Title Title

বয়কট কোম্পানি

ইউনিলিভার

ইসরায়েল-ভারত

বয়কট ব্র্যান্ড

গ্লু এন্ড লাভলি

ইসরায়েল-ভারত

ইউনিলিভারের গ্লো অ্যান্ড লাভলি ব্র্যান্ড মূলত একটি স্কিন কেয়ার ব্র্যান্ড, যা পূর্বে ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি নামে পরিচিত ছিল। ১৯৭৫ সালে ইউনিলিভার এই ব্র্যান্ডটি চালু করে, যা শুরু থেকেই দক্ষিণ এশীয় বাজারে একটি বিতর্কিত অবস্থান দখল করে। তবে ২০২০ সালে, বৈষম্যমূলক সৌন্দর্য মানদণ্ড এবং গায়ের রঙ নিয়ে সমালোচনার মুখে ইউনিলিভার ব্র্যান্ডটির নাম পরিবর্তন করে গ্লো অ্যান্ড লাভলি রাখে। রিব্র্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে সৌন্দর্যের ধারণা পরিবর্তনের দাবি করা হলেও এটি বিতর্ক এড়াতে পারেনি, কারণ পণ্যের মূল লক্ষ্যবস্তু একই রয়ে গেছে। গ্লো অ্যান্ড লাভলি ফেস ক্রিম, গ্লো অ্যান্ড লাভলি অ্যান্টি-মার্কস ক্রিম, গ্লো অ্যান্ড লাভলি ইনস্টা গ্লো ফেসওয়াশ এবং গ্লো অ্যান্ড লাভলি সান প্রোটেকশন ক্রিম। পণ্যগুলো মূলত ত্বককে উজ্জ্বল করার ধারণার ওপর ভিত্তি করে তৈরি, যা দক্ষিণ এশীয় ভোক্তাদের লক্ষ্য করে বাজারজাত করা হয়। পণ্যগুলো নানা ধরণের বিজ্ঞাপন এবং ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে পরিচিতি পায়, যা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গায়ের রঙ উজ্জ্বল করার মিথ্যা বার্তার আশ্রয়গ্রহণ করে।

বাংলাদেশে গ্লো অ্যান্ড লাভলি ব্র্যান্ড আত্মপ্রকাশ করে ১৯৯০-এর দশকে, যখন এটি ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি নামে পরিচিত ছিল। ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতের সময় ইউনিলিভারের অন্যান্য ব্র্যান্ডের মতো গ্লো অ্যান্ড লাভলিও বিতর্কিত হয়। ইসরায়েলের সঙ্গে ইউনিলিভারের ব্যবসায়িক সম্পর্ক নিয়ে সমালোচনা ওঠে, যা মানবাধিকার সংগঠন এবং ফিলিস্তিনপন্থী গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। এই কারণে গ্লো অ্যান্ড লাভলির পণ্যও বয়কটের আওতায় আসে। অনেক ভোক্তা দাবি করেন, ইউনিলিভার মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে নীরব ভূমিকা পালন করছে, যা তাদের ব্র্যান্ডের প্রতি আস্থা নষ্ট করেছে। বয়কট আন্দোলনে বাংলাদেশে ভারত থেকে আমদানিকৃত ইউনিলিভারের সবপণ্য বাংলাদেশিরা বয়কট করেছে এবং ২০২৪ সালে ফিলিস্তিনে ৪৬০০০ মুসলিম হত্যা এরমধ্যে ১৩০০০ শিশু রয়েছে, নির্বিচারে মুসিলম হত্যাযজ্ঞের কারণে বাংলাদেশে আলেম-মাশায়েখগণ ইসরায়েলি সংশ্লিষ্ট পণ্য বয়কটের জোড়ালো ডাক দিয়েছেন।

Title