Title Title

বয়কট কোম্পানি

ইউনিলিভার

ইসরায়েল-ভারত

বয়কট ব্র্যান্ড

পনড’স ম্যান

ইসরায়েল-ভারত

ইউনিলিভারের পনড’স ম্যান ব্র্যান্ড মূলত পনড’সের একটি উপ-ব্র্যান্ড, যা পুরুষদের জন্য পণ্য তৈরি করে। এটি ইউনিলিভারের প্রচলিত পনড’স ব্র্যান্ডের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় চালু করা হয়। এটি বেশিরভাগ সময়ই সৌন্দর্যের নির্ধারিত মানদণ্ড প্রচারের জন্য সমালোচিত হয়েছে। বিজ্ঞাপনগুলোর মাধ্যমে অতিরঞ্জিত দাবি এবং বাস্তবিক কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিভিন্ন ভোক্তা সংগঠন।

পনড’স ম্যান ব্র্যান্ডের অধীনে বেশ কয়েকটি পণ্য রয়েছে, পনড’স ম্যান অয়েল কন্ট্রোল ফেসওয়াশ, পনড’স ম্যান এনার্জি ব্রাইট ফেসওয়াশ, পনড’স ম্যান পলিউশন আউট ফেসওয়াশ এবং পনড’স ম্যান ডার্ক স্পট রিডাকশন ক্রিম। এই পণ্যগুলো বিশেষত ত্বক পরিষ্কার রাখা, অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণ এবং দাগ হ্রাসের জন্য তৈরি। ত্বকের যত্নে ফেসওয়াশ এবং ক্রিমের জনপ্রিয়তা থাকলেও, পণ্যের কার্যকারিতা এবং বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে অতিরঞ্জিত প্রতিশ্রুতি নিয়ে ব্র্যান্ডটি সমালোচিত হয়েছে।

 বাংলাদেশে পনড’স ম্যান ব্র্যান্ড আত্মপ্রকাশ করে ২০১০-এর পরের দিকে। অধিক প্রচারণার মাধ্যমে ব্র্যান্ডের পণ্যগুলো দ্রুতই কর্মজীবী এবং শহুরে তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। পুরুষদের ত্বকের যত্নে বিশেষভাবে মার্কেটিং করে ব্র্যান্ডটি বাজার দখলের চেষ্টা করে। বাংলাদেশি বাজারে পনড’স ম্যান পণ্যগুলো মূলত ফেসওয়াশ এবং ক্রিম হিসেবে পরিচিত। তবে, ব্র্যান্ডটি ত্বকের যত্নে তেল নিয়ন্ত্রণ এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির ধারণার ওপর অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়ার কারণে সমালোচিত হয়েছে।  

ইসরায়েলের সঙ্গে ইউনিলিভারের ব্যবসায়িক সম্পর্ক নিয়ে সমালোচনা ওঠে, যা মানবাধিকার সংগঠন এবং বিশ্বজুড়ে  ফিলিস্তিনপন্থী গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। এই কারণে পনড’স ম্যান ব্র্যান্ডের পণ্যও বয়কটের আওতায় আসে। অনেক ভোক্তা দাবি করেন, ইউনিলিভার মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে নীরব ভূমিকা পালন করছে, যা তাদের ব্র্যান্ডের প্রতি আস্থা নষ্ট করেছে। বয়কট আন্দোলনে বাংলাদেশে ভারত থেকে আমদানিকৃত ইউনিলিভারের সবপণ্য বাংলাদেশিরা বয়কট করেছে এবং ২০২৪ সালে ফিলিস্তিনে ৪৬০০০ মুসলিম হত্যা এরমধ্যে ১৩০০০ শিশু রয়েছে, নির্বিচারে মুসিলম হত্যাযজ্ঞের কারণে বিশ্বমুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বাংলাদেশের আলেম-মাশায়েখগণ ইসরায়েলি সংশ্লিষ্ট পণ্য বয়কটের জোড়ালো ডাক দিয়েছেন।

Title