্র্যান্ড, যা শুরুতে একটি স্ক্রাবিং পাউডার হিসেবে পরিচিতি পায়। পরবর্তীতে এটি তরল, বার, এবং জেল ক্লিনিং পণ্য হিসেবে বিকশিত হয়। ভিম ব্র্যান্ডের লক্ষ্য ছিল বাড়ির পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রয়োজন মেটানো। যদিও এটি একটি প্রাচীন ব্র্যান্ড, তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভিম বিভিন্ন দেশে পরিচ্ছন্নতার পণ্য হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তবে, প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহারের দাবি এবং বিজ্ঞাপনে অতিরঞ্জিত পরিষ্কার করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে এটি সমালোচনার মুখে পড়েছে। বিশেষত, প্রতিযোগী ব্র্যান্ডগুলোর তুলনায় কার্যকারিতা এবং মূল্যের সমন্বয় নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বাংলাদেশে ভিম ব্র্যান্ড প্রথম আত্মপ্রকাশ করে ১৯৯০-এর দশকে। ভিম ব্র্যান্ডের আওতায় পণ্যগুলো হলো- ভিম বার, ভিম লিকুইড, ভিম জেল, এবং ভিম পাওয়ার স্ক্রাব। পণ্যগুলো সাধারণত থালা-বাসন পরিষ্কার, কড়াই বা হাঁড়ির তেল-চর্বি দূর করার জন্য তৈরি। পণ্যের প্যাকেজিং এবং বিজ্ঞাপনে অতিরঞ্জিত দাবি করা হয়েছে, যা বাস্তব ব্যবহারে সব সময় প্রমাণিত হয়নি। বিশেষ করে প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহারের প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্র্যান্ডটি সমালোচিত হয়েছে। 

ইসরায়েলের সঙ্গে ইউনিলিভারের ব্যবসায়িক সম্পর্ক নিয়ে সমালোচনার জন্ম দেয়, যা মানবাধিকার সংগঠন এবং বিশ্বজুড়ে  ফিলিস্তিনপন্থী গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। এই কারণে ভেসলিন ব্র্যান্ডের পণ্যও বয়কটের আওতায় আসে। অনেক ভোক্তা দাবি করেন, ইউনিলিভার মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে নীরব ভূমিকা পালন করছে, যা তাদের ব্র্যান্ডের প্রতি আস্থা নষ্ট করেছে। ২০২৪ সালের দিকে বয়কট আন্দোলনে ভারত থেকে আমদানিকৃত ইউনিলিভারের সবপণ্য বাংলাদেশিরা বয়কট করেছে এবং ইসরায়েল নির্বিচারে ২০২৪ সালে গণহত্যা চালিয়েছে এতে ফিলিস্তিনে ৪৬০০০ মুসলিম নিহত হন এরমধ্যে ১৩০০০ শিশু রয়েছে, মুসিলম হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে বিশ্বমুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বাংলাদেশের ওলামা-মাশায়েখগণ ইউনিলিভার-সহ ইসরায়েলি সংশ্লিষ্ট পণ্য বয়কটের জোড়ালো ডাক দিয়েছেন।

Title