Title Title

বয়কট কোম্পানি

ইউনিলিভার

ইসরায়েল-ভারত

বয়কট ব্র্যান্ড

সার্ফএক্সেল

ইসরায়েল-ভারত

ইউনিলিভারের সার্ফএক্সেল ব্র্যান্ডের যাত্রা শুরু হয় ১৯৫৪ সালে ভারতে। এটি মূলত একটি ডিটারজেন্ট ব্র্যান্ড, যা কাপড় ধোয়ার পণ্যের জন্য পরিচিত। ব্র্যান্ডটি বিশেষভাবে ‘দাগ ভালো’ প্রপাগাণ্ডামূলক ধারণার ওপর ভিত্তি করে প্রচারণা চালায়, যা ভোক্তাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। বিজ্ঞাপনে অতিরঞ্জিত দাবি এবং প্রতিদ্বন্দ্বী ব্র্যান্ডগুলোর প্রতি নেতিবাচক প্রচারণার জন্য সার্ফএক্সেল সমালোচিত হয়েছে। ব্র্যান্ডটি বিভিন্ন সময়ে তার পণ্যের কার্যকারিতা এবং পরিবেশবান্ধবতার প্রশ্নে বিতর্কের মুখে পড়ে।

সার্ফএক্সেল ব্র্যান্ডের অধীনে বেশ কয়েকটি পণ্য রয়েছে- সার্ফএক্সেল মেটিক ফ্রন্ট লোড, সার্ফএক্সেল মেটিক টপ লোড, সার্ফএক্সেল ইজি ওয়াশ এবং সার্ফএক্সেল বারের মতো পণ্য। প্রতিটি পণ্যই বিভিন্ন ধরনের কাপড় ধোয়ার জন্য বিশেষভাবে প্রণীত। এগুলো সাধারণত কঠিন দাগ দূর করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজারজাত করা হয়। তবে, প্রতিযোগী ব্র্যান্ডগুলোর তুলনায় সার্ফএক্সেলের পণ্যের কার্যকারিতা এবং দাম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এছাড়া ব্র্যান্ডটি তার প্যাকেজিং এবং বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে অতিরিক্ত দাবি করায় সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছে। বাংলাদেশে সার্ফএক্সেল ব্র্যান্ড আত্মপ্রকাশ করে ২০০০ সালের দিকে। এটি দেশের ডিটারজেন্ট বাজারে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং গ্রামীণ ও শহুরে উভয় বাজারে অধিক ডিজিটাল মার্কেটিং প্রচারণার মাধ্যমে বাজার দখল করে।  

ইসরায়েলের সঙ্গে ইউনিলিভারের ব্যবসায়িক সম্পর্ক নিয়ে সমালোচনা ওঠে, যা মানবাধিকার সংগঠন এবং বিশ্বজুড়ে  ফিলিস্তিনপন্থী গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। এই কারণে সার্ফএক্সেল ব্র্যান্ডের পণ্যও বয়কটের আওতায় আসে। অনেক ভোক্তা দাবি করেন, ইউনিলিভার মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে নীরব ভূমিকা পালন করছে, যা তাদের ব্র্যান্ডের প্রতি আস্থা নষ্ট করেছে। বয়কট আন্দোলনে বাংলাদেশে ভারত থেকে আমদানিকৃত ইউনিলিভারের সবপণ্য বাংলাদেশিরা বয়কট করেছে এবং ২০২৪ সালে ফিলিস্তিনে ৪৬০০০ মুসলিম হত্যা এরমধ্যে ১৩০০০ শিশু রয়েছে, নির্বিচারে মুসিলম হত্যাযজ্ঞের কারণে বিশ্বমুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বাংলাদেশের আলেম-মাশায়েখগণ ইসরায়েলি সংশ্লিষ্ট পণ্য বয়কটের জোড়ালো ডাক দিয়েছেন।

Title