Title Title

বয়কট কোম্পানি

ইউনিলিভার

ইসরায়েল-ভারত

বয়কট ব্র্যান্ড

সানসিল্ক

ইসরায়েল-ভারত

ইউনিলিভারের সানসিল্ক ব্র্যান্ড ১৯৫৪ সালে যুক্তরাজ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি একটি হেয়ার কেয়ার ব্র্যান্ড, যা শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনারের জন্য পরিচিত। ব্র্যান্ডটি তার পণ্যের বৈচিত্র্য মোড়কজাত এবং বিশ্বব্যাপী উপস্থিতির জন্য পরিচিত, এটি বিজ্ঞাপনে অতিরঞ্জিত দাবি এবং সৌন্দর্যের নির্ধারিত মানদণ্ড প্রচারের জন্য সমালোচিত হয়েছে। সানসিল্কের অনেক প্রচারণায় বাস্তবসম্মত সমাধানের চেয়ে অতিরিক্ত ফলাফলের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, যা ভোক্তাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশে সানসিল্ক ব্র্যান্ড প্রথম আত্মপ্রকাশ করে ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি। ব্র্যান্ডটি স্থানীয় সেলিব্রিটিদের ব্যবহার করে প্রচারণা চালায়, যা এর জনপ্রিয়তাকে আরও বাড়িয়ে তোলে। তবে, স্থানীয় বাজারে চুলের সমস্যার বাস্তব সমাধানের তুলনায় অতিরঞ্জিত দাবি করার জন্য সানসিল্ক বাংলাদেশেও সমালোচিত হয়েছে।

সানসিল্ক ব্র্যান্ডের অধীনে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রয়েছে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: সানসিল্ক স্মুথ অ্যান্ড শাইন শ্যাম্পু, সানসিল্ক হেয়ার ফল সলিউশন, সানসিল্ক লং অ্যান্ড হেলদি গ্রোথ শ্যাম্পু, সানসিল্ক কালার প্রোটেকশন শ্যাম্পু এবং সানসিল্ক পোলিউশন প্রোটেকশন শ্যাম্পু। এছাড়া ব্র্যান্ডটি কন্ডিশনার এবং হেয়ার মাস্ক পণ্য সরবরাহ করে। পণ্যগুলো চুলের স্বাস্থ্য, সৌন্দর্য এবং দৈনন্দিন যত্নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজারে প্রচারিত হয়। তবে, পণ্যের কার্যকারিতা এবং বিজ্ঞাপনের অতিরঞ্জিত দাবি নিয়ে ভোক্তাদের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, বিশেষ করে যখন প্রতিযোগী ব্র্যান্ডগুলোর তুলনায় সানসিল্কের দাম এবং গুণগত মান নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। সাম্প্রতিক ভারতে সানসিল্ক গার্লগার্ল একটি ক্যাম্পেইন বা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা মূলত তরুণীদের উদ্দেশ্যে চালু করা হয়েছে। ব্র্যান্ডটি মেয়েদের আত্মবিশ্বাস বিষয়ক প্রচারণা করে, এই ক্যাম্পেইনে তরুণীদের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম, ইভেন্ট এবং কনটেন্ট তৈরি করা হয়, যা নারীদের জীবনের বিভিন্ন দক্ষতার উপর বিজ্ঞাপন করা হয় যা ভারতের মধ্যে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।  

ইসরায়েলের সঙ্গে ইউনিলিভারের ব্যবসায়িক সম্পর্ক নিয়ে সমালোচনা ওঠে, যা মানবাধিকার সংগঠন এবং বিশ্বজুড়ে  ফিলিস্তিনপন্থী গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। এই কারণে সানসিল্ক ব্র্যান্ডের পণ্যও বয়কটের আওতায় আসে। অনেক ভোক্তা দাবি করেন, ইউনিলিভার মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে নীরব ভূমিকা পালন করছে, যা তাদের ব্র্যান্ডের প্রতি আস্থা নষ্ট করেছে। বয়কট আন্দোলনে বাংলাদেশে ভারত থেকে আমদানিকৃত ইউনিলিভারের সবপণ্য বাংলাদেশিরা বয়কট করেছে এবং ২০২৪ সালে ফিলিস্তিনে ৪৬০০০ মুসলিম হত্যা এরমধ্যে ১৩০০০ শিশু রয়েছে, নির্বিচারে মুসিলম হত্যাযজ্ঞের কারণে বিশ্বমুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বাংলাদেশের আলেম-মাশায়েখগণ ইসরায়েলি সংশ্লিষ্ট পণ্য বয়কটের জোড়ালো ডাক দিয়েছেন।

Title