Title Title

বয়কট কোম্পানি

ইউনিলিভার

ইসরায়েল-ভারত

বয়কট ব্র্যান্ড

রিন

ইসরায়েল-ভারত

ইউনিলিভারের রিন ব্র্যান্ড একটি পরিচ্ছন্নতা পণ্য হিসেবে পরিচিত, যা মূলত কাপড় ধোয়ার জন্য ডিটারজেন্ট এবং সাবান সরবরাহ করে। রিন ব্র্যান্ড প্রথম চালু হয় ১৯৬৯ সালে ভারতে। রিন ব্র্যান্ডের মূল লক্ষ্য ছিল গ্রাহকদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে কার্যকর পরিষ্কার পণ্য সরবরাহ করা। তবে, বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বী ব্র্যান্ডের প্রতি নেতিবাচক মন্তব্য এবং অতিরঞ্জিত দাবি করার জন্য এটি বেশ কয়েকবার সমালোচিত হয়েছে। রিন ব্র্যান্ডের প্রচারণায় কাপড়ের উজ্জ্বলতা এবং সাদা করার বিষয়টিকে অতিরিক্তভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, যা অনেক সময় বাস্তবতার সঙ্গে মিলেনি। 

বাংলাদেশে রিন ব্র্যান্ড প্রথম আত্মপ্রকাশ করে ১৯৮০-এর দশকে। রিন ব্র্যান্ডের অধীনে বেশ কয়েকটি পণ্য রয়েছে: রিন অ্যাডভান্সড পাউডার, এবং রিন লিকুইড ডিটারজেন্ট উল্লেখযোগ্য। প্রতিটি পণ্যই মূলত কাপড়ের দাগ এবং ময়লা পরিষ্কারের জন্য তৈরি। ব্র্যান্ডটি পণ্যের কার্যকারিতা নিয়ে উচ্চ দাবি করলেও, তা নিয়ে ভোক্তাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বিশেষ করে প্রতিযোগী ব্র্যান্ডের তুলনায় কার্যকারিতা এবং মূল্যের সামঞ্জস্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এছাড়া পণ্যের বিজ্ঞাপনে অতিরিক্ত উজ্জ্বলতা এবং পরিষ্কার করার প্রতিশ্রুতি বাস্তবসম্মত না হওয়ায় এটি সমালোচনার মুখে পড়ে।

ইসরায়েলের সঙ্গে ইউনিলিভারের ব্যবসায়িক সম্পর্ক নিয়ে সমালোচনা ওঠে, যা মানবাধিকার সংগঠন এবং বিশ্বজুড়ে  ফিলিস্তিনপন্থী গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। এই কারণে রিন ব্র্যান্ডের পণ্যও বয়কটের আওতায় আসে। অনেক ভোক্তা দাবি করেন, ইউনিলিভার মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে নীরব ভূমিকা পালন করছে, যা তাদের ব্র্যান্ডের প্রতি আস্থা নষ্ট করেছে। বয়কট আন্দোলনে বাংলাদেশে ভারত থেকে আমদানিকৃত ইউনিলিভারের সবপণ্য বাংলাদেশিরা বয়কট করেছে এবং ২০২৪ সালে ফিলিস্তিনে ৪৬০০০ মুসলিম হত্যা এরমধ্যে ১৩০০০ শিশু রয়েছে, নির্বিচারে মুসিলম হত্যাযজ্ঞের কারণে বিশ্বমুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বাংলাদেশের আলেম-মাশায়েখগণ ইসরায়েলি সংশ্লিষ্ট পণ্য বয়কটের জোড়ালো ডাক দিয়েছেন।

Title