Title Title

বয়কট কোম্পানি

ইউনিলিভার

ইসরায়েল-ভারত

বয়কট ব্র্যান্ড

ভেসলিন

ইসরায়েল-ভারত

ইউনিলিভারের ভেসলিন ব্র্যান্ড প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে, পরে ১৯৮৭ সালে ইউনিলিভার ভেসলিন ব্র্যান্ড অধিগ্রহণ করে এবং বৈশ্বিকভাবে এর প্রসার ঘটায়। ভেসলিন দীর্ঘদিন ধরে পেট্রোলিয়াম জেলি এবং ত্বকের যত্নের বিভিন্ন পণ্য সরবরাহ করলেও, এটি প্রাকৃতিক উপাদান বাদ দিয়ে শুধুমাত্র পেট্রোলিয়াম জেলির ওপর নির্ভর করার কারণে সমালোচিত হয়েছে। এছাড়া, ব্র্যান্ডটি ত্বকের যত্নে অতিরঞ্জিত দাবি করার জন্য বিতর্কের মুখে পড়েছে। বাংলাদেশে ভেসলিন ব্র্যান্ড প্রথম আত্মপ্রকাশ করে ১৯৮০-এর দশকে। ভেসলিনের উচ্চমূল্য এবং নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর ওপর নির্ভরশীলতার কারণে এটি সমালোচিত হয়েছে। পণ্যের কার্যকারিতা নিয়ে গ্রাহকদের একটি অংশ মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।

ভেসলিন ব্র্যান্ডের আওতায় বেশ কয়েকটি পণ্য রয়েছে যেমন- ভেসলিন পেট্রোলিয়াম জেলি, ভেসলিন ইনটেনসিভ কেয়ার লোশন, ভেসলিন হেলদি হোয়াইট লোশন, ভেসলিন লিপ কেয়ার এবং ভেসলিন অ্যাডভান্সড রিফেয়ার। পণ্যগুলোর মোড়কে বৈচিত্র্য থাকা সত্ত্বেও, তাদের কার্যকারিতা এবং বিজ্ঞাপনের অতিরঞ্জিত দাবি নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। বিশেষত, হেলদি হোয়াইট লোশন নিয়ে গায়ের রঙ উজ্জ্বল করার দাবি তোলা হয়েছে, যা সৌন্দর্যের একক মানদণ্ড নির্ধারণের অভিযোগে বিতর্কিত। 

ইসরায়েলের সঙ্গে ইউনিলিভারের ব্যবসায়িক সম্পর্ক নিয়ে সমালোচনার জন্ম দেয়, যা মানবাধিকার সংগঠন এবং বিশ্বজুড়ে  ফিলিস্তিনপন্থী গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। এই কারণে ভেসলিন ব্র্যান্ডের পণ্যও বয়কটের আওতায় আসে। অনেক ভোক্তা দাবি করেন, ইউনিলিভার মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে নীরব ভূমিকা পালন করছে, যা তাদের ব্র্যান্ডের প্রতি আস্থা নষ্ট করেছে। বয়কট আন্দোলনে বাংলাদেশে ভারত থেকে আমদানিকৃত ইউনিলিভারের সবপণ্য বাংলাদেশিরা বয়কট করেছে এবং ২০২৪ সালে ফিলিস্তিনে ৪৬০০০ মুসলিম হত্যা এরমধ্যে ১৩০০০ শিশু রয়েছে, নির্বিচারে মুসিলম হত্যাযজ্ঞের কারণে বিশ্বমুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বাংলাদেশের ওলামা-মাশায়েখ ইসরায়েলি সংশ্লিষ্ট পণ্য বয়কটের জোড়ালো ডাক দিয়েছেন।

Title