Title Title

বয়কট কোম্পানি

ইউনিলিভার

ইসরায়েল-ভারত

বয়কট ব্র্যান্ড

পনড’স

ইসরায়েল-ভারত

ইউনিলিভারের পনড’স ব্র্যান্ডের যাত্রা শুরু হয় ১৮৪৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে, যখন এটি ওষুধি মলম হিসেবে বাজারে আসে। পরবর্তীতে, পনড’স ইউনিলিভারের অধীনে স্কিন কেয়ার ব্র্যান্ডে রূপান্তরিত হয় এবং একটি বিশ্বব্যাপী পরিচিত নাম হয়ে ওঠে। ব্র্যান্ডটি ত্বকের যত্নের পণ্য তৈরির জন্য পরিচিত হলেও এটি অতিরঞ্জিত বিজ্ঞাপন এবং গায়ের রঙ উজ্জ্বল করার ধারণাকে প্রচারের জন্য সমালোচিত। পনড’স বিভিন্ন সময় সৌন্দর্যের নির্ধারিত মানদণ্ড প্রতিষ্ঠার চেষ্টার কারণে বিতর্কের মুখে পড়ে। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার বাজারে এটি ’উজ্জ্বল ত্বক’ নিয়ে বাড়াবাড়ি ধরনের প্রচারণা চালায়।

পনড’স ব্র্যান্ডের অধীনে বিভিন্ন ধরনের পণ্য মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো পনড’স হোয়াইট বিউটি ক্রিম, পনড’স অয়েল কন্ট্রোল ফেসওয়াশ, পনড’স এজ মিরাকল সিরিজ, পনড’স সান প্রোটেকশন লোশন এবং পনড’স অ্যান্টি-স্পট ক্রিম। এই পণ্যগুলো ত্বকের যত্নের বিভিন্ন চাহিদা পূরণের জন্য তৈরি করা হলেও বিজ্ঞাপনে অতিরঞ্জিত দাবি এবং বাস্তবিক কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বিশেষ করে গায়ের রঙ উজ্জ্বল করার প্রতিশ্রুতি পণ্যগুলোর গ্রহণযোগ্যতা এবং নৈতিকতা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। 

বাংলাদেশে পনড’স ব্র্যান্ড প্রথম আত্মপ্রকাশ করে ১৯৯০-এর দশকে। এটি দেশের স্কিন কেয়ার বাজারে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং বিভিন্ন বয়সের নারীদের লক্ষ্য করে বাজারজাত করা হয়। পনড’স বিশেষত শহুরে নারীদের জন্য একটি প্রিমিয়াম ব্র্যান্ড হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করে। পনড’সের বিজ্ঞাপন এবং প্রচারণায় গায়ের রঙ নিয়ে অযথা গুরুত্ব দেওয়ার কারণে এটি সমালোচনার মুখে পড়ে। ব্র্যান্ডটি ত্বকের যত্নের নামে সৌন্দর্যের একটি নির্দিষ্ট মাপকাঠি প্রচারের অভিযোগে বারবার বিতর্কিত হয়েছে। 

ইসরায়েলের সঙ্গে ইউনিলিভারের ব্যবসায়িক সম্পর্ক নিয়ে সমালোচনা ওঠে, যা মানবাধিকার সংগঠন এবং বিশ্বজুড়ে  ফিলিস্তিনপন্থী গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। এই কারণে পনড’স ব্র্যান্ডের পণ্যও বয়কটের আওতায় আসে। অনেক ভোক্তা দাবি করেন, ইউনিলিভার মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে নীরব ভূমিকা পালন করছে, যা তাদের ব্র্যান্ডের প্রতি আস্থা নষ্ট করেছে। বয়কট আন্দোলনে বাংলাদেশে ভারত থেকে আমদানিকৃত ইউনিলিভারের সবপণ্য বাংলাদেশিরা বয়কট করেছে এবং ২০২৪ সালে ফিলিস্তিনে ৪৬০০০ মুসলিম হত্যা এরমধ্যে ১৩০০০ শিশু রয়েছে, নির্বিচারে মুসিলম হত্যাযজ্ঞের কারণে বাংলাদেশে আলেম-মাশায়েখগণ ইসরায়েলি সংশ্লিষ্ট পণ্য বয়কটের জোড়ালো ডাক দিয়েছেন।

Title